পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে সেন্টমার্টিন
- সময় ০১:০৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 107
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কয়েক ধাপে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হলে অবশেষে খুলে দেয়া হলো। কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রথমদিনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটি ঘাট থেকে ৬৫৩ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বার আউলিয়া নামক জাহাজটি।
সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকেদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ নয় মাসের বেশি বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ প্রথমদিনে ৬৫৩ জন যাত্রী নিয়ে বার আউলিয়া জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার থেকে পর্যটক নিয়ে একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আমরা সবকিছু পরিদর্শন করেছি।
প্রতি বছর সরকারের পক্ষ থেকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এর আগে ২৪ নভেম্বর কক্সবাজারে টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে খাদ্য সংকটে থাকা কুকুরের জন্য বিভিন্ন ধরণে খাদ্যপণ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সহায়তা কার্যক্রম চালিয়েছে বেসরকারি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঢাকাস্থ সম্মিলিত প্রাণি রক্ষা পরিষদ।
সেদিন দুপুরে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাট দিয়ে ঢাকাস্থ সম্মিলিত প্রাণি রক্ষা পরিষদ নামের সংগঠনটির ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এসব সহায়তা নিয়ে রওনা দেয়।
প্রতিনিধি দলটির দলনেতা আব্দুল কাইয়ুম জানান, কুকুরের জন্য সহায়তা পাঠানো খাবারের তালিকায় রয়েছে ৩ হাজার কেজি ডগফুড, ৫ হাজার ডিম, মুরগির মাংস, চাল, ডাল এবং ২০০ কুকুরের চিকিৎসা সরঞ্জাম। বিকালে সেন্টমার্টিন পৌঁছার পরপরই ক্ষুধার্ত কুকুরগুলোকে প্রথমদিনের মত খাবার সহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল।