ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপমানের মধুর প্রতিশোধ নিলেন তামিম ইকবাল

জুয়াইরিয়া খান
  • সময় ০৪:১২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 43

অপমানের মধুর প্রতিশোধ নিলেন তামিম ইকবাল

সন্দেহাতীতভাবে তামিম ইকবাল খান, বাংলাদেশ ক্রিকেটে পঞ্চপাণ্ডবদের একজন। তিনি তার ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে মধুর প্রতিশোধ নিলেন। আবারও জাতীয় দলে ফেরার কথা বলা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকেই। কিন্তু তিনি আন্তজার্তিক ক্রিকেটে না ফেরার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত, ক্রিকেট বোর্ডে তামিম তার আপন চাচাকে অপমানিত হতে দেখেছেন, সেদিনই মনস্থির করেছিলেন; সুযোগ আসলে তিনি তার জবাব দিবেন। করেছেনও সেটাই। তামিম ইকবাল খান আর খেলবেন না বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এমনটাই মনে করেন ক্রিকেট ভক্তরা।

চাচা আকরাম খানের হাত ধরেই বাংলাদেশ জিতেছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি। তারপর বাংলাদেশের ক্রিকেটে চট্টগ্রামের খান পরিবারের অবদান সবাই জানেন। তামিমের বড় ভাই নাসিফ ইকবালও ক্রিকেটে বিশেষ করে বোর্ডের নোংরা রাজনীতির কারণে জাতীয় দলের ওপেনার হিসাবে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ভাই এবং চাচার প্রতি যে খানিকটা অন্যায় হয়েছিল, সেটির মৌন প্রতিবাদ হিসাবে তামিম ইকবাল সুযোগ থাকার পরও আন্তজার্তিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। বিষয়গুলো বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে নিশ্চিত করেছেন তামিম ইকবাল খান ও তার স্ত্রীর পরিবারের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র।

তামিম ইকবাল খান
তামিম ইকবাল খান

এদিকে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিম ইকবালের পথচলা থমকে ছিল অনেক দিন ধরেই। এবার তা পুরোপুরিই থামিয়ে দিলেন তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে আর দেখা যাবে না দেশের সফলতম ওপেনারকে।

সামাজিক মাধ্যমে ১০ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে বিদায়ের এই ঘোষণা জানান তামিম। কিন্তু হঠাৎ করে কি এমন ঘটলো- এ নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই।

চট্টগ্রামের এই প্রতিভাবান ক্রিকেটার, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত। ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই তিনি ক্রিকেট ভক্তদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন।

তামিম ইকবাল
তামিম ইকবাল

পাকিস্তানের বিপক্ষে তার প্রথম ওডিআই শতক এবং বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে ঝলমলে ইনিংস দিয়ে তামিম তার আগমনী বার্তা দেন। তামিম ইকবালের ব্যাটিং কৌশল এবং সাহসিকতা তাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত করে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওডিআইতে ৭,০০০ রান করার মাইলফলক স্পর্শ করে তিনি ইতিহাস গড়েন। টেস্ট ক্রিকেটে তার ডাবল সেঞ্চুরি, বিশেষত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৯ সালের ইনিংস, ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে চিরস্থায়ী।

তামিম ছিলেন দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনার, যার ব্যাটিং দলের জন্য আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। তার সাহসিকতাপূর্ণ ইনিংসগুলো প্রায়ই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দেয়। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৭-তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার ধারাবাহিক সাফল্য ছিল অতুলনীয়।

তামিম ইকবাল শুধু একজন ব্যাটসম্যানই নন, একজন নেতৃত্বদানকারী খেলোয়াড়ও। ২০২০ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজার পর ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দল আক্রমণাত্মক ও কৌশলী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে তার অধিনায়কত্বে ঘরের মাঠে এবং বিদেশের মাটিতে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিরিজ জয় তার নেতৃত্বের দক্ষতার সাক্ষর বহন করে।

তামিম ইকবাল খান
তামিম ইকবাল খান

একজন খেলোয়াড়ের জীবন কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ হয় না। তামিমও এর ব্যতিক্রম নন। চোট-আঘাত, ফর্মহীনতা, এবং দলীয় চাপে ভুগেছেন তিনি। তবে তিনি প্রতিবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক হাতে ব্যাট করার সেই দৃশ্য ক্রীড়াজগতের ইতিহাসে অনন্য। এই দৃঢ় মনোভাবই তাকে তার সমসাময়িকদের থেকে আলাদা করেছে।

২০২৩ সালের ৬ জুলাইতে আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তামিম ইকবাল। পরদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তারকা বাঁহাতি ওপেনার। দেড় বছরের ব্যবধানে আবার বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে একেবারে সরে দাঁড়ালেন তিনি।

তামিম ইকবাল খান
তামিম ইকবাল খান

অবশেষে গতকাল ১০ জানুয়ারি, এক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষে তামিম ইকবাল ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক মঞ্চকে বিদায় জানান। তার বিদায়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যেমন শোকাহত, তেমনি গর্বিত তার অর্জন নিয়ে।

নানা নাটকীয় কাণ্ডে অনেক দিন থেকেই জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন তামিম। ফেরার গুঞ্জন থাকলেও তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে গত কিছুদিন ফের সেই আলোচনা চলছিল। আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের স্কোয়াডে ৩৫ বছর বয়সী ক্রিকেটারের থাকার জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়। ফরচুন বরিশালের হয়ে চলমান বিপিএলে খেলতে থাকা তামিমের সঙ্গে গত বুধবার আলোচনা করেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। সেই আলোচনাতেও চূড়ান্ত কিছু উঠে আসেনি। লিপু জানান, পরিবার, শুভাকাঙ্ক্ষী ও প্রিয় কোচের সঙ্গে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নিবেন তামিম। এরপর দুই দিনের মধ্যে বিদায়ের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ওপেনার।

পরিবারের সঙ্গে তামিম
পরিবারের সঙ্গে তামিম

তামিম কেবল মাঠের মধ্যেই নয়, মাঠের বাইরেও অসাধারণ। সতীর্থদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনুপ্রেরণা এবং তার শান্ত মেজাজ তাকে বিশেষ করে তুলেছে। পরিবারপ্রিয় তামিম তার স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গেও সময় কাটাতে ভালোবাসেন।

 

শেয়ার করুন

অপমানের মধুর প্রতিশোধ নিলেন তামিম ইকবাল

সময় ০৪:১২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

সন্দেহাতীতভাবে তামিম ইকবাল খান, বাংলাদেশ ক্রিকেটে পঞ্চপাণ্ডবদের একজন। তিনি তার ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে মধুর প্রতিশোধ নিলেন। আবারও জাতীয় দলে ফেরার কথা বলা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকেই। কিন্তু তিনি আন্তজার্তিক ক্রিকেটে না ফেরার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত, ক্রিকেট বোর্ডে তামিম তার আপন চাচাকে অপমানিত হতে দেখেছেন, সেদিনই মনস্থির করেছিলেন; সুযোগ আসলে তিনি তার জবাব দিবেন। করেছেনও সেটাই। তামিম ইকবাল খান আর খেলবেন না বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এমনটাই মনে করেন ক্রিকেট ভক্তরা।

চাচা আকরাম খানের হাত ধরেই বাংলাদেশ জিতেছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি। তারপর বাংলাদেশের ক্রিকেটে চট্টগ্রামের খান পরিবারের অবদান সবাই জানেন। তামিমের বড় ভাই নাসিফ ইকবালও ক্রিকেটে বিশেষ করে বোর্ডের নোংরা রাজনীতির কারণে জাতীয় দলের ওপেনার হিসাবে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ভাই এবং চাচার প্রতি যে খানিকটা অন্যায় হয়েছিল, সেটির মৌন প্রতিবাদ হিসাবে তামিম ইকবাল সুযোগ থাকার পরও আন্তজার্তিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। বিষয়গুলো বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে নিশ্চিত করেছেন তামিম ইকবাল খান ও তার স্ত্রীর পরিবারের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র।

তামিম ইকবাল খান
তামিম ইকবাল খান

এদিকে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিম ইকবালের পথচলা থমকে ছিল অনেক দিন ধরেই। এবার তা পুরোপুরিই থামিয়ে দিলেন তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে আর দেখা যাবে না দেশের সফলতম ওপেনারকে।

সামাজিক মাধ্যমে ১০ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে বিদায়ের এই ঘোষণা জানান তামিম। কিন্তু হঠাৎ করে কি এমন ঘটলো- এ নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই।

চট্টগ্রামের এই প্রতিভাবান ক্রিকেটার, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত। ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই তিনি ক্রিকেট ভক্তদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন।

তামিম ইকবাল
তামিম ইকবাল

পাকিস্তানের বিপক্ষে তার প্রথম ওডিআই শতক এবং বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে ঝলমলে ইনিংস দিয়ে তামিম তার আগমনী বার্তা দেন। তামিম ইকবালের ব্যাটিং কৌশল এবং সাহসিকতা তাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত করে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওডিআইতে ৭,০০০ রান করার মাইলফলক স্পর্শ করে তিনি ইতিহাস গড়েন। টেস্ট ক্রিকেটে তার ডাবল সেঞ্চুরি, বিশেষত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৯ সালের ইনিংস, ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে চিরস্থায়ী।

তামিম ছিলেন দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনার, যার ব্যাটিং দলের জন্য আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। তার সাহসিকতাপূর্ণ ইনিংসগুলো প্রায়ই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দেয়। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৭-তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার ধারাবাহিক সাফল্য ছিল অতুলনীয়।

তামিম ইকবাল শুধু একজন ব্যাটসম্যানই নন, একজন নেতৃত্বদানকারী খেলোয়াড়ও। ২০২০ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজার পর ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দল আক্রমণাত্মক ও কৌশলী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে তার অধিনায়কত্বে ঘরের মাঠে এবং বিদেশের মাটিতে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিরিজ জয় তার নেতৃত্বের দক্ষতার সাক্ষর বহন করে।

তামিম ইকবাল খান
তামিম ইকবাল খান

একজন খেলোয়াড়ের জীবন কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ হয় না। তামিমও এর ব্যতিক্রম নন। চোট-আঘাত, ফর্মহীনতা, এবং দলীয় চাপে ভুগেছেন তিনি। তবে তিনি প্রতিবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক হাতে ব্যাট করার সেই দৃশ্য ক্রীড়াজগতের ইতিহাসে অনন্য। এই দৃঢ় মনোভাবই তাকে তার সমসাময়িকদের থেকে আলাদা করেছে।

২০২৩ সালের ৬ জুলাইতে আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তামিম ইকবাল। পরদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তারকা বাঁহাতি ওপেনার। দেড় বছরের ব্যবধানে আবার বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে একেবারে সরে দাঁড়ালেন তিনি।

তামিম ইকবাল খান
তামিম ইকবাল খান

অবশেষে গতকাল ১০ জানুয়ারি, এক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষে তামিম ইকবাল ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক মঞ্চকে বিদায় জানান। তার বিদায়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যেমন শোকাহত, তেমনি গর্বিত তার অর্জন নিয়ে।

নানা নাটকীয় কাণ্ডে অনেক দিন থেকেই জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন তামিম। ফেরার গুঞ্জন থাকলেও তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে গত কিছুদিন ফের সেই আলোচনা চলছিল। আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের স্কোয়াডে ৩৫ বছর বয়সী ক্রিকেটারের থাকার জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়। ফরচুন বরিশালের হয়ে চলমান বিপিএলে খেলতে থাকা তামিমের সঙ্গে গত বুধবার আলোচনা করেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। সেই আলোচনাতেও চূড়ান্ত কিছু উঠে আসেনি। লিপু জানান, পরিবার, শুভাকাঙ্ক্ষী ও প্রিয় কোচের সঙ্গে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নিবেন তামিম। এরপর দুই দিনের মধ্যে বিদায়ের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ওপেনার।

পরিবারের সঙ্গে তামিম
পরিবারের সঙ্গে তামিম

তামিম কেবল মাঠের মধ্যেই নয়, মাঠের বাইরেও অসাধারণ। সতীর্থদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনুপ্রেরণা এবং তার শান্ত মেজাজ তাকে বিশেষ করে তুলেছে। পরিবারপ্রিয় তামিম তার স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গেও সময় কাটাতে ভালোবাসেন।