গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যদের নিয়ে প্রশ্ন, যা বললেন প্রেস সচিব
- সময় ০৮:৪৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
- / 39
সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে কমিশনের বেশিরভাগ সদস্য বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপরের সারির কর্তা ব্যক্তি বলে অভিযোগ উঠেছে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ প্রশ্নে কথা বলেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) কপ-২৯ পরবর্তী প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন এক গণমাধ্যমকর্মী।
ওই গণমাধ্যমকর্মী প্রশ্ন করেন, কমিশনের বেশিরভাগ সদস্য বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপরের সারির কর্তাব্যক্তি। যারা বর্তমান সময়েও তাদের প্রতিষ্ঠানে ৭ হাজার, ১০ হাজারে কর্মী নিয়োগ দেন। তাদের মাধ্যমে মাঠের কর্মীদের বৈষম্য কমানোর কোনো কাজ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা মনে করি ব্রডবেইজড একটি প্যানেলকেই নেয়া হয়েছে। যাদের নেয়া হয়েছে তাদের সলিড ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, এতটুকু বলতে পারি। সবাই মিলে আমরা যে কাঠামোগত পরিবর্তন চাইছি, গণমাধ্যমের সংস্কার চাইছি, সে বিষয়ে ভালো একটি প্রতিবেদন কমিশনের সদস্যরা দিতে পারবেন বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা দীর্ঘ সময় ধরে গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া জেলা পর্যায় থেকেও প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আশাকরি কমিশনের পক্ষ থেকে ভালো প্রস্তাবনাসহ প্রতিবেদন আসবে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, দ্য ডেইলি স্টারের বগুড়া প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের উপসম্পাদক টিটু দত্ত গুপ্ত, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেবে। কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন, সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তাদের কেউ অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে তা প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন। এই কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এই কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।