ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিন্ডি থেকে স্বাধীনতা এনেছি, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১১:২৩:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 23

রিজভী

রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতা পিন্ডির কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছি, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রোডমার্চের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলন।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন অফিসে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা থেকে আগরতলার উদ্দেশ্যে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এই রোডমার্চ করছে।

তিনি বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি, এই স্বাধীনতা বিক্রি করে দেব? আমরা পিন্ডির কাছে থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয়?

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারত রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমর্থন দিচ্ছে। ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত। অথচ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ!

তিনি বলেন, ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার লোকেরা নিজের কথায় চলুক এটা ভারত চায় না। দিল্লির কথায় চলতে হবে কেন? বাংলাদেশের মানুষের রক্তের তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব এটা দিল্লির শাসকরা বুঝতে পারেনি।

এরআগে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে।  বিএনপির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল সেখানে যাওয়ার আগে পুলিশের বাধার মুখে পরে দলটির নেতাকর্মীরা।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা দিকে তারা হাইকমিশনে প্রবেশ করেন। এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। বাড্ডা অভিমুখী রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড দেওয়ায় দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে পদযাত্রা থেমে যায়। রামপুরা ব্রিজের কাছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে স্লোগান দেন।

আগরতলায় সহকারী হাই কমিশন অফিস
আগরতলায় সহকারী হাই কমিশন অফিসে হামলা

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। পদযাত্রা করে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পদযাত্রায় সংগঠনগুলোর কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা একটার দিকে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল বারিধারার ভারতীয় হাইকমিশনের সিকিউরিটি অফিসার ও কাউন্সেলর নারপাত সিং এর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনের ডিফেন্স এট্যাসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনমেত সিং সাবারওয়াল উপস্থিত ছিলেন।

ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।

শেয়ার করুন

পিন্ডি থেকে স্বাধীনতা এনেছি, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য না

সময় ১১:২৩:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতা পিন্ডির কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছি, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রোডমার্চের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলন।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন অফিসে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা থেকে আগরতলার উদ্দেশ্যে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এই রোডমার্চ করছে।

তিনি বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি, এই স্বাধীনতা বিক্রি করে দেব? আমরা পিন্ডির কাছে থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয়?

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারত রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমর্থন দিচ্ছে। ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত। অথচ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ!

তিনি বলেন, ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার লোকেরা নিজের কথায় চলুক এটা ভারত চায় না। দিল্লির কথায় চলতে হবে কেন? বাংলাদেশের মানুষের রক্তের তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব এটা দিল্লির শাসকরা বুঝতে পারেনি।

এরআগে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে।  বিএনপির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল সেখানে যাওয়ার আগে পুলিশের বাধার মুখে পরে দলটির নেতাকর্মীরা।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা দিকে তারা হাইকমিশনে প্রবেশ করেন। এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। বাড্ডা অভিমুখী রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড দেওয়ায় দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে পদযাত্রা থেমে যায়। রামপুরা ব্রিজের কাছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে স্লোগান দেন।

আগরতলায় সহকারী হাই কমিশন অফিস
আগরতলায় সহকারী হাই কমিশন অফিসে হামলা

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। পদযাত্রা করে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পদযাত্রায় সংগঠনগুলোর কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা একটার দিকে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল বারিধারার ভারতীয় হাইকমিশনের সিকিউরিটি অফিসার ও কাউন্সেলর নারপাত সিং এর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনের ডিফেন্স এট্যাসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনমেত সিং সাবারওয়াল উপস্থিত ছিলেন।

ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।