কক্সবাজারের এক্সক্লুসিভ সৈকত: যেখানে পর্যটক নিষিদ্ধ!
- সময় ০৮:০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
- / 262
কক্সবাজারে উদ্বোধন হয়েছে নতুন একটি সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সংক্ষিপ্ত নাম অনুসারে এটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বোরি বিচ’। এই সৈকতে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেতে পারবেন না স্থানীয় বাসিন্দারাও।
কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজুখাল সংলগ্ন উখিয়ার সোনারপাড়ায় বিশেষায়িত এই বীচের অবস্থান। সৈকতটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৯১ কিলোমিটার। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকতও। প্রতিবছর কয়েক লাখ লোক এই সমুদ্রের সৌজন্য উপভোগে আসেন।
কক্সবাজারে বর্তমানে সরকার স্বীকৃত সাতটি বীচ রয়েছে। এগুলো হলো – লাবনী পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, দরিয়ানগর সৈকত, হিমছড়ি, ইনানী সৈকত এবং টেকনাফ সৈকত। সবগুলো বীচ-ই দেশী-বিদেশেী পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। বোরি বিচ কক্সবাজারের অষ্টম বিচ হিসেবে স্বীকৃতি পেলো। তবে বিচটিতে জনসাধারণ প্রবেশ নিষিদ্ধ।
বিশেষায়িত এই বিচটি মূলত বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বোরি)’র গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। জায়গাটি কাছিম, রাজ কাঁকড়া ও শামুক-ঝিনুকসহ সমুদ্র উপক‚লের নানা প্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এখানে কেউ এসে তাদের বিরক্ত করবে না। সৈকতটি থাকবে শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং প্লাস্টিকমুক্ত।
সমুদ্রে বিনোদনের পাশাপাশি সরকার বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ ও সম্পদ কাজে লাগাতে মনোযোগী হয়েছে। মূলত সমুদ্রের মৎস্য, প্রাণিজ সম্পদ, খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ, যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ, উপক‚লীয় ও দ্বীপ অঞ্চলে পর্যটনের বিকাশ, উপকূলীয় অঞ্চলের নানাবিধ সম্পদ ও সম্ভাবনা, শিক্ষা, গবেষণাসহ নানা মাত্রিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমুদ্রের ভূমিকা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্য নিয়েই ২০১৫ সালে সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বোরি বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সমুদ্র বিদ্যা বিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠান। যার প্রধান কার্যালয় কক্সবাজারের রামুতে। এটি সমুদ্র বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সহায়তা ও পরামর্শ প্রদানে নিয়োজিত।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিরো বিচে যেসব গবেষণার কার্যক্রমটি একটি মডেল কার্যক্রম হিসেবে নেয়া হয়েছে। এখান থেকে প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে দেশের সব সমুদ্র এলাকায় এভাবে আলাদা জোন গড়ে তোলা হবে গবেষনার জন্য। পাশাপাশি সমুদ্রকে কীভাবে সংরক্ষণ করে জনস্বার্থে ব্যবহার করা যায়, সেই উদ্যোগ নেয়া হবে।