ঢাকা ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুসলিমদের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রতারণা!

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ০১:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / 61

ডোনাল্ড ট্রাম্প

এবারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। জেতার পর ইতোমধ্যে পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে প্রশাসন সাজাতে শুরু করেছেন ট্রাম্প। তারপরই মুসলামদের বাদ দিয়ে তিনি নিজের পছন্দের প্রশাসন গুছাতে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টিকে এক ধরনের প্রতারনার সামিল বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব মুসলিম নেতা নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন তারা এখন গভীরভাবে হতাশ। গাজা যুদ্ধ এবং লেবাননে আক্রমণের জন্য ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় এসব মুসলিম নেতা বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন। তবে ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা দেখে তারা হতাশ।

এমনি একজন মুসলিম নেতা রবিউল চৌধুরী রয়টার্সকে বলেছেন, ট্রাম্প আমাদের কারণে জিতেছেন কিন্তু তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য পদে যাদের বেছে নিয়েছেন তাতে আমরা খুশি নই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, মিশিগান রাজ্যে ট্রাম্পকে জেতাতে সাহায্য করেছেন মুসলিম ভোটাররা। এছাড়া অন্যান্য সুইং স্টেটগুলোতে হয়তো মুসলিম ভোটাররা ট্রাম্পের জয়ের কারণ। এবারের মার্কিন নির্বাচনে সাতটি সুইং স্টেটেই জিতেছেন ট্রাম্প।

জেতার পরেই ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিওকে বেছে নিয়েছেন। রয়টার্স জানিয়েছে, রুবিও ইসরায়েলের একজন কট্টর সমর্থক। চলতি বছরের শুরুর দিকে রুবিও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইসরায়েলকে হামাসের প্রতিটি উপাদান ধ্বংস করা উচিত।

হতাশায় মুসলিম নেতারা
হতাশায় মুসলিম নেতারা

এ ছাড়া ট্রাম্প ইসরায়েলে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মাইক হাকাবিকে বেছে নিয়েছেন। মাইকও ইসরায়েলের সমর্থক এবং তিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলের পক্ষে বলে জানান।

আমেরিকান মুসলিম এনগেজমেন্ট অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট নেটওয়ার্কের (এএমইইএন) নির্বাহী পরিচালক রেক্সিনালদো নাজারকো বলেন, মুসলিম ভোটাররা আশা করেছিলেন ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভায় এমন লোকদের নেবেন যারা শান্তির জন্য কাজ করবে। কিন্তু তাতে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই।

আমরা অনেক হতাশ বলে উল্লেখ করেছেন এই মুসলিম নেতা।

মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর হাসান আব্দেল সালাম বলেছেন, ট্রাম্পের এই মন্ত্রিসভা বাছাই আশ্চর্যজনক নয় কিন্তু অতি উগ্রপন্থীতার কারণে আমি বেশি ভীত।

শেয়ার করুন

মুসলিমদের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রতারণা!

সময় ০১:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

এবারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। জেতার পর ইতোমধ্যে পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে প্রশাসন সাজাতে শুরু করেছেন ট্রাম্প। তারপরই মুসলামদের বাদ দিয়ে তিনি নিজের পছন্দের প্রশাসন গুছাতে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টিকে এক ধরনের প্রতারনার সামিল বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব মুসলিম নেতা নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন তারা এখন গভীরভাবে হতাশ। গাজা যুদ্ধ এবং লেবাননে আক্রমণের জন্য ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় এসব মুসলিম নেতা বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন। তবে ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা দেখে তারা হতাশ।

এমনি একজন মুসলিম নেতা রবিউল চৌধুরী রয়টার্সকে বলেছেন, ট্রাম্প আমাদের কারণে জিতেছেন কিন্তু তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য পদে যাদের বেছে নিয়েছেন তাতে আমরা খুশি নই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, মিশিগান রাজ্যে ট্রাম্পকে জেতাতে সাহায্য করেছেন মুসলিম ভোটাররা। এছাড়া অন্যান্য সুইং স্টেটগুলোতে হয়তো মুসলিম ভোটাররা ট্রাম্পের জয়ের কারণ। এবারের মার্কিন নির্বাচনে সাতটি সুইং স্টেটেই জিতেছেন ট্রাম্প।

জেতার পরেই ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিওকে বেছে নিয়েছেন। রয়টার্স জানিয়েছে, রুবিও ইসরায়েলের একজন কট্টর সমর্থক। চলতি বছরের শুরুর দিকে রুবিও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইসরায়েলকে হামাসের প্রতিটি উপাদান ধ্বংস করা উচিত।

হতাশায় মুসলিম নেতারা
হতাশায় মুসলিম নেতারা

এ ছাড়া ট্রাম্প ইসরায়েলে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মাইক হাকাবিকে বেছে নিয়েছেন। মাইকও ইসরায়েলের সমর্থক এবং তিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলের পক্ষে বলে জানান।

আমেরিকান মুসলিম এনগেজমেন্ট অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট নেটওয়ার্কের (এএমইইএন) নির্বাহী পরিচালক রেক্সিনালদো নাজারকো বলেন, মুসলিম ভোটাররা আশা করেছিলেন ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভায় এমন লোকদের নেবেন যারা শান্তির জন্য কাজ করবে। কিন্তু তাতে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই।

আমরা অনেক হতাশ বলে উল্লেখ করেছেন এই মুসলিম নেতা।

মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর হাসান আব্দেল সালাম বলেছেন, ট্রাম্পের এই মন্ত্রিসভা বাছাই আশ্চর্যজনক নয় কিন্তু অতি উগ্রপন্থীতার কারণে আমি বেশি ভীত।