ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবিতে বহিরাগত শিক্ষার্থীর লাশ নিয়ে ধোঁয়াশা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি
  • সময় ০১:২৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 32

রাবিতে বহিরাগত শিক্ষার্থীর লাশ নিয়ে ধোঁয়াশা!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিমুল শিহাব নামে এক বহিরাগত শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে শিমুল কীভাবে মারা গেছেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা

নিহত শিমুল শিহাব রাজশাহী কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি রাজশাহী নগরের মেহেড়চন্ডী এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দাবি করলেও নিহতের শরীরের বাইরের অংশে বড় কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ক্যাম্পাস থেকে রাত ১১টার দিকে একটি ছেলেকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রথমে সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলে লুকানো হচ্ছিল।

পরে জেরার মুখে মারামারিতে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। তাকে ‘ফিজিক্যাল অ্যাসল্টেড ব্রট ডেথ’ হিসেবে পেয়েছেন। শরীরের বাইরের অংশে বড় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতরে শিমুল তার মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে সায়েন্স ভবনের দিকে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে প্রক্টর দপ্তরের গাড়ি দেখে তারা বাইক নিয়ে পালাতে গেলে ওই যুবক রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ও পরে রামেক হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক সাজিদ হাফিজ বলেন, ‘যখন ওই ছেলেকে নিয়ে আসে, তখন তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে গায়ে ধুলাবালি লেগে ছিল।

ওই সময় রোগীর পালস বা বিপি কোনোটাই ছিল না। পরে তাকে আমরা রামেকে রেফার করে দেই।’
এ বিষয়ে নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক আজ শুক্রবার সকালে বলেন, নিহতের পরিবার এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। তারা মৌখিকভাবে দাবি করেছেন, তাকে মারধর করে মারা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তারা মামলা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। মরদেহে মারধর, ছেড়া-ফাটা কিংবা ক্ষতের দাগ পাওয়া যায়নি। তাই সুনির্দিষ্টভাবে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

শেয়ার করুন

রাবিতে বহিরাগত শিক্ষার্থীর লাশ নিয়ে ধোঁয়াশা!

সময় ০১:২৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিমুল শিহাব নামে এক বহিরাগত শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে শিমুল কীভাবে মারা গেছেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা

নিহত শিমুল শিহাব রাজশাহী কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি রাজশাহী নগরের মেহেড়চন্ডী এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দাবি করলেও নিহতের শরীরের বাইরের অংশে বড় কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ক্যাম্পাস থেকে রাত ১১টার দিকে একটি ছেলেকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রথমে সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলে লুকানো হচ্ছিল।

পরে জেরার মুখে মারামারিতে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। তাকে ‘ফিজিক্যাল অ্যাসল্টেড ব্রট ডেথ’ হিসেবে পেয়েছেন। শরীরের বাইরের অংশে বড় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতরে শিমুল তার মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে সায়েন্স ভবনের দিকে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে প্রক্টর দপ্তরের গাড়ি দেখে তারা বাইক নিয়ে পালাতে গেলে ওই যুবক রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ও পরে রামেক হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক সাজিদ হাফিজ বলেন, ‘যখন ওই ছেলেকে নিয়ে আসে, তখন তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে গায়ে ধুলাবালি লেগে ছিল।

ওই সময় রোগীর পালস বা বিপি কোনোটাই ছিল না। পরে তাকে আমরা রামেকে রেফার করে দেই।’
এ বিষয়ে নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক আজ শুক্রবার সকালে বলেন, নিহতের পরিবার এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। তারা মৌখিকভাবে দাবি করেছেন, তাকে মারধর করে মারা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তারা মামলা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। মরদেহে মারধর, ছেড়া-ফাটা কিংবা ক্ষতের দাগ পাওয়া যায়নি। তাই সুনির্দিষ্টভাবে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।