ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাক মাথায় নতুন সৌন্দর্যের গল্প

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  • সময় ০৪:২৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / 261

আত্মবিশ্বাসে নতুন সৌন্দর্যের গল্প

প্রতিবছর ১৪ অক্টোবর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় “বি বোল্ড অ্যান্ড বি ফ্রি ডে,” বা বাংলায় বললে “টাক হোন, মুক্ত থাকুন দিবস”। এই দিবসটির উদ্দেশ্য আমাদেরকে বোঝানো, সৌন্দর্যের মানে কেবল মাথায় ঘন চুল থাকা নয়, বরং টাকও ব্যক্তিত্বের এক ভিন্ন পরিচায়ক হতে পারে।

এই দিবসটি শুরু করেছিলেন ওয়েলক্যাট হার্বসের প্রতিষ্ঠাতা টমাস রায় ও রুথ রায়। তাদের মতে, এটা কেবল একজনের চেহারাকেই নয়, বরং নিজেকে ভালোবাসার শক্তি এনে দেয়।

কালের সাথে সৌন্দর্যের মানদণ্ড পাল্টেছে, টাকও এখন জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একসময় সমাজে টাক মাথাকে নেতিবাচকভাবে দেখা হলেও, এখন তা আত্মবিশ্বাসের পরিচায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আত্মবিশ্বাসে নতুন সৌন্দর্যের গল্প

গবেষণায় দেখা গেছে, টাক মাথার পুরুষদের সমাজে অধিক আত্মবিশ্বাসী এবং শক্তিশালী হিসেবে দেখা হয়। তাদের অনেকেই এখন অনন্য ব্যক্তিত্বের জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন।

বর্তমানে টাক মাথার পুরুষরা নতুন স্টাইল ট্রেন্ড তৈরি করছেন। গ্ল্যামারাস সানগ্লাস, হ্যাট বা স্কার্ফ ব্যবহার করে অনেকেই তাদের ফ্যাশনে নতুন মাত্রা যোগ করছেন। টাক মাথা থাকা মানেই ফ্যাশনের সীমাবদ্ধতা নয়, বরং এটি ব্যক্তিত্বে নতুন রূপ আনে। অনেক টাক মাথা পুরুষই বলছেন, এটা তাদের সামাজিক সম্পর্কগুলিকে আরও সহজ করে তুলেছে।

একবিংশ শতাব্দীতে টাক মাথা ট্রেন্ডি হতে শুরু করলেও, এর ইতিহাস কিন্তু বহু পুরোনো। ১৯৫০ এর দশকে টাক মাথা এমন একটি চেহারা হিসেবে দেখা শুরু হয়, যা সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী মানুষদের পরিচায়ক। তারপর ৯০ এর দশকে মাইকেল জর্ডান, ব্রুস উইলিস, ইভান্ডার হলিফিল্ডের মতো তারকাদের মাধ্যমে শেভড হেড স্টাইলটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠে।

টাক মাথার ইতিহাসের শিকড় বহু গভীরে প্রোথিত। প্রাচীন রোম ও মিশরে ধর্মীয় নেতা ও সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে মাথা কামানোর রীতি চালু করেন। প্রাচীন মিশরীয়রা এমনকি সোনা ও তামা দিয়ে শেভিং সরঞ্জাম তৈরি করেছিল। সেই সময়ের মানুষ তাদের চেহারায় টাককে সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখতেন।

আত্মবিশ্বাসে নতুন সৌন্দর্যের গল্প

আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, টাক মাথার পুরুষরা কর্মক্ষেত্রেও উচ্চ আত্মবিশ্বাসী এবং অনেক ক্ষেত্রেই নেতৃত্ব গুণে অনন্য। এর কারণ হতে পারে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং নিজেদের প্রতি গর্বিত মনোভাব।

মিডিয়া এবং সিনেমায়ও টাক মাথার পুরুষরা আইকনিক চরিত্র হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছেন। ফলে সাধারণ মানুষও টাক মাথাকে এক ইতিবাচক আলোকে দেখতে শুরু করেছে।

“বি বোল্ড অ্যান্ড বি ফ্রি” আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আসল সৌন্দর্য আসে আত্মবিশ্বাস থেকে। চুল থাকা বা না থাকা একজনের ব্যক্তিত্বের পুরো চিত্র নয়, বরং নিজের প্রতি গর্ব এবং ভালোলাগাই আসল ব্যাপার। তাই টাক মাথা নিয়ে যারা বিব্রত, তাদের কাছে এই বার্তা – টাক হোন, এবং মুক্ত থাকুন।

শেয়ার করুন

টাক মাথায় নতুন সৌন্দর্যের গল্প

সময় ০৪:২৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রতিবছর ১৪ অক্টোবর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় “বি বোল্ড অ্যান্ড বি ফ্রি ডে,” বা বাংলায় বললে “টাক হোন, মুক্ত থাকুন দিবস”। এই দিবসটির উদ্দেশ্য আমাদেরকে বোঝানো, সৌন্দর্যের মানে কেবল মাথায় ঘন চুল থাকা নয়, বরং টাকও ব্যক্তিত্বের এক ভিন্ন পরিচায়ক হতে পারে।

এই দিবসটি শুরু করেছিলেন ওয়েলক্যাট হার্বসের প্রতিষ্ঠাতা টমাস রায় ও রুথ রায়। তাদের মতে, এটা কেবল একজনের চেহারাকেই নয়, বরং নিজেকে ভালোবাসার শক্তি এনে দেয়।

কালের সাথে সৌন্দর্যের মানদণ্ড পাল্টেছে, টাকও এখন জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একসময় সমাজে টাক মাথাকে নেতিবাচকভাবে দেখা হলেও, এখন তা আত্মবিশ্বাসের পরিচায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আত্মবিশ্বাসে নতুন সৌন্দর্যের গল্প

গবেষণায় দেখা গেছে, টাক মাথার পুরুষদের সমাজে অধিক আত্মবিশ্বাসী এবং শক্তিশালী হিসেবে দেখা হয়। তাদের অনেকেই এখন অনন্য ব্যক্তিত্বের জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন।

বর্তমানে টাক মাথার পুরুষরা নতুন স্টাইল ট্রেন্ড তৈরি করছেন। গ্ল্যামারাস সানগ্লাস, হ্যাট বা স্কার্ফ ব্যবহার করে অনেকেই তাদের ফ্যাশনে নতুন মাত্রা যোগ করছেন। টাক মাথা থাকা মানেই ফ্যাশনের সীমাবদ্ধতা নয়, বরং এটি ব্যক্তিত্বে নতুন রূপ আনে। অনেক টাক মাথা পুরুষই বলছেন, এটা তাদের সামাজিক সম্পর্কগুলিকে আরও সহজ করে তুলেছে।

একবিংশ শতাব্দীতে টাক মাথা ট্রেন্ডি হতে শুরু করলেও, এর ইতিহাস কিন্তু বহু পুরোনো। ১৯৫০ এর দশকে টাক মাথা এমন একটি চেহারা হিসেবে দেখা শুরু হয়, যা সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী মানুষদের পরিচায়ক। তারপর ৯০ এর দশকে মাইকেল জর্ডান, ব্রুস উইলিস, ইভান্ডার হলিফিল্ডের মতো তারকাদের মাধ্যমে শেভড হেড স্টাইলটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠে।

টাক মাথার ইতিহাসের শিকড় বহু গভীরে প্রোথিত। প্রাচীন রোম ও মিশরে ধর্মীয় নেতা ও সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে মাথা কামানোর রীতি চালু করেন। প্রাচীন মিশরীয়রা এমনকি সোনা ও তামা দিয়ে শেভিং সরঞ্জাম তৈরি করেছিল। সেই সময়ের মানুষ তাদের চেহারায় টাককে সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখতেন।

আত্মবিশ্বাসে নতুন সৌন্দর্যের গল্প

আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, টাক মাথার পুরুষরা কর্মক্ষেত্রেও উচ্চ আত্মবিশ্বাসী এবং অনেক ক্ষেত্রেই নেতৃত্ব গুণে অনন্য। এর কারণ হতে পারে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং নিজেদের প্রতি গর্বিত মনোভাব।

মিডিয়া এবং সিনেমায়ও টাক মাথার পুরুষরা আইকনিক চরিত্র হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছেন। ফলে সাধারণ মানুষও টাক মাথাকে এক ইতিবাচক আলোকে দেখতে শুরু করেছে।

“বি বোল্ড অ্যান্ড বি ফ্রি” আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আসল সৌন্দর্য আসে আত্মবিশ্বাস থেকে। চুল থাকা বা না থাকা একজনের ব্যক্তিত্বের পুরো চিত্র নয়, বরং নিজের প্রতি গর্ব এবং ভালোলাগাই আসল ব্যাপার। তাই টাক মাথা নিয়ে যারা বিব্রত, তাদের কাছে এই বার্তা – টাক হোন, এবং মুক্ত থাকুন।