ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে দেশে বাধ্যতামূলক হবে বিবাহপূর্ব মেডিকেল পরীক্ষা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ০৬:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 23

বিবাহপূর্ব মেডিকেল পরীক্ষা

বিয়ের আগে মেডিকেল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে আইন করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। এমনকি ২০২৬ সাল থেকে বিষয়টি বাধ্যতামূলক হচ্ছে। আইন করার আগে সিকেল সেল অ্যানিমিয়া এবং বেটা-থ্যালাসেমিয়াসহ বংশগত রক্ত​রোগের বৃদ্ধি মোকাবেলায় ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগামী মাসে বিয়েপূর্ব মেডিকেল পরীক্ষা প্রচারের জন্য বছরব্যাপী জাতীয়ভাবে প্রচারণা শুরু করবে। যে দেশটির কথা বলা হয়েছে, সেটি হচ্ছে ওমান।

দেশটিতে এই উদ্যোগ জনস্বাস্থ্য উন্নত করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘস্থায়ী প্রচেষ্টার অংশ। ১৯৯৯ সাল থেকেই বিয়েপূর্ব স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম বা মেডিক্যাল পরীক্ষা ওমানের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কৌশলের অন্তর্ভুক্ত। তবে এই প্রগ্রামে মানুষের আগ্রহ বেশ কম। তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে।

এই প্রচারণার তাৎপর্য সম্পর্কে মাসকট ডেইলির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একজন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা বলেন, ‘এই প্রগ্রামটি বেশ কয়েক বছর ধরে চালু থাকলেও খুব অল্প মানুষই এই সেবা নিয়েছে।

ওমানে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিবাহের হার বেশি, তাই আমাদের সমাজে বংশগত রক্তের ব্যাধি বাড়ার একটি প্রধান কারণ।’

পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রায় ৭ শতাংশ শিশু বংশগত রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও ওমানে এই হার ৯-১০ শতাংশ। এ জন্য ওমানে রক্তসম্পর্কিত বিবাহ প্রচলনের বিষয়টিকে কারণ বলে মনে করা হয়।

এ বিষয়ে প্রচারণার মূল লক্ষ্য বিবাহপূর্ব মেডিকেল পরীক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, যাতে বেশিসংখ্যক মানুষকে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা।

অন্যান্য দেশের মতো ওমানেও বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন, এ রকম স্বামী-স্ত্রীর সংখ্যা কম। এ সম্পর্কে প্রচলিত মেডিক্যাল প্রগ্রাম নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। আবার এ প্রজন্মের অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন, তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে তাদের অনেকের মধ্যেই কিছুটা লজ্জা ও ভয় কাজ করে, তাই জেনেও এড়িয়ে যান।

ওমানের মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, বংশগত রোগের প্রকোপ হ্রাস পেলে শুধু জনস্বাস্থ্যের উন্নতি হবে না, বরং স্বাস্থ্যসেবা সম্পদের ওপর চাপও কমাবে। এ ছাড়া বৃহত্তরভাবে ওমানি সমাজের কল্যাণ বয়ে আনবে।

সূত্র : মাসকট ডেইলি

শেয়ার করুন

যে দেশে বাধ্যতামূলক হবে বিবাহপূর্ব মেডিকেল পরীক্ষা

সময় ০৬:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

বিয়ের আগে মেডিকেল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে আইন করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। এমনকি ২০২৬ সাল থেকে বিষয়টি বাধ্যতামূলক হচ্ছে। আইন করার আগে সিকেল সেল অ্যানিমিয়া এবং বেটা-থ্যালাসেমিয়াসহ বংশগত রক্ত​রোগের বৃদ্ধি মোকাবেলায় ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগামী মাসে বিয়েপূর্ব মেডিকেল পরীক্ষা প্রচারের জন্য বছরব্যাপী জাতীয়ভাবে প্রচারণা শুরু করবে। যে দেশটির কথা বলা হয়েছে, সেটি হচ্ছে ওমান।

দেশটিতে এই উদ্যোগ জনস্বাস্থ্য উন্নত করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘস্থায়ী প্রচেষ্টার অংশ। ১৯৯৯ সাল থেকেই বিয়েপূর্ব স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম বা মেডিক্যাল পরীক্ষা ওমানের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কৌশলের অন্তর্ভুক্ত। তবে এই প্রগ্রামে মানুষের আগ্রহ বেশ কম। তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে।

এই প্রচারণার তাৎপর্য সম্পর্কে মাসকট ডেইলির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একজন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা বলেন, ‘এই প্রগ্রামটি বেশ কয়েক বছর ধরে চালু থাকলেও খুব অল্প মানুষই এই সেবা নিয়েছে।

ওমানে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিবাহের হার বেশি, তাই আমাদের সমাজে বংশগত রক্তের ব্যাধি বাড়ার একটি প্রধান কারণ।’

পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রায় ৭ শতাংশ শিশু বংশগত রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও ওমানে এই হার ৯-১০ শতাংশ। এ জন্য ওমানে রক্তসম্পর্কিত বিবাহ প্রচলনের বিষয়টিকে কারণ বলে মনে করা হয়।

এ বিষয়ে প্রচারণার মূল লক্ষ্য বিবাহপূর্ব মেডিকেল পরীক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, যাতে বেশিসংখ্যক মানুষকে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা।

অন্যান্য দেশের মতো ওমানেও বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন, এ রকম স্বামী-স্ত্রীর সংখ্যা কম। এ সম্পর্কে প্রচলিত মেডিক্যাল প্রগ্রাম নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। আবার এ প্রজন্মের অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন, তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে তাদের অনেকের মধ্যেই কিছুটা লজ্জা ও ভয় কাজ করে, তাই জেনেও এড়িয়ে যান।

ওমানের মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, বংশগত রোগের প্রকোপ হ্রাস পেলে শুধু জনস্বাস্থ্যের উন্নতি হবে না, বরং স্বাস্থ্যসেবা সম্পদের ওপর চাপও কমাবে। এ ছাড়া বৃহত্তরভাবে ওমানি সমাজের কল্যাণ বয়ে আনবে।

সূত্র : মাসকট ডেইলি