অনন্য অসাধারণ তারেক রহমান
- সময় ০৮:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
- / 48
সমসাময়িক রাজনীতিতে তারেক রহমানকে অনন্য-অসাধারণ বলেই আখ্যায়িত করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
একজন তরুণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, তারেক রহমান ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডন চলে যান। ওয়ান ইলেভেনের সেনাসমর্থিত সরকারের নির্যাতন এবং দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। এরপর নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নিজেকে পরিপক্ক রাজনীতিবিদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। হাওয়া ভবনের কেলেংকারি থেকে শুরু করে তিনি গত ৩ টা জাতীয় নির্বাচনকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এমনকি তার রাজনৈতিক দুরদর্শিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা সত্যিই অকল্পনীয়। এক কথায় তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন মূখ্য চরিত্রে অবর্তীণ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আজকের পর থেকে আমাকে দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না। তিনি বলেন, একজন সহকর্মী হিসেবে আমার অনুরোধ রইলো, আপনাদের নেতা হিসেবে দয়া করে আমার নামের সঙ্গে আজকের পর থেকে দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক ব্যবহার করবেন না।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি শীর্ষক কর্মশালায়’ ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
কর্মশালায় নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন বিএনপির শীর্ষ নেতা। এ সময় তিনি ৩১ দফা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শাসন, বেকারত্ব দূর করাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি ৩১ দফা সম্পর্কে জানান, ভবিষ্যতে দেশ কীভাবে বিএনপি পরিচালনা করতে চায় তার দফা।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স শিল্পের বাইরে নতুন কর্মমুখর সেক্টর তৈরি করার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। আউটসোর্সিংয়ে অধিকাংশ মানুষ যেন বেশি যুক্ত হতে পারে সরকারিভাবে আমরা তা এনকারেজ করবো।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে দেশ ও জাতি নিয়ে যে চিন্তা, যখন দেশের এ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করেনি, তখন বিএনপি ২৭ দফা দিয়েছিল।
তারেক রহমানা বলেন, আমরা এমন একটি দল যারা দেশ পরিচালনা করেছে। হয়তো অনেক কিছু করতে পারিনি। হয়তো অনেক কিছু করেছি। এ সময় তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরকারের অবদান ও সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন।
এ সময় তিনি ৩১ দফাকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। গ্রাম পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে উঠান বৈঠক করার আহ্বান জানান বিএনপির শীর্ষ নেতা।
তিতুমীর কলেজের ছাত্রদলের এক নেতার বক্তব্য উদ্ধৃত করে তারেক রহমান বলেন, জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, তাহলে যে সংস্কারই করি, কোনোটিই কাজে লাগবে না। রাজনৈতিক মুক্তি হচ্ছে জনগণের কাছে জবাবদিহি। যার যা ইচ্ছা করে যাবে, সেটা হবে না। সেটা সরকারি দল হোক, বিরোধী দল, এমপি হোক, মন্ত্রী হোক, জনগণের কাছে এর জবাব দিতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে হলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোটের মাধ্যমেই জবাবদিহিতা তৈরি হয়- বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
কর্মসংস্থানের বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, দেশে এক কোটির বেশি বেকার রয়েছেন। আমাদের গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্সের বাইরে নতুন সেক্টর তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি করার করার সুযোগ আছে। আমি চেষ্টা করি, অত দ্রুত পারবো না। অনেকাংশে সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো। রাতারাতি সব হবে না। দেশ সবার, প্রত্যেকের অবস্থান থেকে একটু একটু এগিয়ে আসি। প্রত্যেকে যদি চেষ্টা করি ইনশাল্লাহ ভালো কিছু করতে সক্ষম হবো।
প্রশিক্ষণ সভায় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বক্তব্য দেন। মতামত দেন ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন।
তারা বলেছেন, তিনি গঠনমূলক সমালোচনাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজ দল বিএনপির নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছেন। সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, যেকোনো ধরনের অন্যায় করলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ করেছেন। এই কথার মধ্য দিয়ে তিনি প্রকৃতপক্ষে দেশবাসীর মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন।