ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিইপিজেডে শ্রমিকদের সংঘর্ষ, মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
  • সময় ০৩:২৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 24

সিইপিজেডে শ্রমিকদের সংঘর্ষ, মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (সিইপিজেড) দুটি কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আরো কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমে কাজ করছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সিইপিজেড এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলনের মুখে অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিয়েছে। দেখাদেখি একই দাবিতে অন্য কারখানাগুলোর শ্রমিকরাও আন্দোলন শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে জেএমএসের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। দু’দিন বন্ধ থাকার পর বিষয়টির সুরাহা হয়। শনিবার ফের কারখানাটি চালু হয়।

অন্যদিকে সকালে মেরিনকোর শ্রমিকরা দাবি আদায়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। সে সময় তারা ঢিল ছুড়ে সংলগ্ন জেএমএস কারখানার কয়েকটি জানালার কাঁচ ভাঙলে দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।

এরপর দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়।

এ ঘটনায় শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সুলাইমান বলেন, “এটি বেতন-ভাতা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নয়। দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি।”

শেয়ার করুন

সিইপিজেডে শ্রমিকদের সংঘর্ষ, মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী

সময় ০৩:২৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (সিইপিজেড) দুটি কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আরো কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমে কাজ করছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সিইপিজেড এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলনের মুখে অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিয়েছে। দেখাদেখি একই দাবিতে অন্য কারখানাগুলোর শ্রমিকরাও আন্দোলন শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে জেএমএসের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। দু’দিন বন্ধ থাকার পর বিষয়টির সুরাহা হয়। শনিবার ফের কারখানাটি চালু হয়।

অন্যদিকে সকালে মেরিনকোর শ্রমিকরা দাবি আদায়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। সে সময় তারা ঢিল ছুড়ে সংলগ্ন জেএমএস কারখানার কয়েকটি জানালার কাঁচ ভাঙলে দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।

এরপর দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়।

এ ঘটনায় শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সুলাইমান বলেন, “এটি বেতন-ভাতা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নয়। দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি।”