ঢাকা ০১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ

শেখ হাসিনার বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১২:৩৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 38

শেখ হাসিনা

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রসিকিউশন টিমের আবেদনের ভিত্তিতে এ আদেশ দেন।

সেইসঙ্গে শেখ হাসিনা আগে যত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তা সব মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিন সকালে এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান। প্রসিকিউশনের পক্ষে সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।

বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করেছেন শেখ হাসিনা। যা বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। প্রসিকিউশন বলছে, যে সমস্ত হেইট স্পিচ দিচ্ছেন সরকার তা বন্ধেই এ আবেদন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

এর আগে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত কার্যক্রম এক মাসে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল।

গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ দেড়শোর বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। গ্রেপ্তার আছেন শেখ হাসিনার আমলের অন্তত ১০ মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন এমপি।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এরপর সারাদেশে তার বিরুদ্ধে ২৫৩টি মামলা দায়েরের তথ্য পাওয়া গেল। এর মধ্যে হত্যা মামলার সংখ্যা ২১৩টি। বাকি মামলাগুলোর অধিকাংশই হত্যাচেষ্টা ও অপহরণ মামলা।

শেখ হাসিনা-তাজুল ইসলাম
শেখ হাসিনা-তাজুল ইসলাম

এবার শেখ হাসিনাকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা ক্ষমতায় থাকতে গোটা জাতির ওপর হত্যাকাণ্ড চালাতে দ্বিধা করেননি। তাদের শুধু এক ব্যক্তিকে (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় রাখতে তারা গণহত্যা চালিয়েছেন। এমনকি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য গোটা জাতিকেও হত্যা করতে তারা দ্বিধা করতেন না।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে তিনি এসব কথা বলেন। অপর দুই বিচারপতি হলেন– বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

শেয়ার করুন

বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ

শেখ হাসিনার বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা

সময় ১২:৩৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রসিকিউশন টিমের আবেদনের ভিত্তিতে এ আদেশ দেন।

সেইসঙ্গে শেখ হাসিনা আগে যত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তা সব মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিন সকালে এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান। প্রসিকিউশনের পক্ষে সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।

বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করেছেন শেখ হাসিনা। যা বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। প্রসিকিউশন বলছে, যে সমস্ত হেইট স্পিচ দিচ্ছেন সরকার তা বন্ধেই এ আবেদন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

এর আগে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত কার্যক্রম এক মাসে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল।

গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ দেড়শোর বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। গ্রেপ্তার আছেন শেখ হাসিনার আমলের অন্তত ১০ মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন এমপি।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এরপর সারাদেশে তার বিরুদ্ধে ২৫৩টি মামলা দায়েরের তথ্য পাওয়া গেল। এর মধ্যে হত্যা মামলার সংখ্যা ২১৩টি। বাকি মামলাগুলোর অধিকাংশই হত্যাচেষ্টা ও অপহরণ মামলা।

শেখ হাসিনা-তাজুল ইসলাম
শেখ হাসিনা-তাজুল ইসলাম

এবার শেখ হাসিনাকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা ক্ষমতায় থাকতে গোটা জাতির ওপর হত্যাকাণ্ড চালাতে দ্বিধা করেননি। তাদের শুধু এক ব্যক্তিকে (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় রাখতে তারা গণহত্যা চালিয়েছেন। এমনকি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য গোটা জাতিকেও হত্যা করতে তারা দ্বিধা করতেন না।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে তিনি এসব কথা বলেন। অপর দুই বিচারপতি হলেন– বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।