ঢাকা-দিল্লির বরফ গলেছে যমুনায়
- সময় ০৭:১৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 21
ঢাকা-দিল্লির চলমান সম্পর্কের টানাপোড়নের বরফ গলেছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। সেখানে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনে মিটিং করেছেন ড. ইউনূস এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। সেখানে ড. ইউনূস সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে আগ্রহী ভারত, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা ১৮ মিনিটে তিনি যমুনায় প্রবেশ করেন। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের আগমন ঘিরে আগে থেকেই পুরো এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সীমিত করা হয় যান চলাচল। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশের প্রতিটি সড়কেই বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এর আগে রাজনৈতিক দূরত্ব কমানোর লক্ষ্যে সোমবার সকালে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এই প্রথম দিল্লির উচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা ঢাকায় এলেন। আর পররাষ্ট্র সচিব হওয়ার পর মিশ্রির প্রথম ঢাকা সফরও এটি। ঢাকায় এসে তিনি প্রথমে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিক্রম মিশ্রি।
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে অত্যন্ত খোলামেলা, গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আমি জোর দিয়ে বলেছি, ভারত-বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক চায়। আমরা সবসময়… অতীতেও দেখেছি এবং আমরা ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ককে একটি জনকেন্দ্রিক এবং জনমুখী সম্পর্ক হিসেবে দেখব। যে সম্পর্কের কেন্দ্রে থাকবে সব মানুষের কল্যাণ।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, পরস্পরের জন্য সহায়ক এ সহযোগিতা আমাদের উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে অব্যাহত থাকবে না, এটা ভাবার কারণ নেই। আমি আজ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য ভারতের আগ্রহের কথা তুলে ধরেছি। একই সময়ে, আমরা কিছু সাম্প্রতিক পরিস্থিত এবং সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত আমাদের উদ্বেগগুলো জানিয়েছি। আমরা সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং কূটনৈতিক সম্পত্তির ওপর হামলার কিছু দুঃখজনক ঘটনা নিয়েও আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতা উভয় জনগণের স্বার্থে অব্যাহত না থাকার কোনো কারণ নেই এবং এর জন্য আমি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ভারতের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছি।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রথমবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে আজ (সোমবার) রাতেই বিক্রম মিশ্রির দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।