ভারতের বিধানসভায় ধস্তাধস্তি

- সময় ১০:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
- / 123
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরকে আবারও সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে নেওয়ার প্রস্তাব ঘিরে বিধানসভায় ধ্বস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিধানসভায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের ডাকা হয়।
বিধানসভা নির্বাচনের পর জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই বিধায়কদের মাঝে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের আওতায় কাশ্মির কিছু বিশেষ অধিকার ভোগ করত। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকার ২০১৯ সালে এই অনুচ্ছেদ বিলোপ করে।
বুধবার বিজেপির বিরোধের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মির বিধানসভায় কণ্ঠভোটে একটি প্রস্তাবে গৃহীত হয়। সেখানে ৩৭০ অনুচ্ছেদ আবারও চালু করার দাবি করা হয়েছে। সে জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে আলোচনা করার কথাও বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপির বিধায়ক সুনীল শর্মার বক্তৃতার সময় বিধায়ক শেখ খুরশিদ একটি ব্যানার নিয়ে ওয়েলে নেমে পড়েন। খুরশিদ হলেন বারামুলার সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশীদের ভাই। সেই ব্যানারে ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও সংবিধানের ৩৫-এ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনার দাবি ছিল। রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবিও করা হয়।
সেই সময় বিজেপির কিছু বিধায়ক ওয়েলে নেমে পড়েন। একজন খুরশিদের হাত থেকে ব্যানারটি ছিনিয়ে নিতে যান। অন্যরা ব্যানারটি ছিঁড়তে চান। সেসময় পিপলস কনফারেন্সের সাজ্জাদ লোন সেদিকে চলে যান। বিধায়কদের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। কিছুক্ষণ ধরে গোলমাল চলতে থাকে। স্পিকার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন। মার্শাল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শেয়ার করুন

ভারতের বিধানসভায় ধস্তাধস্তি

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরকে আবারও সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে নেওয়ার প্রস্তাব ঘিরে বিধানসভায় ধ্বস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিধানসভায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের ডাকা হয়।
বিধানসভা নির্বাচনের পর জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই বিধায়কদের মাঝে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের আওতায় কাশ্মির কিছু বিশেষ অধিকার ভোগ করত। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকার ২০১৯ সালে এই অনুচ্ছেদ বিলোপ করে।
বুধবার বিজেপির বিরোধের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মির বিধানসভায় কণ্ঠভোটে একটি প্রস্তাবে গৃহীত হয়। সেখানে ৩৭০ অনুচ্ছেদ আবারও চালু করার দাবি করা হয়েছে। সে জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে আলোচনা করার কথাও বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপির বিধায়ক সুনীল শর্মার বক্তৃতার সময় বিধায়ক শেখ খুরশিদ একটি ব্যানার নিয়ে ওয়েলে নেমে পড়েন। খুরশিদ হলেন বারামুলার সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশীদের ভাই। সেই ব্যানারে ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও সংবিধানের ৩৫-এ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনার দাবি ছিল। রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবিও করা হয়।
সেই সময় বিজেপির কিছু বিধায়ক ওয়েলে নেমে পড়েন। একজন খুরশিদের হাত থেকে ব্যানারটি ছিনিয়ে নিতে যান। অন্যরা ব্যানারটি ছিঁড়তে চান। সেসময় পিপলস কনফারেন্সের সাজ্জাদ লোন সেদিকে চলে যান। বিধায়কদের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। কিছুক্ষণ ধরে গোলমাল চলতে থাকে। স্পিকার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন। মার্শাল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।