১২:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
যথাসময়ে বেতন-বোনাস না দেওয়ায়

১২ পোশাক কারখানার মালিকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
  • সময় ০৬:৫৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 20

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করায় ১২টি পোশাক কারখানার মালিকদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং মঙ্গলবার থেকেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

শ্রম উপদেষ্টা জানান, ২৭ মার্চের মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের নির্দেশনা রয়েছে। তবে ১২টি কারখানা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে।

তিনি বলেন, ‘যেসব কারখানা নির্ধারিত সময়ে বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে।’

কারা এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা জানান, কারখানাগুলোর নাম প্রকাশ করা যাবে না।

তবে তিনি বলেন, ‘এসব মালিকদের বিদেশ ভ্রমণে সমস্যা হয় না, বাড়ি-গাড়ি করতেও সমস্যা নেই। অথচ শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের সময় তারা নানা সমস্যা দেখান।’

২৭ মার্চের মধ্যে অন্যান্য কারখানা যদি শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করে, তবে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এ প্রসঙ্গে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘২৭ মার্চের পর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তাদের বিরুদ্ধেও সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন

যথাসময়ে বেতন-বোনাস না দেওয়ায়

১২ পোশাক কারখানার মালিকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

সময় ০৬:৫৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করায় ১২টি পোশাক কারখানার মালিকদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং মঙ্গলবার থেকেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

শ্রম উপদেষ্টা জানান, ২৭ মার্চের মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের নির্দেশনা রয়েছে। তবে ১২টি কারখানা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে।

তিনি বলেন, ‘যেসব কারখানা নির্ধারিত সময়ে বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে।’

কারা এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা জানান, কারখানাগুলোর নাম প্রকাশ করা যাবে না।

তবে তিনি বলেন, ‘এসব মালিকদের বিদেশ ভ্রমণে সমস্যা হয় না, বাড়ি-গাড়ি করতেও সমস্যা নেই। অথচ শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের সময় তারা নানা সমস্যা দেখান।’

২৭ মার্চের মধ্যে অন্যান্য কারখানা যদি শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করে, তবে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এ প্রসঙ্গে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘২৭ মার্চের পর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তাদের বিরুদ্ধেও সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’