ঢাকা ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পূর্বনির্ধারিত তারিখেই চিন্ময় দাসের জামিন শুনানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
  • সময় ০৭:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 26

চিন্ময় দাস (ফাইল ফটো)

চট্টগ্রাম বারের কোনো আইনজীবী ওকালতনামা জমা না দেয়ায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানির আবেদন নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পূর্বনির্ধারিত তারিখ দোসরা জানুয়ারিতেই হবে শুনানি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ সাইফুল ইসলাম এ আদেশ দেন। সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা থেকে যাওয়া আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ জামিন শুনানির আবেদন জমা দেন।

বিকেলে আদেশের পর রবীন্দ্র ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, “ আজ মুভ করেছিলাম। এই বারের আরেকজন আইনজীবী না থাকার কারণে উনি এটা পেন্ডিং রেখে দিয়েছেন। এটা যদি রিজেক্ট হয়, আমরা হাই কোর্টে যাব।”

পরে চট্টগ্রামের আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আদালত ওনাকে (রবীন্দ্র ঘোষ) সুযোগ দিয়েছিলেন৷ কিন্তু তিনি বিধি মোতাবেক উপস্থিত হতে পারেননি। তাই আবেদনটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। চিন্ময় দাসের জামিন শুনানি পূর্ব নির্ধারিত দোসরা জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।”

চিন্ময় দাস ও তার আইনজীবী
চিন্ময় দাস ও তার আইনজীবী

এর আগে বুধবার একই আদালতে আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের করা তিনটি আবেদন খারিজ হয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষ ও আইনজীবী সমিতির নেতারা কাল জানিয়েছিলেন, আসামি চিন্ময়ের পক্ষে আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের কোনো ওকালতনামা না থাকায় আদালত আবেদনগুলো খারিজ করেছে।

রবীন্দ্র ঘোষ কাল দাবি করেছিলেন, আইনজীবীদের বাধায় আদালতে আবেদনের শুনানি করা সম্ভব হয় নি।

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে আদালতে আইনজীবীদের দাঁড়াতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করে আসছে।

যদিও চট্টগ্রামের আইনজীবী সমিতির নেতারা এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তবে, সমিতির সদস্যদেরকে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন তারা।

২৫ অক্টোবরের সেই সমাবেশের দিন চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপরে গেরুয়া রঙের আরেকটি পতাকা ওড়ানোর অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে ৩০ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়।

সেই মামলায় চিন্ময়সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(খ), ১২৪(ক), ১৫৩(ক), ১০৯ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলায় চিন্ময়ের পাশাপাশি চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্তসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।

এরমধ্যে ঢাকায় এসেছিলেন চিন্ময়। চট্টগ্রামে ফেরার পথে সোমবার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার চিন্ময়কে আদালতে তোলা হয়। আদালতে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে কারাগারেই আছেন।

শেয়ার করুন

পূর্বনির্ধারিত তারিখেই চিন্ময় দাসের জামিন শুনানি

সময় ০৭:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম বারের কোনো আইনজীবী ওকালতনামা জমা না দেয়ায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানির আবেদন নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পূর্বনির্ধারিত তারিখ দোসরা জানুয়ারিতেই হবে শুনানি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ সাইফুল ইসলাম এ আদেশ দেন। সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা থেকে যাওয়া আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ জামিন শুনানির আবেদন জমা দেন।

বিকেলে আদেশের পর রবীন্দ্র ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, “ আজ মুভ করেছিলাম। এই বারের আরেকজন আইনজীবী না থাকার কারণে উনি এটা পেন্ডিং রেখে দিয়েছেন। এটা যদি রিজেক্ট হয়, আমরা হাই কোর্টে যাব।”

পরে চট্টগ্রামের আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আদালত ওনাকে (রবীন্দ্র ঘোষ) সুযোগ দিয়েছিলেন৷ কিন্তু তিনি বিধি মোতাবেক উপস্থিত হতে পারেননি। তাই আবেদনটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। চিন্ময় দাসের জামিন শুনানি পূর্ব নির্ধারিত দোসরা জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।”

চিন্ময় দাস ও তার আইনজীবী
চিন্ময় দাস ও তার আইনজীবী

এর আগে বুধবার একই আদালতে আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের করা তিনটি আবেদন খারিজ হয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষ ও আইনজীবী সমিতির নেতারা কাল জানিয়েছিলেন, আসামি চিন্ময়ের পক্ষে আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের কোনো ওকালতনামা না থাকায় আদালত আবেদনগুলো খারিজ করেছে।

রবীন্দ্র ঘোষ কাল দাবি করেছিলেন, আইনজীবীদের বাধায় আদালতে আবেদনের শুনানি করা সম্ভব হয় নি।

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে আদালতে আইনজীবীদের দাঁড়াতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করে আসছে।

যদিও চট্টগ্রামের আইনজীবী সমিতির নেতারা এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তবে, সমিতির সদস্যদেরকে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন তারা।

২৫ অক্টোবরের সেই সমাবেশের দিন চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপরে গেরুয়া রঙের আরেকটি পতাকা ওড়ানোর অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে ৩০ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়।

সেই মামলায় চিন্ময়সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(খ), ১২৪(ক), ১৫৩(ক), ১০৯ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলায় চিন্ময়ের পাশাপাশি চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্তসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।

এরমধ্যে ঢাকায় এসেছিলেন চিন্ময়। চট্টগ্রামে ফেরার পথে সোমবার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার চিন্ময়কে আদালতে তোলা হয়। আদালতে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে কারাগারেই আছেন।