ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্মবিরতিতে বিপাকে মোংলা বন্দরের ১৪ বাণিজ্যিক জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোংলা
  • সময় ০২:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 44

জাহাজ

চাদঁপুরে কার্গো জাহাজে ৭ শ্রমিক হত্যার ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি। ফলে পণ্য খালাস-বোঝাইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে মোংলা বন্দরে অবস্থান করা ১৪টি দেশ-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ। শ্রমিকদের এমন কর্মবিরতির কারণে বিপাকে পরেচে ১৪ টি বাণিজ্যিক জাহাজ।

গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে চাদঁপুরে সার বোঝাই একটি কার্গো জাহাজে ৭ শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর রাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিকরা। কর্মবিরতির দুই দিন অতিবাহিত হলেও কোন সারা মিলেনি সরকার বা মালিক পক্ষের কাছ থেকে।

এদিকে, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ফলে মোংলা বন্দরে অবস্থান করা পন্য খালাসের অপেক্ষায় ১৪টি বাণিজ্যিক জাহাজ হারবাড়িয়া চ্যানেলে নঙ্গরে রয়েছে। গত দুই দিন পন্য খালাস করতে না পারায় লোকসানের মুখে পরতে হচ্ছে আমদানী-রপ্তানীকারক ব্যাবসায়ীদের।

মোংলা বন্দর

    মোংলা বন্দর

আজ শনিবার পণ্য বোঝাই আরো ২টি বিদেশী জাহাজ মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় প্রবেশ করার কথা রয়েছে। অপরদিকে, দেশে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাইটার, কার্গো ও বিভিন্ন নৌযান বন্দর চ্যানেলের পশুর নদীতে অবস্থান করছে। এখানে গত দুই দিনে প্রায় তিন শতাধিকের মতো লাইটার জাহাজ ছোট ছোট বয়ায় নঙ্গর করে আছে। তার মধ্য ৭০ ভাগ লাইটার ও কার্গোতে পন্য বোঝাই রয়েছে। এগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌছানোর কথা থাকলেও কর্মবিরতির কারণে মোংলা বন্দর চ্যানেলে পরে আছে। এতেও ক্ষতির মুখে পড়ছে দেশের ব্যাবসায়ীরা।

এ ঘটনায় শনিবার বিকালে মোংলা লঞ্চলেবার এ্যাশোসিয়েসন, লাইটার শ্রমিক ইউনিয়ন সহ অন্যান্য নৌযান শ্রমিক সংগঠনগুলো জরুরি সভার আয়োজন করেছে নেতৃবৃন্দরা। মালিক বা সরকারের পক্ষ থেকে সামাধানের কোন আশ্বাস না পেলে কেন্দ্র থেকে আন্দোলনের নতুন কঠোর কর্মসুচি ঘোষনা আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানায় শ্রমিকরা।

মোংলা লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ- সভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু বলেন, নৌযান শ্রমিকরা এবারে যে দাবী নিয়ে কর্মবিরতী শুরু করা হয়েছে তা পুরণ না হলে তাদের এ কর্মিরতী চলমান থাকতে পারে । কারণ, এর আগেও মালিক পক্ষকে বার বার তাগিদ দেয়া হয়েছিল কিন্ত তাতে কোন কর্নপাত করেনি মালিক পক্ষ। কিন্ত আজ ৭টি জীবন শেষ হতে হলো।

শেয়ার করুন

কর্মবিরতিতে বিপাকে মোংলা বন্দরের ১৪ বাণিজ্যিক জাহাজ

সময় ০২:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

চাদঁপুরে কার্গো জাহাজে ৭ শ্রমিক হত্যার ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি। ফলে পণ্য খালাস-বোঝাইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে মোংলা বন্দরে অবস্থান করা ১৪টি দেশ-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ। শ্রমিকদের এমন কর্মবিরতির কারণে বিপাকে পরেচে ১৪ টি বাণিজ্যিক জাহাজ।

গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে চাদঁপুরে সার বোঝাই একটি কার্গো জাহাজে ৭ শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর রাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিকরা। কর্মবিরতির দুই দিন অতিবাহিত হলেও কোন সারা মিলেনি সরকার বা মালিক পক্ষের কাছ থেকে।

এদিকে, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ফলে মোংলা বন্দরে অবস্থান করা পন্য খালাসের অপেক্ষায় ১৪টি বাণিজ্যিক জাহাজ হারবাড়িয়া চ্যানেলে নঙ্গরে রয়েছে। গত দুই দিন পন্য খালাস করতে না পারায় লোকসানের মুখে পরতে হচ্ছে আমদানী-রপ্তানীকারক ব্যাবসায়ীদের।

মোংলা বন্দর

    মোংলা বন্দর

আজ শনিবার পণ্য বোঝাই আরো ২টি বিদেশী জাহাজ মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় প্রবেশ করার কথা রয়েছে। অপরদিকে, দেশে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাইটার, কার্গো ও বিভিন্ন নৌযান বন্দর চ্যানেলের পশুর নদীতে অবস্থান করছে। এখানে গত দুই দিনে প্রায় তিন শতাধিকের মতো লাইটার জাহাজ ছোট ছোট বয়ায় নঙ্গর করে আছে। তার মধ্য ৭০ ভাগ লাইটার ও কার্গোতে পন্য বোঝাই রয়েছে। এগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌছানোর কথা থাকলেও কর্মবিরতির কারণে মোংলা বন্দর চ্যানেলে পরে আছে। এতেও ক্ষতির মুখে পড়ছে দেশের ব্যাবসায়ীরা।

এ ঘটনায় শনিবার বিকালে মোংলা লঞ্চলেবার এ্যাশোসিয়েসন, লাইটার শ্রমিক ইউনিয়ন সহ অন্যান্য নৌযান শ্রমিক সংগঠনগুলো জরুরি সভার আয়োজন করেছে নেতৃবৃন্দরা। মালিক বা সরকারের পক্ষ থেকে সামাধানের কোন আশ্বাস না পেলে কেন্দ্র থেকে আন্দোলনের নতুন কঠোর কর্মসুচি ঘোষনা আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানায় শ্রমিকরা।

মোংলা লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ- সভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু বলেন, নৌযান শ্রমিকরা এবারে যে দাবী নিয়ে কর্মবিরতী শুরু করা হয়েছে তা পুরণ না হলে তাদের এ কর্মিরতী চলমান থাকতে পারে । কারণ, এর আগেও মালিক পক্ষকে বার বার তাগিদ দেয়া হয়েছিল কিন্ত তাতে কোন কর্নপাত করেনি মালিক পক্ষ। কিন্ত আজ ৭টি জীবন শেষ হতে হলো।