ঢাকা ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৫:১৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • / 244

গনভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন উপদেষ্টা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গনভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার।

শনিবার (২ নভেম্বর) জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন কিউরেটর, শিক্ষক, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. এবাদুর রহমান। যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মুসতাইন বিল্লাহ; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জাহিদ সবুজ; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. নুরুল মোমেন ভূঁইয়া; আলোকচিত্রী, শিক্ষক ও শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তানজিম ওয়াহাব;

লেখক ও গবেষক সহুল আহমেদ মুন্না; স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম; বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক;

আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক; প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক;

স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি; গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী;

স্থাপত্য অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া; ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের সভাপতি বা উপযুক্ত প্রতিনিধি;

নকশাবিদ আর্কিটেক্টসের লিড আর্কিটেক্ট বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার এবং ডিজাইন ওয়ার্কস গ্রুপের স্থপতি তানজিম হাসান সেলিম।

এছাড়া কমিটিতে এক বা দুজন ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত হবে বলে জানান নাহিদ ইসলাম।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাসভবন গণভবনে জুলাই-আগস্ট জুড়ে সারা দেশে পতিত আওয়ামী সরকারের

নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা হবে। আয়নাঘরের রেপ্লিকা হবে। এখানে একটি গবেষণা কেন্দ্রও থাকবে।

পরবর্তীতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, এ জাদুঘর সংরক্ষিত থাকবে বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকদের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার্থে
গণভবনে প্রবেশ করে ফ্যাসিবাদী সরকার-প্রধানের দম্ভ ভেঙে দিয়েছে।
গত ১৬ বছরে এই গণভবন বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-যাতনার জায়গায় পরিণত হয়েছিল।
আবার এই গণভবনে জনগণের বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও রয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়ের চিহ্নও এই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে।

মাহফুজ আলম আরও বলেন, ‘এই জাদুঘর শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’

চলতি সপ্তাহেই কমিটি কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেয়ার করুন

গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে কমিটি গঠন

সময় ০৫:১৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গনভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার।

শনিবার (২ নভেম্বর) জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন কিউরেটর, শিক্ষক, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. এবাদুর রহমান। যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মুসতাইন বিল্লাহ; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জাহিদ সবুজ; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. নুরুল মোমেন ভূঁইয়া; আলোকচিত্রী, শিক্ষক ও শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তানজিম ওয়াহাব;

লেখক ও গবেষক সহুল আহমেদ মুন্না; স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম; বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক;

আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক; প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক;

স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি; গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী;

স্থাপত্য অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া; ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের সভাপতি বা উপযুক্ত প্রতিনিধি;

নকশাবিদ আর্কিটেক্টসের লিড আর্কিটেক্ট বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার এবং ডিজাইন ওয়ার্কস গ্রুপের স্থপতি তানজিম হাসান সেলিম।

এছাড়া কমিটিতে এক বা দুজন ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত হবে বলে জানান নাহিদ ইসলাম।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাসভবন গণভবনে জুলাই-আগস্ট জুড়ে সারা দেশে পতিত আওয়ামী সরকারের

নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা হবে। আয়নাঘরের রেপ্লিকা হবে। এখানে একটি গবেষণা কেন্দ্রও থাকবে।

পরবর্তীতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, এ জাদুঘর সংরক্ষিত থাকবে বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকদের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার্থে
গণভবনে প্রবেশ করে ফ্যাসিবাদী সরকার-প্রধানের দম্ভ ভেঙে দিয়েছে।
গত ১৬ বছরে এই গণভবন বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-যাতনার জায়গায় পরিণত হয়েছিল।
আবার এই গণভবনে জনগণের বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও রয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়ের চিহ্নও এই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে।

মাহফুজ আলম আরও বলেন, ‘এই জাদুঘর শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’

চলতি সপ্তাহেই কমিটি কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।