ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপিও চাচ্ছে নির্বাচনে আ. লীগের অংশগ্রহণ

বিশেষ প্রতিনিধি
  • সময় ১১:১৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 17

আওয়ামী লীগ-বিএনপি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে। কেউ কেউ ইতোমধ্যে মাঠেও নেমে পড়েছেন। এদিকে, দেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)ও চাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ। কারণ হিসাবে নির্বাচনের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি

এদিকে, অন্তবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেখানে নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারবে।

কিন্তু সরকারের উপদেষ্টা ও বৈষম্য বিরোধীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচারের পর; দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

গত ৫ মাসে জুলাই-আগস্টের সেই পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারি দল জামায়াত ইসলামী ও বৈষম্য বিরোধীদের সাথে বিএনপির মতবিরোধ বেড়েছে। এই সুযোগে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয় নিয়ে আলোচনাও চলছে।

গেল বছরের ৫ আগষ্ট প্রবল জনরোষের মুখে দেশ ছাড়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে দলটির অধিকাংশ নেতা-কর্মীরাও পালিয়ে যায়। শেখ হাসিনাসহ অধিকাংশ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলাও হয়েছে।

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি দন্ডিত না হলে তার নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোন বাঁধা নেই। সুতরাং এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনাসহ তার সংসদের অধিকাংশ সংসদ সদস্যের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোন বাঁধা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়া শুরুর দিকে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার দায়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি উঠলেও; সে অবস্থান থেকেও সরে এসেছে বর্তমান অন্তবর্তী সরকার। সুতরাং দলগতভাবেও তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোন বাঁধা নেই।

তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে টাইমস ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, তার মা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বিচলিত ও হতাশ, এবং নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।

শেখ হাসিনা পুত্রের সেই বক্তব্যের পর দেশের এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। শুরুতে আওয়ামী লীগের মনোবল যতোটা ভেঙ্গে পড়েছিল, সেই অবস্থা থেকে অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

রাজনীতির মাঠে গুঞ্জণ রয়েছে প্রতিবেশি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়েও অনেকটা এগিয়েছে। তাছাড়া দল হিসেবে বিএনপিও চাচ্ছে: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ। কেননা বিএনপি মনে করে, আওয়ামী লীগবিহীন নির্বাচন আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। যদিও এসব আলোচনার সবই গুঞ্জণ। প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কারো কোন মন্তব্য নেই।

শেয়ার করুন

বিএনপিও চাচ্ছে নির্বাচনে আ. লীগের অংশগ্রহণ

সময় ১১:১৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে। কেউ কেউ ইতোমধ্যে মাঠেও নেমে পড়েছেন। এদিকে, দেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)ও চাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ। কারণ হিসাবে নির্বাচনের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি

এদিকে, অন্তবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেখানে নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারবে।

কিন্তু সরকারের উপদেষ্টা ও বৈষম্য বিরোধীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচারের পর; দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

গত ৫ মাসে জুলাই-আগস্টের সেই পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারি দল জামায়াত ইসলামী ও বৈষম্য বিরোধীদের সাথে বিএনপির মতবিরোধ বেড়েছে। এই সুযোগে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয় নিয়ে আলোচনাও চলছে।

গেল বছরের ৫ আগষ্ট প্রবল জনরোষের মুখে দেশ ছাড়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে দলটির অধিকাংশ নেতা-কর্মীরাও পালিয়ে যায়। শেখ হাসিনাসহ অধিকাংশ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলাও হয়েছে।

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি দন্ডিত না হলে তার নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোন বাঁধা নেই। সুতরাং এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনাসহ তার সংসদের অধিকাংশ সংসদ সদস্যের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোন বাঁধা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়া শুরুর দিকে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার দায়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি উঠলেও; সে অবস্থান থেকেও সরে এসেছে বর্তমান অন্তবর্তী সরকার। সুতরাং দলগতভাবেও তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোন বাঁধা নেই।

তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে টাইমস ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, তার মা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বিচলিত ও হতাশ, এবং নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।

শেখ হাসিনা পুত্রের সেই বক্তব্যের পর দেশের এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। শুরুতে আওয়ামী লীগের মনোবল যতোটা ভেঙ্গে পড়েছিল, সেই অবস্থা থেকে অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

রাজনীতির মাঠে গুঞ্জণ রয়েছে প্রতিবেশি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়েও অনেকটা এগিয়েছে। তাছাড়া দল হিসেবে বিএনপিও চাচ্ছে: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ। কেননা বিএনপি মনে করে, আওয়ামী লীগবিহীন নির্বাচন আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। যদিও এসব আলোচনার সবই গুঞ্জণ। প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কারো কোন মন্তব্য নেই।