হজযাত্রীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
- সময় ০৪:৩৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
- / 64
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৪ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবার বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের সুযোগ পাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন যেতে পারবেন হজে। তবে এবারের হজের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
হাজীদের রিফান্ডের টাকা দেয়ার নামে প্রতারণার অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, নগদ বা বিকাশের গোপন নম্বর কাউকে দিবেন না- গণমাধ্যমকে এ তথা জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২০২৫ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। একটি প্যাকেজে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজে (মসজিদুল হারামের আশপাশের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ি ) ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। অপর প্যাকেজে (মসজিদুল হারামের আশপাশের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ি) ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা।
আর বেসরকারিভাবে সাধারণ প্যাকেজে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা।
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন হজযাত্রার খরচ কমানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন।গত বছরের চেয়ে একটি প্যাকেজ ১ লাখ টাকা হজের খরচ কমেছে ।
২০২৪ সালে ছিল সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজ খরচ হয়েছিল ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। আর বেসরকারিভাবে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা ।
২০২৪ সালের হজের প্যাকেজ নির্ধারণের সময় ২৯.৭৪ টাকা সৌদি রিয়াল ধরে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার তা ৩২.৫০ টাকা ধরে হিসাব করা হয়। সৌদি সরকারের নির্ধারিত ফি রিয়ালে হিসাব করে দিতে হবে বলে এবার হজযাত্রীদের সৌদি অংশের খরচ বাড়বে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের দুটি প্যাকেজের মধ্যে একটি হবে পবিত্র কাবা শরিফ থেকে এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে। অপরটি থাকবে কাবা শরিফ থেকে আড়াই থেকে তিন কিলোমিটারে মধ্যে। আসা যাওয়ার জন্য পরিবহন ও ভালো থাকার ব্যবস্থা থাকবে। এর মধ্যে সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এর মূল্য ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ এর মূল্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা।
বেসরকারি মাধ্যমের সাধারণ হজ প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। এর বাইরে সাধারণ হজ প্যাকেজ গ্রহণ করে এজেন্সি একটি অতিরিক্ত বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।
মক্কায় মসজিদুল হারাম চত্বর থেকে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে আবাসন হবে। যাতায়াতে বাসের ব্যবস্থা থাকবে। প্যাকেজ –২ তে মসজিদুল হারাম চত্বর থেকে ১.৫ কিলোমিটারের মধ্যে আবাসন হবে। মদিনায় মার্কাজিয়া (সেন্ট্রাল এরিয়া) এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
মিনায় হলুদ জোনে (জোন-৫) তাঁবুর অবস্থান এবং মিনা-আরাফায় ‘ডি’ ক্যাটাগরির সার্ভিস সুবিধা থাকবে। মক্কার হোটেল বা বাড়ি থেকে বাসে মিনার তাঁবুতে এবং মিনা-আরাফাহ-মুজদালিফা-মিনা ট্রেনে যাতায়াত করানো হবে। মিনা ও আরাফায় মোয়াল্লেম খাবার পরিবেশন করবেন।
অ্যাটাচড বাথসহ মক্কা ও মদিনায় বাড়ি বা হোটেলের প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৬ জনের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। বাড়ি বা হোটেল কক্ষে বা ফ্লোরে রেফ্রিজারেটরের ব্যবস্থা রাখা হবে। মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৪৬ জন হজযাত্রীর জন্য ১ জন হজ গাইডের ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেক হজযাত্রীকে খাবার বাবদ ন্যূনতম ৪০ হাজার টাকার সমপরিমাণ সৌদি রিয়াল এবং দমে শোকর (কোরবানি) বাবদ ৭৫০ সৌদি রিয়াল সঙ্গে নিতে হবে।