গাজীপুরে যে মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
- সময় ০৫:০৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 38
গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬০ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক শুনানি শেষে খালাসের এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকার মো. হোসেন আলীকে প্রধান আসামি করে ৪১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি করেন জয়দেবপুর থানা পুলিশের এসআই সৈয়দ আবুল হোসেন। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সংযুক্ত করে মোট ৬০ জনের নামে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আজ দুপুরে আসামিদের ওই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আদালতে শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল, বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আবু তাহের নয়ন, অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট এরশাদ হোসেন অংশ নেন। আর বিবাদী পক্ষে ড. সহিদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম মোল্লা, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৮ জন পলাতক এবং ৩১ জন কারাগারে রয়েছেন।
ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে সব আসামির খালাস চান। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টে গত ৩১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, রাসেল আহমেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার। লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। তিনজন দণ্ডিতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।