ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় নাগরিক কমিটির ৬ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০১:০৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 34

জাতীয় নাগরিক কমিটি

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি বলেছে, এ ঘটনা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এই হামলার শক্ত প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়সহ জাতিসংঘে বিষয়টি উত্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে তারা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। রাজধানীর বাংলামোটরে কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আগে সাধারণ সভা হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, হাইকমিশন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির অংশ। সেখানে হামলা-নিপীড়ন চালানো সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ দেশটির বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনীতিবিদ এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনধিকার চর্চা করবেন না।

আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছেঁড়া
আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছেঁড়া

বাংলাদেশের মানুষকে অনধিকার চর্চায় ঠেলে দিলে দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন নাসীরুদ্দীন। তিনি বলেন, ‘যারা বিভিন্ন জায়গায় উসকানিমূলক আচরণ করছে, বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর হুমকি দিচ্ছে, আমরা অতিসত্বর সব পক্ষকে নিবৃত্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সবাইকে বলব, শান্তি বজায় রাখুন। আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আসি।’

এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সীমান্তে আর একটি হত্যাকাণ্ড হলে বাংলাদেশের জনগণ কড়া জবাব দিতে বাধ্য হবে।

বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে (সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র) নিয়ে দেশে উসকানিমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। কারও পাতানো ফাঁদে পা না দিয়ে সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, ভারত থেকে যদি উসকানিমূলক কথা আসে বা কোনো বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশকে যেকোনো মূল্যে রক্ষার জন্য ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

ছয় দফা দাবি

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ছয় দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে প্রথম দুটি দাবি ভারত–সম্পর্কিত। এক. ভারতের সঙ্গে সব চুক্তি উন্মোচন, অসম ও পরিবেশবিরোধী সব চুক্তি বাতিল করা। দুই. ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বহমান নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা।

অন্য দাবিগুলো হলো দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা; গত ১৫ বছরে হিন্দু, বৌদ্ধসহ সব সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ভূমি দখলের বিচার নিশ্চিত করা; পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্পষ্ট ভূমিকা নেওয়া এবং অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা।

শ্বেতপত্র
শ্বেতপত্র

বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের দাবি

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা লুট ও পাচার করেছে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মাফিয়া সিন্ডিকেট। পাচার করা টাকা দেশে ফেরত আনার জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় নাগরিক কমিটি মতবিনিময় সভা করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ বিষয়ে কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান, তারা ৬৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করবেন। এর আগে দুদক সংস্কার কমিশনের আহ্বানে জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে ১৩ দফা সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

নতুন কর্মসূচি

চলতি ডিসেম্বর মাসে ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ৬ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ঢাকার বছিলা, সাভার, আশুলিয়া, বাইপাইল ও উত্তরা এবং গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর, জয়দেবপুর ও কাশিমপুরে শ্রমিক সমাবেশ করা হবে। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে সব থানা-উপজেলায় কর্মসূচি থাকবে। ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিগত ১৫ বছরের গুম-খুন-ক্রসফায়ার-ধর্ষণসহ সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার দাবিতে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

এ ছাড়া ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জুলাই হত্যাকাণ্ডের গণকবর জিয়ারত এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও ঢাকায় ‘বিজয় যাত্রা’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই দেশের সব থানা ও উপজেলায় কমিটি ঘোষণা করবেন তাঁরা। এ ছাড়া দেশের সম্মানিত জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং তাঁদের পরামর্শ নিতে একটি কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শেয়ার করুন

জাতীয় নাগরিক কমিটির ৬ দফা দাবি

সময় ০১:০৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি বলেছে, এ ঘটনা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এই হামলার শক্ত প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়সহ জাতিসংঘে বিষয়টি উত্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে তারা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। রাজধানীর বাংলামোটরে কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আগে সাধারণ সভা হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, হাইকমিশন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির অংশ। সেখানে হামলা-নিপীড়ন চালানো সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ দেশটির বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনীতিবিদ এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনধিকার চর্চা করবেন না।

আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছেঁড়া
আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছেঁড়া

বাংলাদেশের মানুষকে অনধিকার চর্চায় ঠেলে দিলে দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন নাসীরুদ্দীন। তিনি বলেন, ‘যারা বিভিন্ন জায়গায় উসকানিমূলক আচরণ করছে, বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর হুমকি দিচ্ছে, আমরা অতিসত্বর সব পক্ষকে নিবৃত্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সবাইকে বলব, শান্তি বজায় রাখুন। আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আসি।’

এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সীমান্তে আর একটি হত্যাকাণ্ড হলে বাংলাদেশের জনগণ কড়া জবাব দিতে বাধ্য হবে।

বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে (সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র) নিয়ে দেশে উসকানিমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। কারও পাতানো ফাঁদে পা না দিয়ে সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, ভারত থেকে যদি উসকানিমূলক কথা আসে বা কোনো বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশকে যেকোনো মূল্যে রক্ষার জন্য ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

ছয় দফা দাবি

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ছয় দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে প্রথম দুটি দাবি ভারত–সম্পর্কিত। এক. ভারতের সঙ্গে সব চুক্তি উন্মোচন, অসম ও পরিবেশবিরোধী সব চুক্তি বাতিল করা। দুই. ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বহমান নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা।

অন্য দাবিগুলো হলো দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা; গত ১৫ বছরে হিন্দু, বৌদ্ধসহ সব সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ভূমি দখলের বিচার নিশ্চিত করা; পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্পষ্ট ভূমিকা নেওয়া এবং অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা।

শ্বেতপত্র
শ্বেতপত্র

বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের দাবি

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা লুট ও পাচার করেছে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মাফিয়া সিন্ডিকেট। পাচার করা টাকা দেশে ফেরত আনার জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় নাগরিক কমিটি মতবিনিময় সভা করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ বিষয়ে কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান, তারা ৬৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করবেন। এর আগে দুদক সংস্কার কমিশনের আহ্বানে জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে ১৩ দফা সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

নতুন কর্মসূচি

চলতি ডিসেম্বর মাসে ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ৬ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ঢাকার বছিলা, সাভার, আশুলিয়া, বাইপাইল ও উত্তরা এবং গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর, জয়দেবপুর ও কাশিমপুরে শ্রমিক সমাবেশ করা হবে। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে সব থানা-উপজেলায় কর্মসূচি থাকবে। ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিগত ১৫ বছরের গুম-খুন-ক্রসফায়ার-ধর্ষণসহ সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার দাবিতে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

এ ছাড়া ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জুলাই হত্যাকাণ্ডের গণকবর জিয়ারত এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও ঢাকায় ‘বিজয় যাত্রা’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই দেশের সব থানা ও উপজেলায় কমিটি ঘোষণা করবেন তাঁরা। এ ছাড়া দেশের সম্মানিত জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং তাঁদের পরামর্শ নিতে একটি কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।