ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুনের ৩৮ দিন পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
  • সময় ০৪:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 26

৩৮ দিন পর মরদেহ উত্তোলন

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দাফনের প্রায় ৩৮ দিন পর কবর থেকে তরিকুল শেখ নামের এক ট্রাকচালকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলার কয়া ইউনিয়নের উত্তর কয়া বাইতু্ল মামুর কবরস্থান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তরিকুল একই এলাকার ছাবদুল শেখের ছেলে।

আদালতের নির্দেশে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন উদ্দিন, কুষ্টিয়া সদর থানার উপপরিদর্শক মো. খায়রুজ্জামান ও নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বলছে, গাঁজা না পেয়ে চালককে হত্যা করেছিলেন হেলপার আল-আমিন। অভিযুক্ত হেলপার আল আমিন শেখ তিনি খোকসার শিংগুড়িয়ার চরপাড়া এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে।

কুষ্টিয়া সদর থানা
কুষ্টিয়া সদর থানা

পুলিশ জানায়, নিহত তরিকুল শেখ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ট্রাকচালক ছিলেন। ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর তরিকুল মোংলার বন্দরে থেকে পঞ্চগড় যাচ্ছিলেন। পথে কুষ্টিয়ার বাইপাস সড়কের জগতি এলাকায় পৌঁছালে তার কাছে গাঁজা চান হেলপার আল আমিন। সেসময় গাঁজা না দেওয়ায় লোহার গ্রিসগান দিয়ে তরিকুলের মাথা, গলা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজান এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হিসেবে ওই দিনই ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি দাফন করা হয় তরিকুলকে।

ঘটনার দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর হেলপার আল আমিন আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। সেদিন নিহত তরিকুলের চাচা মো. আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় হেলপার আল আমিনকে আসামি করা হয়। পরদিন পুলিশ মরদেহ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত ২২ ডিসেম্বর মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি দেন। আর প্রক্রিয়া শেষে বুধবার মরদেহটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

খুনের ৩৮ দিন পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন

সময় ০৪:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দাফনের প্রায় ৩৮ দিন পর কবর থেকে তরিকুল শেখ নামের এক ট্রাকচালকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলার কয়া ইউনিয়নের উত্তর কয়া বাইতু্ল মামুর কবরস্থান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তরিকুল একই এলাকার ছাবদুল শেখের ছেলে।

আদালতের নির্দেশে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন উদ্দিন, কুষ্টিয়া সদর থানার উপপরিদর্শক মো. খায়রুজ্জামান ও নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বলছে, গাঁজা না পেয়ে চালককে হত্যা করেছিলেন হেলপার আল-আমিন। অভিযুক্ত হেলপার আল আমিন শেখ তিনি খোকসার শিংগুড়িয়ার চরপাড়া এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে।

কুষ্টিয়া সদর থানা
কুষ্টিয়া সদর থানা

পুলিশ জানায়, নিহত তরিকুল শেখ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ট্রাকচালক ছিলেন। ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর তরিকুল মোংলার বন্দরে থেকে পঞ্চগড় যাচ্ছিলেন। পথে কুষ্টিয়ার বাইপাস সড়কের জগতি এলাকায় পৌঁছালে তার কাছে গাঁজা চান হেলপার আল আমিন। সেসময় গাঁজা না দেওয়ায় লোহার গ্রিসগান দিয়ে তরিকুলের মাথা, গলা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজান এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হিসেবে ওই দিনই ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি দাফন করা হয় তরিকুলকে।

ঘটনার দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর হেলপার আল আমিন আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। সেদিন নিহত তরিকুলের চাচা মো. আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় হেলপার আল আমিনকে আসামি করা হয়। পরদিন পুলিশ মরদেহ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত ২২ ডিসেম্বর মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি দেন। আর প্রক্রিয়া শেষে বুধবার মরদেহটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।