ভোট নিয়ে যা বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

- সময় ০৯:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
- / 68
নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন শপথ নিয়েছেন আজ রোববার দুপুরে। রোববার (২৪ নভেম্বর) শপথগ্রহণের পর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্য চার কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি কথা বলেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নিয়ে। নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে তিনি বলেছেন, ভোট তো আরও দেরি আছে। কাল-পরশু তো ভোট হচ্ছে না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতীয় পর্যায়ে ফয়সালা হলেই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী দলগুলোর নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রশ্নে ফয়সালার বিষয়ে আমরাও অপেক্ষা করছি। ফয়সালাটা কী আসে দেখি। জাতীয় পর্যায়ে একটা ফয়সালা হোক। তাহলে সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
এসময় আওয়ামী লীগের নির্বাচন অংশগ্রহণ নিয়ে ভাবনা প্রশ্নে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ, ওটা নিয়ে তো সিরিয়াস বিতর্ক আছে। বাইরে চলছে। এই বিতর্কের ফয়সালা হোক। ভোট তো আরও দেরি আছে। কাল-পরশু তো ভোট হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিষয়ে, ফয়সালার বিষয়ে আমরাও অপেক্ষা করছি। ফয়সালাটা কী আসে দেখি। তাহলে সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নেবো। এই মুহূর্তে বিগত সরকারি দল ও সহযোগীদের নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। জাতীয় পর্যায়ে একটা ফয়সালা হোক। তাহলে ইনশাআল্লাহ, সময় আসলে আপনারাও দেখতে পাবেন।
সিইসি বলেন, আর রাজনৈতিক দলগুলো ১৫ বছর ধরে বলছে তারা জনগণের ভোটের অধিকার চায়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তারা এই যুদ্ধ ১৫ বছর ধরে করছে। তারা তো জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আমরা তাদের বলবো—আমরা আপনাদের এই কাজটি করে দিতে চাই। তারা তো না করতে পারবে না।
নাসির উদ্দীন বলেন, আমি আগেও বলেছি, জাতির প্রতি যে ওয়াদা—অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বশক্তি নিযুক্ত করবো। নির্বাচনের জন্য যা যা দরকার, তার সবই করা হবে।
নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) বাকি চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আজ শপথ নিয়েছেন।
রোববার (নভেম্বর ২৪) দুপুর দেড়টার পর তারা সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে শপথ নেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।
তারা হলেন—সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।