ঢাকা ০১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় অটোরিকশা বন্ধ করা কতটা কঠিন?

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৮:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • / 38

অটোরিকশা

তিন দিনের মাঝে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন রিকশাচালকরা। এখন প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে ঢাকায় অটোরিকশা বন্ধ করা কতটা কঠিন?

ঢাকার গুলশান, হাতিরঝিল, বাড্ডা, বনশ্রী, মগবাজার ইত্যাদি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে যে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বা অটোরিকশার সংখ্যা বেশ কম।

কারণ বেশিরভাগ অটোরিকশা চালকই মহাখালী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ইত্যাদি এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করায় ব্যস্ত। তাই বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে প্যাডেল চালিত রিকশার আধিক্য।

আন্দোলনের মাঝেও যারা আজ সড়কে রিকশা চালাতে নেমেছে, তাদের বেশ কয়েকজন রিকশা চালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তেমনই একজন হলেন আবুল কালাম।

ঢাকায় প্রতিবাদ
ঢাকায় প্রতিবাদ

অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই তার পাল্টা প্রশ্ন, “ছাত্র আন্দোলনে ৮০ শতাংশ রিকশার ড্রাইভার ছাত্রদের সাথে ছিল। তা কি এই দিনটা দেখার জন্য?”

তাকে বলতে শুনে চারদিক থেকে আরও অনেক রিকশাচালক এগিয়ে আসেন। তাদের একজন মো. মুসা। গতকাল তারা রিকশা চালাতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কালকে রাতে আমার আব্বা কল দিছে, টাকার লইজ্ঞা। কী করমু? কালকে ইনকাম করছি মাত্র ৭০০ টাকা। তার মাঝে জমা দেওয়া লাগে ৬০০ টাকা। বাকি ১০০ টাকা আমি খামু নাকি তারে দিমু?”

“আমি এক ছেলে, আমার বাবা-মাকে প্রতিমাসে টাকা দেই। আমি যদি রিকশা চালাইতেই না পারি, বাবা-মাকে টাকা দিমু কেম্নে, আর সংসারই বা চলবে কেম্নে,” বলছিলেন বরিশালের এই রিকশাচালক।

শেয়ার করুন

ঢাকায় অটোরিকশা বন্ধ করা কতটা কঠিন?

সময় ০৮:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

তিন দিনের মাঝে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন রিকশাচালকরা। এখন প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে ঢাকায় অটোরিকশা বন্ধ করা কতটা কঠিন?

ঢাকার গুলশান, হাতিরঝিল, বাড্ডা, বনশ্রী, মগবাজার ইত্যাদি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে যে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বা অটোরিকশার সংখ্যা বেশ কম।

কারণ বেশিরভাগ অটোরিকশা চালকই মহাখালী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ইত্যাদি এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করায় ব্যস্ত। তাই বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে প্যাডেল চালিত রিকশার আধিক্য।

আন্দোলনের মাঝেও যারা আজ সড়কে রিকশা চালাতে নেমেছে, তাদের বেশ কয়েকজন রিকশা চালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তেমনই একজন হলেন আবুল কালাম।

ঢাকায় প্রতিবাদ
ঢাকায় প্রতিবাদ

অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই তার পাল্টা প্রশ্ন, “ছাত্র আন্দোলনে ৮০ শতাংশ রিকশার ড্রাইভার ছাত্রদের সাথে ছিল। তা কি এই দিনটা দেখার জন্য?”

তাকে বলতে শুনে চারদিক থেকে আরও অনেক রিকশাচালক এগিয়ে আসেন। তাদের একজন মো. মুসা। গতকাল তারা রিকশা চালাতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কালকে রাতে আমার আব্বা কল দিছে, টাকার লইজ্ঞা। কী করমু? কালকে ইনকাম করছি মাত্র ৭০০ টাকা। তার মাঝে জমা দেওয়া লাগে ৬০০ টাকা। বাকি ১০০ টাকা আমি খামু নাকি তারে দিমু?”

“আমি এক ছেলে, আমার বাবা-মাকে প্রতিমাসে টাকা দেই। আমি যদি রিকশা চালাইতেই না পারি, বাবা-মাকে টাকা দিমু কেম্নে, আর সংসারই বা চলবে কেম্নে,” বলছিলেন বরিশালের এই রিকশাচালক।