ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাসকগোষ্ঠী শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৭:০৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 17

শহীদ আসাদ

শহীদদের আত্মত্যাগকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনিক শাসকগোষ্ঠী শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ সোমবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে আসাদ স্মৃতিবেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাইফুল হক বলেন, ‘আসাদ যে অধিকার, মুক্তি ও গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন; স্বাধীন বাংলাদেশে তা অর্জিত হয়নি। বরং দেশকে বিপরীতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। শাসকগোষ্ঠী শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ আসাদের রক্তের ধারাতেই ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের জমিন তৈরি হয়। আসাদের স্বপ্ন ছিল শোষণ-বৈষম্যহীন জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু এখনো বাংলাদেশ বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও মানবিক হয়নি।

বরং গত ৫৪ বছরে আসাদসহ লাখ লাখ শহীদের আত্মত্যাগকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।’

শহীদ আসাদ দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধা
শহীদ আসাদ দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধা

তিনি আরো বলেন, ‘২০২৪-এর ছাত্র, শ্রমিক, জনতার গণ-অভ্যুত্থান আসাদসহ আমাদের লাখ লাখ শহীদের স্বপ্ন শোষণহীন সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ এবার আর বিনষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।

এর আগে শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রিয়েল, জোনায়েত হোসেন ও আরিফুল ইসলাম আরিফ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তার এই আত্মত্যাগ স্বৈরশাসনবিরোধী চলমান আন্দোলনকে বেগবান করে। পরবর্তীতে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের।

শেয়ার করুন

শাসকগোষ্ঠী শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছে

সময় ০৭:০৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

শহীদদের আত্মত্যাগকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনিক শাসকগোষ্ঠী শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ সোমবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে আসাদ স্মৃতিবেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাইফুল হক বলেন, ‘আসাদ যে অধিকার, মুক্তি ও গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন; স্বাধীন বাংলাদেশে তা অর্জিত হয়নি। বরং দেশকে বিপরীতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। শাসকগোষ্ঠী শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ আসাদের রক্তের ধারাতেই ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের জমিন তৈরি হয়। আসাদের স্বপ্ন ছিল শোষণ-বৈষম্যহীন জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু এখনো বাংলাদেশ বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও মানবিক হয়নি।

বরং গত ৫৪ বছরে আসাদসহ লাখ লাখ শহীদের আত্মত্যাগকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।’

শহীদ আসাদ দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধা
শহীদ আসাদ দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধা

তিনি আরো বলেন, ‘২০২৪-এর ছাত্র, শ্রমিক, জনতার গণ-অভ্যুত্থান আসাদসহ আমাদের লাখ লাখ শহীদের স্বপ্ন শোষণহীন সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ এবার আর বিনষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।

এর আগে শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রিয়েল, জোনায়েত হোসেন ও আরিফুল ইসলাম আরিফ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তার এই আত্মত্যাগ স্বৈরশাসনবিরোধী চলমান আন্দোলনকে বেগবান করে। পরবর্তীতে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের।