ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লুট হওয়া তিন কোটি টাকার ফার্নেস অয়েল উদ্ধার

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ০২:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 17

লুট হওয়া তিন কোটি টাকার ফার্নেস অয়েল উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের একটি তেলবাহী জাহাজ থেকে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েল সাত দিন পর সিরাজগঞ্জের চৌহালী থেকে উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। এ সময় ফার্নেস অয়েল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি বাল্কহেড জব্দ এবং অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ফার্নেস অয়েলের মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর চরসলিমাবাদ এলাকার ভূতের মোড় নৌঘাটে এ অভিযান চালানো হয়।

এর আগে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোরে মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনায় ওটি বিন জামান-১ নামের তেলবাহী জাহাজের ছয় কর্মচারীকে জিম্মি করে ৩৫০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল লুট করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— বরগুনার সড়ক গাছিয়া গ্রামের হানিফের ছেলে সুমন সেখ (২৩), খাগবুনিয়া গ্রামের চান খানের ছেলে রিয়াজ খান (২২), লাকুরতলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ফেরদৌস (২২), নারায়ণগঞ্জের চর ধলেশ্বরী গ্রামের আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে ইসলাম ব্যাপারী (৩৯) ও একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন তপু (২৬)। নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ওই অভিযানে টাঙ্গাইল নৌ পুলিশ সুপার সোহেল রানা, চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আরিফ হোসেন ও মুন্সীগঞ্জ থানার এসআই ইমরান হাসান অংশ নেন।

চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আরিফ হোসেন জানান, শুক্রবার ভোরে (১০ জানুয়ারি) মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনায় ওটি বিন জামান-১ নামের তেলবাহী জাহাজের ৬ কর্মচারীকে জিম্মি করে ৩৫০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল লুট করে বালুবাহি বাল্কহেডে ভর্তি করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।

এ ঘটনায় জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কিং ফিশার শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার (অপারেশন) ফজলে খোদা বাদী হয়ে ১১ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।  নৌ পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে। অভিযানে ২৬০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল ভর্তি একটি বাল্কহেড জব্দ এবং ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ফার্নেস অয়েলের মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। ওই বাল্কহেডটি দুই দিন আগ থেকে ভূতের মোড় নৌঘাটে অবস্থান করছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার সোহেল রানা জানান, মুন্সীগঞ্জ থেকে ফার্নেস অয়েলবোঝাই জাহাজটি টুঙ্গীর কড্ডা এলাকার সামিট পাওয়ার প্লান্টে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে জাহাজটি ডাকাতদের কবলে পড়ে। ঘটনার পর থেকে নদীতে নৌ পুলিশের অভিযান চলছিল। অবশেষে ৭ দিন পর যমুনা নদীর চৌহালী এলাকা থেকে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েলসহ একটি বাল্কহেড জব্দ ও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সবাইকে নৌ পুলিশের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

লুট হওয়া তিন কোটি টাকার ফার্নেস অয়েল উদ্ধার

সময় ০২:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের একটি তেলবাহী জাহাজ থেকে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েল সাত দিন পর সিরাজগঞ্জের চৌহালী থেকে উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। এ সময় ফার্নেস অয়েল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি বাল্কহেড জব্দ এবং অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ফার্নেস অয়েলের মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর চরসলিমাবাদ এলাকার ভূতের মোড় নৌঘাটে এ অভিযান চালানো হয়।

এর আগে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোরে মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনায় ওটি বিন জামান-১ নামের তেলবাহী জাহাজের ছয় কর্মচারীকে জিম্মি করে ৩৫০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল লুট করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— বরগুনার সড়ক গাছিয়া গ্রামের হানিফের ছেলে সুমন সেখ (২৩), খাগবুনিয়া গ্রামের চান খানের ছেলে রিয়াজ খান (২২), লাকুরতলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ফেরদৌস (২২), নারায়ণগঞ্জের চর ধলেশ্বরী গ্রামের আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে ইসলাম ব্যাপারী (৩৯) ও একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন তপু (২৬)। নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ওই অভিযানে টাঙ্গাইল নৌ পুলিশ সুপার সোহেল রানা, চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আরিফ হোসেন ও মুন্সীগঞ্জ থানার এসআই ইমরান হাসান অংশ নেন।

চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আরিফ হোসেন জানান, শুক্রবার ভোরে (১০ জানুয়ারি) মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনায় ওটি বিন জামান-১ নামের তেলবাহী জাহাজের ৬ কর্মচারীকে জিম্মি করে ৩৫০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল লুট করে বালুবাহি বাল্কহেডে ভর্তি করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।

এ ঘটনায় জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কিং ফিশার শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার (অপারেশন) ফজলে খোদা বাদী হয়ে ১১ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।  নৌ পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে। অভিযানে ২৬০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল ভর্তি একটি বাল্কহেড জব্দ এবং ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ফার্নেস অয়েলের মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। ওই বাল্কহেডটি দুই দিন আগ থেকে ভূতের মোড় নৌঘাটে অবস্থান করছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার সোহেল রানা জানান, মুন্সীগঞ্জ থেকে ফার্নেস অয়েলবোঝাই জাহাজটি টুঙ্গীর কড্ডা এলাকার সামিট পাওয়ার প্লান্টে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে জাহাজটি ডাকাতদের কবলে পড়ে। ঘটনার পর থেকে নদীতে নৌ পুলিশের অভিযান চলছিল। অবশেষে ৭ দিন পর যমুনা নদীর চৌহালী এলাকা থেকে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েলসহ একটি বাল্কহেড জব্দ ও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সবাইকে নৌ পুলিশের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।