ঢাকা ০১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুখ্যাত সেদনায়া কারাগারে হাজারো মানুষের ভিড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ০১:০০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 31

সিরিয়া কারাগার

সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে সেদনায়া নামক গোপন সামরিক কারাগার। কুখ্যাত এই কারাগারে জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার সিরিয়ার নাগরিক। তারা খোঁজ নিচ্ছেন আসাদ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া তাদের প্রিয়জনেরা এখনও সেখানে রয়েছেন কি-না। কিন্তু তারা হতাশ হচ্ছেন। কেননা যারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তাদের অনেকেরই কারাগারে কোনো চিহ্ন নেই।

এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি বলছে, সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর হাজার হাজার জনতা প্রথম যে স্থানটিতে ছুটে যায় সেটি হচ্ছে সেদনায়া কারাগার। দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক শাসনে পিষ্ট হওয়ার পর প্রিয়জনদের খোঁজে আসাদের ওই কুখ্যাত কারাগারটির গোপন বন্দিশালায় প্রবেশ করে জনগণ। এই কারাগারের ভয়াবহতার জন্য এটি ‘কসাইখানা’ নামেও পরিচিত ছিল।

গত দুই দিন ধরে দামেস্কের অনতিদূরে অবস্থিত গোপন কারাগারটিতে কয়েক দশক ধরে নিখোঁজ থাকা প্রিয়জনদের খোঁজে জড়ো হচ্ছেন সিরিয়ার বহু নাগরিক। তবে কারাগারের ফটকগুলো ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে হতাশায় মূক হয়ে পড়েন অনেকেই। তারা বলছেন, তাদের মনে হয়েছে তারা অন্ধকার কোনো গুহায় প্রবেশ করেছেন। তাদের আশা ছিল তারা সেখানে প্রিয়জনদের মুখগুলোর খোঁজ পাবেন। কিন্তু সেখানে নিস্তব্ধ আর অন্ধকার কক্ষ ছাড়া কিছুই নেই।

রোববার বিদ্রোহীরা দামেস্ক দখলের পর সেদনায়া সামরিক কারাগার থেকে মাত্র কয়েক ডজন মানুষকে মুক্ত করা হয়। এরপর সেখানে আর কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

গদা আসাদ নামের এক নারী প্রিয়জনের খোঁজে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন সবাই কোথায়? কোথায় আমাদের সন্তানরা? নিজের ভাইকে খুঁজে পাওয়ার আশায় অসাদ সরকারের পতনের পর দামেস্কের বাড়ি থেকে রাজধানীর উপকণ্ঠে কারাগারে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি।

গদা বলেছেন, তার ভাইকে ২০১১ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় তার ভাই আসাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ায় তাকে আটক করে আসাদ বাহিনী। এরপর থেকে তিনি আর ভাইয়ের খোঁজ জানেন না। ওই নারী বলেন, বিগত ১৩টি বছর ধরে আমার হৃদয় জ্বলছে। আমি ভাইকে খুঁজে বেরাচ্ছি।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ সারা দেশে অন্তত শতাধিক স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ার পর্যবেক্ষক মানবাধিকার সংস্থা এসওএইচআর বলছে যে, সিরিয়ার শতাধিক স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে তেল আবিব। এতে রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত একটি গবেষণা কেন্দ্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অন্যদিকে আল জাজিরা বলছে, সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরাইলের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সামরিক স্থাপনা। ২৫০টির বেশি সামরিক স্থপনায় হামলার কথা জানিয়েছে কাতারভিত্তিক ওই গণমাধ্যম। বলা হয়েছে, ইসরাইলের বিমানবাহিনীর ইতিহাসে এটা সিরিয়ায় অন্যতম বড় হামলার ঘটনা। সিরিয়ায় ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ও দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার পর এই হামলা চালানো হয়েছে।

সিরিয়াতে ইসরায়েলের হামলা
সিরিয়াতে ইসরায়েলের হামলা

ইসরাইল বলছে, আসাদ সরকারের পতনের পর সেখানে ‘চরমপন্থীদের’ হাত থেকে অস্ত্র সরাতে এই হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ইরানের সহায়তায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন রাসায়নিক অস্ত্রাগার লক্ষ্যবস্তু করেছে তেল আবিব।
সোমবার, সিরিয়ার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখান থেকে আগামী দিনে ঐক্যের ভিত্তিতে কাজ করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। রাশিয়ার আহ্বানে জরুরি বৈঠকের আয়োজন করে নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, আমি মনে করি নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও ঐক্য রক্ষার প্রয়োজনে কমবেশি ঐক্যবদ্ধ ছিল। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সেখানে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে নিরাপত্তা পরিষদ সবসময়ই ঐক্য বজায় রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

এসওএইচআর জানিয়েছে গত দুইদিনে সিরিয়াতে কয়েকশ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এর মধ্যে ইরানি বিজ্ঞানীদের সহায়তায় গড়ে ওঠা অস্ত্রাগারগুলোকে বেশি লক্ষ্যবস্তু করেছে তেল আবিব। রাসায়নিক অস্ত্রের সন্দেহজনক মজুদ নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের রাসায়নিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করার সময় এই হামলা চালানো হয়েছে।

হামলার আগে অস্থায়ীভাবে গোলান মালভূমির বাফার জোন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ইসরাইল। ১৯৭৪ সালে সিরিয়ার সঙ্গে ইসরাইলের যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছিল, তাতে সিরিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পতন হয়েছে বলে ঘোষণা দেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতা নিয়াহু। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) গোলান মালভূমিতে নিজেদের অধিকৃত অংশ থেকে বাফার জোন এবং এর আশপাশের এলাকায় প্রবেশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, শত্রু বাহিনীকে নিজেদের সীমান্তে প্রতিষ্ঠিত হতে দেবে না ইসরাইল।

এদিকে শনিবার যুক্তরাজ্য ভিত্তিক যুদ্ধ বিষয়ক একটি পর্যবেক্ষক দল জানিয়েছে, কুনেইত্রা প্রদেশ থেকে সরে এসেছে সিরিয়ার সৈন্যরা। এই প্রদেশের একটি অংশ ওই বাফার জোনের অংশ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত জোনের মধ্যে অবস্থিত পাঁচটি গ্রামের সিরীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে অবস্থান করার কথা জানিয়েছে আইডিএফ। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি পাথুরে মালভূমি গোলান।

শেয়ার করুন

কুখ্যাত সেদনায়া কারাগারে হাজারো মানুষের ভিড়

সময় ০১:০০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে সেদনায়া নামক গোপন সামরিক কারাগার। কুখ্যাত এই কারাগারে জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার সিরিয়ার নাগরিক। তারা খোঁজ নিচ্ছেন আসাদ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া তাদের প্রিয়জনেরা এখনও সেখানে রয়েছেন কি-না। কিন্তু তারা হতাশ হচ্ছেন। কেননা যারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তাদের অনেকেরই কারাগারে কোনো চিহ্ন নেই।

এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি বলছে, সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর হাজার হাজার জনতা প্রথম যে স্থানটিতে ছুটে যায় সেটি হচ্ছে সেদনায়া কারাগার। দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক শাসনে পিষ্ট হওয়ার পর প্রিয়জনদের খোঁজে আসাদের ওই কুখ্যাত কারাগারটির গোপন বন্দিশালায় প্রবেশ করে জনগণ। এই কারাগারের ভয়াবহতার জন্য এটি ‘কসাইখানা’ নামেও পরিচিত ছিল।

গত দুই দিন ধরে দামেস্কের অনতিদূরে অবস্থিত গোপন কারাগারটিতে কয়েক দশক ধরে নিখোঁজ থাকা প্রিয়জনদের খোঁজে জড়ো হচ্ছেন সিরিয়ার বহু নাগরিক। তবে কারাগারের ফটকগুলো ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে হতাশায় মূক হয়ে পড়েন অনেকেই। তারা বলছেন, তাদের মনে হয়েছে তারা অন্ধকার কোনো গুহায় প্রবেশ করেছেন। তাদের আশা ছিল তারা সেখানে প্রিয়জনদের মুখগুলোর খোঁজ পাবেন। কিন্তু সেখানে নিস্তব্ধ আর অন্ধকার কক্ষ ছাড়া কিছুই নেই।

রোববার বিদ্রোহীরা দামেস্ক দখলের পর সেদনায়া সামরিক কারাগার থেকে মাত্র কয়েক ডজন মানুষকে মুক্ত করা হয়। এরপর সেখানে আর কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

গদা আসাদ নামের এক নারী প্রিয়জনের খোঁজে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন সবাই কোথায়? কোথায় আমাদের সন্তানরা? নিজের ভাইকে খুঁজে পাওয়ার আশায় অসাদ সরকারের পতনের পর দামেস্কের বাড়ি থেকে রাজধানীর উপকণ্ঠে কারাগারে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি।

গদা বলেছেন, তার ভাইকে ২০১১ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় তার ভাই আসাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ায় তাকে আটক করে আসাদ বাহিনী। এরপর থেকে তিনি আর ভাইয়ের খোঁজ জানেন না। ওই নারী বলেন, বিগত ১৩টি বছর ধরে আমার হৃদয় জ্বলছে। আমি ভাইকে খুঁজে বেরাচ্ছি।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ সারা দেশে অন্তত শতাধিক স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ার পর্যবেক্ষক মানবাধিকার সংস্থা এসওএইচআর বলছে যে, সিরিয়ার শতাধিক স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে তেল আবিব। এতে রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত একটি গবেষণা কেন্দ্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অন্যদিকে আল জাজিরা বলছে, সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরাইলের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সামরিক স্থাপনা। ২৫০টির বেশি সামরিক স্থপনায় হামলার কথা জানিয়েছে কাতারভিত্তিক ওই গণমাধ্যম। বলা হয়েছে, ইসরাইলের বিমানবাহিনীর ইতিহাসে এটা সিরিয়ায় অন্যতম বড় হামলার ঘটনা। সিরিয়ায় ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ও দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার পর এই হামলা চালানো হয়েছে।

সিরিয়াতে ইসরায়েলের হামলা
সিরিয়াতে ইসরায়েলের হামলা

ইসরাইল বলছে, আসাদ সরকারের পতনের পর সেখানে ‘চরমপন্থীদের’ হাত থেকে অস্ত্র সরাতে এই হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ইরানের সহায়তায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন রাসায়নিক অস্ত্রাগার লক্ষ্যবস্তু করেছে তেল আবিব।
সোমবার, সিরিয়ার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখান থেকে আগামী দিনে ঐক্যের ভিত্তিতে কাজ করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। রাশিয়ার আহ্বানে জরুরি বৈঠকের আয়োজন করে নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, আমি মনে করি নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও ঐক্য রক্ষার প্রয়োজনে কমবেশি ঐক্যবদ্ধ ছিল। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সেখানে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে নিরাপত্তা পরিষদ সবসময়ই ঐক্য বজায় রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

এসওএইচআর জানিয়েছে গত দুইদিনে সিরিয়াতে কয়েকশ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এর মধ্যে ইরানি বিজ্ঞানীদের সহায়তায় গড়ে ওঠা অস্ত্রাগারগুলোকে বেশি লক্ষ্যবস্তু করেছে তেল আবিব। রাসায়নিক অস্ত্রের সন্দেহজনক মজুদ নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের রাসায়নিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করার সময় এই হামলা চালানো হয়েছে।

হামলার আগে অস্থায়ীভাবে গোলান মালভূমির বাফার জোন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ইসরাইল। ১৯৭৪ সালে সিরিয়ার সঙ্গে ইসরাইলের যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছিল, তাতে সিরিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পতন হয়েছে বলে ঘোষণা দেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতা নিয়াহু। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) গোলান মালভূমিতে নিজেদের অধিকৃত অংশ থেকে বাফার জোন এবং এর আশপাশের এলাকায় প্রবেশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, শত্রু বাহিনীকে নিজেদের সীমান্তে প্রতিষ্ঠিত হতে দেবে না ইসরাইল।

এদিকে শনিবার যুক্তরাজ্য ভিত্তিক যুদ্ধ বিষয়ক একটি পর্যবেক্ষক দল জানিয়েছে, কুনেইত্রা প্রদেশ থেকে সরে এসেছে সিরিয়ার সৈন্যরা। এই প্রদেশের একটি অংশ ওই বাফার জোনের অংশ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত জোনের মধ্যে অবস্থিত পাঁচটি গ্রামের সিরীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে অবস্থান করার কথা জানিয়েছে আইডিএফ। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি পাথুরে মালভূমি গোলান।