ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৬ শিক্ষকের মাস্তানি, সহকর্মীকে পিটিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজবাড়ী
  • সময় ০৫:৫৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 24

পেটানো

রাজবাড়ীর পাংশায় স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ডেকে নিয়ে মাস্তানি করে ৬ জন শিক্ষক মিলে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ১০৯ নং চরলক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনের ব্যাপারে কথা বলতে পাট্রাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল ইসলাম ডেকে পাঠান। পাংশা শহরের মালেক প্লাজার ভেতর পৌঁছালে পাট্রাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল ইসলাম, ধানুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাজাহানুল হক, রুপিয়াট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী শামসুল হক, নিশ্চিন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আমিরুল ইসলাম, কসবামাজাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রাশেদুর রহমান, কবি নজরুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

পকেটে থাকা ৫২০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্যাকেট ছিড়ে ফেলেন। পরে মেজ ভাই আব্দুল খালেক মন্ডল উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত পাট্রাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে মারধর করা হয়েছে কিনা জানি না।

তবে পরে বিএনপি নেতা রাজা ভাই উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছেন। মাস্তিানি করে সহকর্মীর ওপর হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।  অভিযুক্ত ধানুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাজাহানুল হক মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। পরে আমরা একসাথে অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়া করেছি।

রুপিয়াট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী শামসুল হক ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবি করেন।

নিশ্চিন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ওখানে মারামারি হয়নি, আগের বিরোধ ছিল, তাই মীমাংসা করে দিয়েছেন রাজা মামা।

কসবামাজাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রাশেদুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিনই স্কুল শেষে পাংশা শহরে ঘুরতে যাই। ওখানে মালেক ভাই উত্তেজিত হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

কবি নজরুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি মালেকপ্লাজায় স্কাউটিং কমিটি নিয়ে বসা হয়। সেখানে উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

শেয়ার করুন

৬ শিক্ষকের মাস্তানি, সহকর্মীকে পিটিয়েছে

সময় ০৫:৫৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

রাজবাড়ীর পাংশায় স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ডেকে নিয়ে মাস্তানি করে ৬ জন শিক্ষক মিলে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ১০৯ নং চরলক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনের ব্যাপারে কথা বলতে পাট্রাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল ইসলাম ডেকে পাঠান। পাংশা শহরের মালেক প্লাজার ভেতর পৌঁছালে পাট্রাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল ইসলাম, ধানুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাজাহানুল হক, রুপিয়াট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী শামসুল হক, নিশ্চিন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আমিরুল ইসলাম, কসবামাজাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রাশেদুর রহমান, কবি নজরুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

পকেটে থাকা ৫২০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্যাকেট ছিড়ে ফেলেন। পরে মেজ ভাই আব্দুল খালেক মন্ডল উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত পাট্রাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে মারধর করা হয়েছে কিনা জানি না।

তবে পরে বিএনপি নেতা রাজা ভাই উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছেন। মাস্তিানি করে সহকর্মীর ওপর হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।  অভিযুক্ত ধানুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাজাহানুল হক মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। পরে আমরা একসাথে অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়া করেছি।

রুপিয়াট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী শামসুল হক ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবি করেন।

নিশ্চিন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ওখানে মারামারি হয়নি, আগের বিরোধ ছিল, তাই মীমাংসা করে দিয়েছেন রাজা মামা।

কসবামাজাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রাশেদুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিনই স্কুল শেষে পাংশা শহরে ঘুরতে যাই। ওখানে মালেক ভাই উত্তেজিত হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

কবি নজরুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি মালেকপ্লাজায় স্কাউটিং কমিটি নিয়ে বসা হয়। সেখানে উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।