ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় ঘূর্নিঝড় “দানা’মোকাবেলায় প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি,জরুরী সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলা
  • সময় ০২:০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / 236

পশ্চিম মধ্যসাগরে সৃষ্টি ঝড় দানা মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে,ভোলার জেলা প্রশাসন।এরই অংশ হিসেবে আজ বুধবার(২৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান জানিয়েছেন,ঝড় মোকাবেলায় পুর্ব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যার অংশ হিসেবে ৯৮ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।এছাড়াও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে, সিপিপি ও রেডক্রিসেন্ট সহ অন্তত ১৫ হাজার সেচ্ছাসেবীকে।
এছাড়াও নগদ ৯ লাখ টাকা,সাড়ে ৩’শ শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর খাদ্য এবং ৫’শ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে।

জেলা ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাঈন বলেন,ঘূর্নিঝড় মোকাবেলায় আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয় রেখেছি। তাদের একাধিক টিম প্রস্তুত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা হবে।

তিনি বলেন, জেলার ৭৮৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র, ১৭ টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ১০ টার দিক থেকে জেলা জুড়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।তবে জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে ২৫ অক্টোবর দুপুরের মধ্যে ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্নিঝড়টি।

এটি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বর্তমানে ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর ২ নম্বর স্থানীয় শতর্ক সংকেত দিয়েছে। ফলে উপকুলীয় এলাকার নদী ও সাগরের মাছধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোর অধিকাংশই এখন নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে বলে খবর মিলেছে।

শেয়ার করুন

ভোলায় ঘূর্নিঝড় “দানা’মোকাবেলায় প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি,জরুরী সভা

সময় ০২:০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

পশ্চিম মধ্যসাগরে সৃষ্টি ঝড় দানা মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে,ভোলার জেলা প্রশাসন।এরই অংশ হিসেবে আজ বুধবার(২৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান জানিয়েছেন,ঝড় মোকাবেলায় পুর্ব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যার অংশ হিসেবে ৯৮ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।এছাড়াও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে, সিপিপি ও রেডক্রিসেন্ট সহ অন্তত ১৫ হাজার সেচ্ছাসেবীকে।
এছাড়াও নগদ ৯ লাখ টাকা,সাড়ে ৩’শ শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর খাদ্য এবং ৫’শ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে।

জেলা ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাঈন বলেন,ঘূর্নিঝড় মোকাবেলায় আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয় রেখেছি। তাদের একাধিক টিম প্রস্তুত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা হবে।

তিনি বলেন, জেলার ৭৮৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র, ১৭ টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ১০ টার দিক থেকে জেলা জুড়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।তবে জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে ২৫ অক্টোবর দুপুরের মধ্যে ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্নিঝড়টি।

এটি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বর্তমানে ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর ২ নম্বর স্থানীয় শতর্ক সংকেত দিয়েছে। ফলে উপকুলীয় এলাকার নদী ও সাগরের মাছধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোর অধিকাংশই এখন নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে বলে খবর মিলেছে।