ঢাকা ০১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরিফ ডাকাতের মরদেহ উদ্ধার

সিনিয়র প্রতিবেদক, কক্সবাজার
  • সময় ১০:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 22

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতের মরদেহ

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড় থেকে মোহাম্মদ শরিফ (২০) নামে এক রোহিঙ্গা ডাকাতের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪) বিকেলের দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মুচনী রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

মোহাম্মদ শরিফ মুচনী রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের বি ব্লকের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে এবং রোহিঙ্গা ডাকাত শফি গ্রুপের সদস্য। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণসহ নানা অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সাধারণ রোহিঙ্গারা জানান, শরিফের অত্যাচারে সাধারণ রোহিঙ্গারা অসহায় ছিলেন। তার মরদেহ পাওয়ার খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।

ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, পাহাড়ের একটি ঝোপের পাশে মরদেহটি মাটি চাপা অবস্থায় ছিল। কোনো কারণে মাটি সরে গেলে গাছ সংগ্রহে যাওয়া রোহিঙ্গারা দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করার পর পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক অবস্থায় এক সপ্তাহ আগে শরিফকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের ডাকাত চক্রের বিরোধের জের ধরে অপরপক্ষ বা নিজের মধ্যে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরিফ ডাকাতের মরদেহ উদ্ধার

সময় ১০:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড় থেকে মোহাম্মদ শরিফ (২০) নামে এক রোহিঙ্গা ডাকাতের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪) বিকেলের দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মুচনী রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

মোহাম্মদ শরিফ মুচনী রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের বি ব্লকের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে এবং রোহিঙ্গা ডাকাত শফি গ্রুপের সদস্য। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণসহ নানা অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সাধারণ রোহিঙ্গারা জানান, শরিফের অত্যাচারে সাধারণ রোহিঙ্গারা অসহায় ছিলেন। তার মরদেহ পাওয়ার খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।

ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, পাহাড়ের একটি ঝোপের পাশে মরদেহটি মাটি চাপা অবস্থায় ছিল। কোনো কারণে মাটি সরে গেলে গাছ সংগ্রহে যাওয়া রোহিঙ্গারা দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করার পর পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক অবস্থায় এক সপ্তাহ আগে শরিফকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের ডাকাত চক্রের বিরোধের জের ধরে অপরপক্ষ বা নিজের মধ্যে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।