হোসেনপুরে ফখরুল-তানিয়া দম্পতির বিচার দাবি | Bangla Affairs
১১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোসেনপুরে ফখরুল-তানিয়া দম্পতির বিচার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জ
  • সময় ০৭:০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / 16

হোসেনপুরে ফখরুল-তানিয়া দম্পতির বিচার দাবি

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ফখরুল-তানিয়া দম্পতি ও তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে প্রতারণা বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আমিনুল হক এবং অন্য ভুক্তভোগীরা। তারা এই দম্পত্তির ও সাঙ্গপাঙ্গদের দেয়া মিথ্যা মামলা, প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সুষ্ঠু বিচারও চেয়েছেন।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে হোসেনপুর পৌরসভার কাইছমা ১ নং ওয়ার্ডে হামলার শিকার গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আমিনুল হক ও পাওনাদাররা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

তিনি অভিযোগ করেন ‘নিষ্ঠার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পিতা-মাতা ও পরিবারের দেখাশুনার জন্য কিছুদিন অন্তর অন্তর আমাকে নিজ গ্রামের পৈত্রিক ভিটায় যাতায়াত করতে হয়। এভাবেই গত ০৪ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. রোজ শুক্রবার আমি নিজ পৈত্রিক ভিটায় অবস্থান করে ফখরুলের বাথরুম থেকে মলমূত্র আমার জায়গার উপর দিয়ে প্রবাহিত করলে আমি মাটি দিয়ে তা প্রতিরোধ করতে গেলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ফখরুল-তানিয়া গং প্রতারক ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সংঘবদ্ধ অতর্কিত আক্রমণ করলে গুরুতর জখম হই এবং আমার বাম পায়ের ম্যাটা টারসাল হাড় ফ্যাকচার হয়। এ সময় ফখরুল আমার গলায় তার বাহু দিয়ে চেপে ধরে আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা করে। একই সাথে এরশাদ, জহুরুল, মোফাকখারুল, মফিজ উদ্দিন, ইসমাইল, তানিয়া ও পারভীন লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পায়ে, পিঠে ও মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করতে চেষ্টা করে। এ ঘটনার সময় আমার পরিবার, নিকট আত্মীয় ও এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করতে গেলে তারাও সন্ত্রাসীদের মারপিটের শিকার হয়ে আহত হয়। পরে আমরা চিকিৎসার জন্য হোসেনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হই। পরবর্তী সময়ে আমার গুরুতর জখম দেখে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন- ফখরুল-তানিয়া গংদের এটিই প্রথম কোনো ঘটনায় নয়। বরং প্রায়শই আমার বসও বাড়ির অভ্যন্তরে অনধিকার প্রবেশ করে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনকে পিঠিয়ে আহত করে, যার ভিডিও ফুটেজ সংগৃহীত আছে।এছাড়া তিনি আরও বলেন, ফখরুল-ভ্রানিয়া গংদের অন্যায়, অত্যাচার ও নীপিড়নের পাশাপাশি অর্থ আত্মসাৎ এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রায়শই আমিসহ এলাকার অনেক সাধারণ পরিবার হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। এ সকল বিষয়ে প্রতিকার চাইতে গেলে তারা নিজেদেরকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী পরিচয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আনুকূল্য লাভ করে আমাদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করে আসছে। এমনকি আমার একাধিক জায়গা-জমি দখল করে ফসলের ক্ষতিসাধন করে আসছে।

গত ০৪ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. আমার ও অন্যান্যদের উপর হামলার প্রতিকার চেয়ে ০৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. হোসেনপুর থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর ৩, বাৎসরিক নম্বর ৪৫) দায়ের করলে ১ নং আসামী ফখরুল ইসলাম, পিতাঃ মফিজ উদ্দিন-কে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমি ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা-বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারসহ নানাভাবে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়াও ০৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. আমাদের নামে বানোয়াটভাবে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর ৬, বাৎসরিক নম্বর ৪৮) করে। এ মামলার এজাহারে উল্লেখিত সকল তথ্যই মিথ্যা, যার প্রমাণ সিসিটিভি ফুটেজে সংরক্ষিত আছে।

এ অবস্থায় উপস্থিত বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, সরকার কর্তৃক নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ, প্রশাসন এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট ফখরুল-তানিয়া গং দ্বারা আমাদের নিরাপত্তাহীনতা ও জানমালের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাওনাদার শামসুন্নাহার অভিযোগ করেন, ওই দম্পতি তার কাছ থেকে গরু ক্রয়ের জন্য প্রথমে ১ লক্ষ ও পরে ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে এখন পর্যন্ত দিচ্ছে না। টাকা চাইতে গিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি।

উপজেলার ধলিহর গ্রামের পাওনাদার রোকসানা আক্তার অভিযোগ করেন, তিনি তার মেয়ের কাছ থেকে ৪ বছর পূর্বে ৫০ হাজার টাকা এনে দেয় ফকরুল-তানিয়াকে। টাকা চাইতে গিয়ে বারবার লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত তিনি টাকাগুলো না পেয়ে মানুষের দ্বারেদ্বারে ঘুরছে। এ বিষয়ে হোসেনপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মারুফ হোসেন বলেন, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে দুইজন আসামি জেল হাজতে আছে।

শেয়ার করুন

হোসেনপুরে ফখরুল-তানিয়া দম্পতির বিচার দাবি

সময় ০৭:০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ফখরুল-তানিয়া দম্পতি ও তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে প্রতারণা বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আমিনুল হক এবং অন্য ভুক্তভোগীরা। তারা এই দম্পত্তির ও সাঙ্গপাঙ্গদের দেয়া মিথ্যা মামলা, প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সুষ্ঠু বিচারও চেয়েছেন।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে হোসেনপুর পৌরসভার কাইছমা ১ নং ওয়ার্ডে হামলার শিকার গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আমিনুল হক ও পাওনাদাররা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

তিনি অভিযোগ করেন ‘নিষ্ঠার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পিতা-মাতা ও পরিবারের দেখাশুনার জন্য কিছুদিন অন্তর অন্তর আমাকে নিজ গ্রামের পৈত্রিক ভিটায় যাতায়াত করতে হয়। এভাবেই গত ০৪ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. রোজ শুক্রবার আমি নিজ পৈত্রিক ভিটায় অবস্থান করে ফখরুলের বাথরুম থেকে মলমূত্র আমার জায়গার উপর দিয়ে প্রবাহিত করলে আমি মাটি দিয়ে তা প্রতিরোধ করতে গেলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ফখরুল-তানিয়া গং প্রতারক ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সংঘবদ্ধ অতর্কিত আক্রমণ করলে গুরুতর জখম হই এবং আমার বাম পায়ের ম্যাটা টারসাল হাড় ফ্যাকচার হয়। এ সময় ফখরুল আমার গলায় তার বাহু দিয়ে চেপে ধরে আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা করে। একই সাথে এরশাদ, জহুরুল, মোফাকখারুল, মফিজ উদ্দিন, ইসমাইল, তানিয়া ও পারভীন লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পায়ে, পিঠে ও মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করতে চেষ্টা করে। এ ঘটনার সময় আমার পরিবার, নিকট আত্মীয় ও এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করতে গেলে তারাও সন্ত্রাসীদের মারপিটের শিকার হয়ে আহত হয়। পরে আমরা চিকিৎসার জন্য হোসেনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হই। পরবর্তী সময়ে আমার গুরুতর জখম দেখে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন- ফখরুল-তানিয়া গংদের এটিই প্রথম কোনো ঘটনায় নয়। বরং প্রায়শই আমার বসও বাড়ির অভ্যন্তরে অনধিকার প্রবেশ করে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনকে পিঠিয়ে আহত করে, যার ভিডিও ফুটেজ সংগৃহীত আছে।এছাড়া তিনি আরও বলেন, ফখরুল-ভ্রানিয়া গংদের অন্যায়, অত্যাচার ও নীপিড়নের পাশাপাশি অর্থ আত্মসাৎ এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রায়শই আমিসহ এলাকার অনেক সাধারণ পরিবার হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। এ সকল বিষয়ে প্রতিকার চাইতে গেলে তারা নিজেদেরকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী পরিচয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আনুকূল্য লাভ করে আমাদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করে আসছে। এমনকি আমার একাধিক জায়গা-জমি দখল করে ফসলের ক্ষতিসাধন করে আসছে।

গত ০৪ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. আমার ও অন্যান্যদের উপর হামলার প্রতিকার চেয়ে ০৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. হোসেনপুর থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর ৩, বাৎসরিক নম্বর ৪৫) দায়ের করলে ১ নং আসামী ফখরুল ইসলাম, পিতাঃ মফিজ উদ্দিন-কে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমি ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা-বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারসহ নানাভাবে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়াও ০৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. আমাদের নামে বানোয়াটভাবে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর ৬, বাৎসরিক নম্বর ৪৮) করে। এ মামলার এজাহারে উল্লেখিত সকল তথ্যই মিথ্যা, যার প্রমাণ সিসিটিভি ফুটেজে সংরক্ষিত আছে।

এ অবস্থায় উপস্থিত বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, সরকার কর্তৃক নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ, প্রশাসন এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট ফখরুল-তানিয়া গং দ্বারা আমাদের নিরাপত্তাহীনতা ও জানমালের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাওনাদার শামসুন্নাহার অভিযোগ করেন, ওই দম্পতি তার কাছ থেকে গরু ক্রয়ের জন্য প্রথমে ১ লক্ষ ও পরে ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে এখন পর্যন্ত দিচ্ছে না। টাকা চাইতে গিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি।

উপজেলার ধলিহর গ্রামের পাওনাদার রোকসানা আক্তার অভিযোগ করেন, তিনি তার মেয়ের কাছ থেকে ৪ বছর পূর্বে ৫০ হাজার টাকা এনে দেয় ফকরুল-তানিয়াকে। টাকা চাইতে গিয়ে বারবার লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত তিনি টাকাগুলো না পেয়ে মানুষের দ্বারেদ্বারে ঘুরছে। এ বিষয়ে হোসেনপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মারুফ হোসেন বলেন, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে দুইজন আসামি জেল হাজতে আছে।