১২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের

১০ সেকেন্ডের ব্যবধানে ৩-৪টা লাশ দেখলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা
  • সময় ১০:২৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 8

সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত

পাবনার ঈশ্বরদীতে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। প্রতক্ষ্যদর্শী একজন জানিয়েছেন, ১০ সেকেন্ডের ব্যবধানে ৩-৪টা লাশ দেখলাম।

নিহতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার দিয়ার বাঘইল গ্রামের মৃত বাবু প্রামাণিকের ছেলে রাব্বি প্রামানিক (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন (৩০), তাদের ছেলে মুস্তাকিম (২), ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আশরাফুল ইসলামের ছেলে রাতুল ইসলাম (১৮) ও ঈশ্বরদী উপজেলার রানা হোসেনের ছেলে তোহা (২৫)।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুলাডুলি ইউনিয়নের বহরপুর এলাকার মল্লিক অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টসের সামনে বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৫টার দিকে ঈশ্বরদী শহর থেকে দাশুড়িয়াগামী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পাবনা থেকে ঈশ্বরদীগামী ভলকা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আরও একজনের মৃত্যু হয়। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঈশ্বরদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরও একজন।

স্থানীয়রা বলেন, আসর নামাজের পর হঠাৎ করে চোখের সামনে এমন ঘটনায় হতভম্ব হয়েছি। ১০ সেকেন্ডের ব্যবধানে ৩-৪টা লাশ দেখলাম। এই সড়কে সিএনজি চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় এর আগেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সড়কে সচেতনতার জন্য পুলিশ প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ করেন তারা।

ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যান। তবে বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের

১০ সেকেন্ডের ব্যবধানে ৩-৪টা লাশ দেখলাম

সময় ১০:২৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

পাবনার ঈশ্বরদীতে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। প্রতক্ষ্যদর্শী একজন জানিয়েছেন, ১০ সেকেন্ডের ব্যবধানে ৩-৪টা লাশ দেখলাম।

নিহতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার দিয়ার বাঘইল গ্রামের মৃত বাবু প্রামাণিকের ছেলে রাব্বি প্রামানিক (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন (৩০), তাদের ছেলে মুস্তাকিম (২), ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আশরাফুল ইসলামের ছেলে রাতুল ইসলাম (১৮) ও ঈশ্বরদী উপজেলার রানা হোসেনের ছেলে তোহা (২৫)।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুলাডুলি ইউনিয়নের বহরপুর এলাকার মল্লিক অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টসের সামনে বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৫টার দিকে ঈশ্বরদী শহর থেকে দাশুড়িয়াগামী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পাবনা থেকে ঈশ্বরদীগামী ভলকা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আরও একজনের মৃত্যু হয়। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঈশ্বরদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরও একজন।

স্থানীয়রা বলেন, আসর নামাজের পর হঠাৎ করে চোখের সামনে এমন ঘটনায় হতভম্ব হয়েছি। ১০ সেকেন্ডের ব্যবধানে ৩-৪টা লাশ দেখলাম। এই সড়কে সিএনজি চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় এর আগেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সড়কে সচেতনতার জন্য পুলিশ প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ করেন তারা।

ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যান। তবে বাসটি জব্দ করা হয়েছে।