কক্সবাজার শহর থেকে ১২ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
- সময় ১২:৩৫:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
- / 27
পর্যটন শহর কক্সবাজারে ছিনতাইকারীদের ধরতে পুলিশের সাঁড়াশি অভযান চলছে।প্রথম দিনে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই ছিনতাইয়ের ‘মহোৎসব’ ঠেকাতে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কক্সবাজার শহর দাপিয়ে বেড়ানো ১২ জন দুর্ধর্ষ পেশাদার ছিনতাইকারীকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ এই তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জানান, জেলগেট সংলগ্ন চুইজাল রেস্টুরেন্টের সামনে একদল ছিনতাইকারী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এক সিএনজি গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে এক ভুক্তভোগীর দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা, একটি ডায়মন্ড এর রিং (যার মূল্য অনুমান ৫৫হাজার) একটি মোবাইল ফোন অন্যান্য সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার সাথে ভুক্তভোগী এই বিষয়ে পুলিশকে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের একাধিক দল অভিযান শুরু করে।
অভিযানে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই ঘটনায় জড়িতসহ ১২জন পেশাকার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার টেকপাড়ার মাসুদ হোসেনের ছেলে তানভীর হোসেন প্রকাশ পেটান, প্রকাশ আজাদুর রহমান (২২), কক্সবাজার পৌরসভার পাহাড়তলী এলাকার মোঃ শফিকের ছেলে মোঃ ইসমাঈল (২০), পাহাড়তলী ইসুলের ঘোনার এলাকার মোঃ সরওয়ারের ছেলে ইমরান সরওয়ার ইমন (২১), টেকপাড়ার মোঃ ফরিদের ছেলে মোঃ ইরফান ফারদিন (২০), মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোমের খোন্দকার পাড়া এলাকার মোঃ হোছনের ছেলে সিহাব প্রকাশ খোকন (২৯), কক্সবাজার পৌরসভার সমিতিপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ সোহেল (২৮), বৌদ্ধমন্দির এলাকার কৃষ্ণ চন্দ্র দাশের ছেলে সুমন কান্তি দাশ (২৫), কক্সবাজার পৌরসভার নতুন বাহারছড়া এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে মোঃ হান্নান (১৯), পিটিস্কুল এলাকার মোঃ সেলিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৪) ও মোঃ হানিফের ছেলে মোঃ শাহীন প্রকাশ বুলেট (২২), পৌরসভার বাহারছড়ার মৃত ইসমাঈল মাঝির ছেলে হাসান মাহমুদ সাগর প্রকাশ ভিকি এবং টেকপাড়া চৌমুহনী এলাকার মোস্তফা কামালের পুত্র মিজবাউল হক মুন্না।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তারকৃত সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ নানা অপরাধের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনের সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের সূত্র বলছে, সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন অলিগলিতে তৎপর থাকে চক্রের সদস্যরা। এরা টার্গেট ব্যক্তিকে অনুসরণ করে। একপর্যায়ে সালাম দিয়ে থামায়। আবার কখনো কখনো সুবিধামতো জায়গায় ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে মারধর শুরু করে। পথচারীরা এগিয়ে আসলে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ মারামারি বলে জানায়। ততক্ষণে ছিনতাইয়ের কাজটি সেরে ফেলে চক্রের অন্য কোনো সদস্য। তারা ছিনতাইয়ের কাজে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে।
ছিনতাই চক্রের সদস্যদের অধিকাংশই কক্সবাজার শহরসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান অবস্থায় বসবাস করে। তাদের মধ্যে প্রায় সবার বিরুদ্ধে মাদক ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে ওই চক্রের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো একই অপরাধে জড়ায়।