ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হত্যা মামলায় গ্রেফতার

যুবলীগের নিখিলের ভয়ঙ্কর সহযোগী কে এই রকি?

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১০:১৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / 41

নিখিলের সহযোগী রকি

রাজধানীর মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাঈনুল ইসলাম তূর্য হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা-১৪ আসনের সাবেক এমপি ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের অন্যতম সহযোগী ভয়ঙ্কর অস্ত্রধারী যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম রকিবুল ইসলাম ওরফে রকি (৩০)।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) মিরপুরের বড়বাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রকি মিরপুর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের অন্যতম সদস্য।

ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মিরপুর থানার সামনের সড়কে আরও অনেক ছাত্র-জনতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন মঈনুল ইসলাম তূর্য। এসময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আক্রমণকারীরা ককটেল বিস্ফোরণসহ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে তূর্য বাম হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।

মাইনুল হোসেন খান নিখিল
মাইনুল হোসেন খান নিখিল

তাকে প্রথমে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এবং পরবর্তীতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তূর্য বাদী হয়ে ১২ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।

ডিসি তালেবুর রহমান আরও বলেন, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় তূর্য হত্যাচেষ্টা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি রকিবুল ইসলাম ওরফে রকিকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, এক যুবলীগেই শেখ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই এবং বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল এবং ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) এবং নাহিদ সুলতানা যুথি মিলে গড়ে তুলেছিলেন পরিবারকেন্দ্রিক আরেক সিন্ডিকেট। দলের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে এক প্রকার কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল। যেকোনো কমিটি করার আগে নিজেরা বসে ভাবীর পরামর্শ নিয়ে তারপর নিখিলকে সাইন করিয়ে নিয়ে আসা হতো।

গোপন সূত্র নিশ্চিত করছে, বারবার এমন ঘটনার পর নিজ থেকেই যুবলীগ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন নিখিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে বিষয়টি নিয়ে নিখিল কয়েকবার জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকেও কোনো সমাধান আসেনি। বরং শেখ হাসিনা নিখিলকে সহ্য করার কথা বলতেন। ১১ নভেম্বর ২০২৪ এ সম্মেলন করারও কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ৫ আগস্ট সবকিছুর পট পরিবর্তন হয়ে যায়।

শেয়ার করুন

হত্যা মামলায় গ্রেফতার

যুবলীগের নিখিলের ভয়ঙ্কর সহযোগী কে এই রকি?

সময় ১০:১৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাঈনুল ইসলাম তূর্য হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা-১৪ আসনের সাবেক এমপি ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের অন্যতম সহযোগী ভয়ঙ্কর অস্ত্রধারী যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম রকিবুল ইসলাম ওরফে রকি (৩০)।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) মিরপুরের বড়বাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রকি মিরপুর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের অন্যতম সদস্য।

ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মিরপুর থানার সামনের সড়কে আরও অনেক ছাত্র-জনতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন মঈনুল ইসলাম তূর্য। এসময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আক্রমণকারীরা ককটেল বিস্ফোরণসহ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে তূর্য বাম হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।

মাইনুল হোসেন খান নিখিল
মাইনুল হোসেন খান নিখিল

তাকে প্রথমে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এবং পরবর্তীতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তূর্য বাদী হয়ে ১২ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।

ডিসি তালেবুর রহমান আরও বলেন, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় তূর্য হত্যাচেষ্টা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি রকিবুল ইসলাম ওরফে রকিকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, এক যুবলীগেই শেখ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই এবং বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল এবং ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) এবং নাহিদ সুলতানা যুথি মিলে গড়ে তুলেছিলেন পরিবারকেন্দ্রিক আরেক সিন্ডিকেট। দলের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে এক প্রকার কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল। যেকোনো কমিটি করার আগে নিজেরা বসে ভাবীর পরামর্শ নিয়ে তারপর নিখিলকে সাইন করিয়ে নিয়ে আসা হতো।

গোপন সূত্র নিশ্চিত করছে, বারবার এমন ঘটনার পর নিজ থেকেই যুবলীগ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন নিখিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে বিষয়টি নিয়ে নিখিল কয়েকবার জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকেও কোনো সমাধান আসেনি। বরং শেখ হাসিনা নিখিলকে সহ্য করার কথা বলতেন। ১১ নভেম্বর ২০২৪ এ সম্মেলন করারও কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ৫ আগস্ট সবকিছুর পট পরিবর্তন হয়ে যায়।