ঢাকা ০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘এই সাংবিধানিক অধিকার হাস্যকর’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১২:৫১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 19

‘এই সাংবিধানিক অধিকার হাস্যকর’

প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণ করেই নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন। এবার তিনি দেশটির জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল করেছেন। কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন, প্রায় ১৫০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেয়া শিশুরা ‘জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব’ পেয়ে আসছেন। ট্রাম্প এই সাংবিধানিক অধিকারকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অভিবাসীদের দৌড়াত্ম ঠেকাতে শক্তভাবে নেমেছেন। এরই অংশ হিসেবে শপথ গ্রহণের প্রথম দিন তিনি জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল করেছেন। খবর সিএনএন

একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বিচার বিভাগের জাতীয় অভিবাসন আদালত পরিচালনাকারী সংস্থার শীর্ষ নেতৃত্বকে সরিয়ে দিয়েছেন। গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) ট্রাম্প শপথ নেয়ার পরই এ কাজ করেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প

অভিভাসন বিষয়ক নির্বাহী অফিসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আদালত পরিচালিত হয়ে থাকে। যেখানে অভিবাসন বিচারকরা সিদ্ধান্ত নেন যে অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবেন নাকি তাদের বহিষ্কার করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর। তার বিশ্বাস এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনগত যুক্তি আছে।

আদেশে সই করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তার এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

এদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে বা শিক্ষা-পর্যটনসহ সাময়িক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে সন্তান জন্ম দিলে শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। তবে বাবা-মায়ের কেউ আমেরিকান নাগরিক হলে সন্তান জন্মের পরই মার্কিন নাগরিক বলে স্বীকৃতি পাবে।

শেয়ার করুন

‘এই সাংবিধানিক অধিকার হাস্যকর’

সময় ১২:৫১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণ করেই নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন। এবার তিনি দেশটির জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল করেছেন। কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন, প্রায় ১৫০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেয়া শিশুরা ‘জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব’ পেয়ে আসছেন। ট্রাম্প এই সাংবিধানিক অধিকারকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অভিবাসীদের দৌড়াত্ম ঠেকাতে শক্তভাবে নেমেছেন। এরই অংশ হিসেবে শপথ গ্রহণের প্রথম দিন তিনি জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল করেছেন। খবর সিএনএন

একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বিচার বিভাগের জাতীয় অভিবাসন আদালত পরিচালনাকারী সংস্থার শীর্ষ নেতৃত্বকে সরিয়ে দিয়েছেন। গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) ট্রাম্প শপথ নেয়ার পরই এ কাজ করেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প

অভিভাসন বিষয়ক নির্বাহী অফিসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আদালত পরিচালিত হয়ে থাকে। যেখানে অভিবাসন বিচারকরা সিদ্ধান্ত নেন যে অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবেন নাকি তাদের বহিষ্কার করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর। তার বিশ্বাস এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনগত যুক্তি আছে।

আদেশে সই করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তার এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

এদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে বা শিক্ষা-পর্যটনসহ সাময়িক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে সন্তান জন্ম দিলে শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। তবে বাবা-মায়ের কেউ আমেরিকান নাগরিক হলে সন্তান জন্মের পরই মার্কিন নাগরিক বলে স্বীকৃতি পাবে।