ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫ রাজ্যের জন্মহার ভাবাচ্ছে মোদি সরকারকে

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১০:৪৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
  • / 245

চিনকে ছাপিয়ে অনেক আগেই জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্ব তালিকায় সবার উপরে উঠে এসেছে ভারত। তবে এই জনবিস্ফোরণে লাগাম টানতে দেশটির সরকারের তরফে এখনও কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

তবে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন এক জরিপের পর নড়েচড়ে বসেছে বিজেপি সরকার। ভারতের পাঁচটি রাজ্যে জন্মহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই রাজ্যগুলো হলো বিহার, মেঘালয়, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড ও মণিপুর।

জন্মহার বাড়ার তালিকায় সবার উপরে রয়েছে বিহার। এখানে প্রজনন হার ৩ শতাংশ। পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে মেঘালয়। রাজ্যটিতে প্রজনন হার ২.৯ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ২.৪ শতাংশ, ঝাড়খন্ডে ২.৩ শতাংশ এবং মণিপুরে ২.২ শতাংশ।

ভারতে মতো দেশে প্রজনন হার ২.১ শতাংশ স্বাভাবিক হার হিসেবে ধরা হয়। তার চেয়ে কম হলে দেশে যুব সমাজের তুলনায় বয়স্ক লোকের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। বর্তমানে এই সমস্যায় ভুক্তভোগী জাপান।

এই জন্মহারের প্রতিবেদন পাওয়ার পর দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, যে রাজ্যগুলিতে জন্মহার ব্যাপকভাবে বাড়ছে সেখানে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্যদিকে প্রজনন হারের নিরিখে সবচেয়ে নিচের সারিতে রয়েছে- সিকিম, গোয়া, লাদাখ, লাক্ষাদ্বীপ ও চন্ডীগড়। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিকিমে জন্মহার মাত্র ১.১ শতাংশ, গোয়াতে ১.৩৫ শতাংশ। লাদাখ, লাক্ষাদ্বীপ ও চণ্ডিগড় যথাক্রমে ১.৩৫ শতাংশ, ১.৩৮ শতাংশ ও ১.৩৯ শতাংশ।

জনসংখ্যার বৃদ্ধি আটকাতে এখনই যে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সে কথা স্বীকার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাড্ডা বলেন, বিকশিত ভারতের লক্ষ্য সফল হওয়া তখনই সম্ভব যখন দেশের মানুষ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন। সেটা তখনই সম্ভব যখন পরিবার ছোট হবে।

এদিকে ভারতের জনসংখ্যা আরেকটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৬০ নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৭০ কোটিতে পৌঁছবে। তার পরই তা কমতে আরম্ভ করবে। একই ট্রেন্ড লক্ষ করা যাবে গোটা বিশ্বেই। ২০৮০ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের জনসংখ্যা ১০.৩ বিলিয়ন তথা ১০০০ কোটি ছাপিয়ে যাবে। তবে এর পরই তা কমতে থাকবে।

রাষ্ট্রসংঘের দাবি, ২১০০ সালেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকবে। যদিও আগের চল্লিশ বছরের তুলনায় তা হ্রাস পাবে ১২ শতাংশ।

রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে ভারতের জনসংখ্যা ১৪৫ কোটি। ২০৫৪ সালে তা বেড়ে হবে ১৬৯ কোটি। কিন্তু ২১০০ সালে তা কমে দাঁড়াবে দেড়শো কোটিতে।

শেয়ার করুন

৫ রাজ্যের জন্মহার ভাবাচ্ছে মোদি সরকারকে

সময় ১০:৪৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

চিনকে ছাপিয়ে অনেক আগেই জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্ব তালিকায় সবার উপরে উঠে এসেছে ভারত। তবে এই জনবিস্ফোরণে লাগাম টানতে দেশটির সরকারের তরফে এখনও কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

তবে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন এক জরিপের পর নড়েচড়ে বসেছে বিজেপি সরকার। ভারতের পাঁচটি রাজ্যে জন্মহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই রাজ্যগুলো হলো বিহার, মেঘালয়, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড ও মণিপুর।

জন্মহার বাড়ার তালিকায় সবার উপরে রয়েছে বিহার। এখানে প্রজনন হার ৩ শতাংশ। পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে মেঘালয়। রাজ্যটিতে প্রজনন হার ২.৯ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ২.৪ শতাংশ, ঝাড়খন্ডে ২.৩ শতাংশ এবং মণিপুরে ২.২ শতাংশ।

ভারতে মতো দেশে প্রজনন হার ২.১ শতাংশ স্বাভাবিক হার হিসেবে ধরা হয়। তার চেয়ে কম হলে দেশে যুব সমাজের তুলনায় বয়স্ক লোকের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। বর্তমানে এই সমস্যায় ভুক্তভোগী জাপান।

এই জন্মহারের প্রতিবেদন পাওয়ার পর দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, যে রাজ্যগুলিতে জন্মহার ব্যাপকভাবে বাড়ছে সেখানে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্যদিকে প্রজনন হারের নিরিখে সবচেয়ে নিচের সারিতে রয়েছে- সিকিম, গোয়া, লাদাখ, লাক্ষাদ্বীপ ও চন্ডীগড়। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিকিমে জন্মহার মাত্র ১.১ শতাংশ, গোয়াতে ১.৩৫ শতাংশ। লাদাখ, লাক্ষাদ্বীপ ও চণ্ডিগড় যথাক্রমে ১.৩৫ শতাংশ, ১.৩৮ শতাংশ ও ১.৩৯ শতাংশ।

জনসংখ্যার বৃদ্ধি আটকাতে এখনই যে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সে কথা স্বীকার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাড্ডা বলেন, বিকশিত ভারতের লক্ষ্য সফল হওয়া তখনই সম্ভব যখন দেশের মানুষ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন। সেটা তখনই সম্ভব যখন পরিবার ছোট হবে।

এদিকে ভারতের জনসংখ্যা আরেকটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৬০ নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৭০ কোটিতে পৌঁছবে। তার পরই তা কমতে আরম্ভ করবে। একই ট্রেন্ড লক্ষ করা যাবে গোটা বিশ্বেই। ২০৮০ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের জনসংখ্যা ১০.৩ বিলিয়ন তথা ১০০০ কোটি ছাপিয়ে যাবে। তবে এর পরই তা কমতে থাকবে।

রাষ্ট্রসংঘের দাবি, ২১০০ সালেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকবে। যদিও আগের চল্লিশ বছরের তুলনায় তা হ্রাস পাবে ১২ শতাংশ।

রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে ভারতের জনসংখ্যা ১৪৫ কোটি। ২০৫৪ সালে তা বেড়ে হবে ১৬৯ কোটি। কিন্তু ২১০০ সালে তা কমে দাঁড়াবে দেড়শো কোটিতে।