হাসনাত-সারজিস অক্ষত, সন্দেহের তীর ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা | Bangla Affairs
১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসনাত-সারজিস অক্ষত, সন্দেহের তীর ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
  • সময় ১০:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / 116

ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত সারজিস

চট্টগ্রামে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িতে ছিলেন না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি বহর নিয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন ছাত্রনেতারা। হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম অক্ষত থাকলেও এ ঘটনার পিছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে তীর ছুঁড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ।

চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাসনাত ও সারজিস ওই গাড়িতে ছিলেন না। তারা নিরাপদে আছেন। তাদের বহরের একটি গাড়িকে কক্সবাজারগামী ট্রাক চাপা দেয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে গাড়ির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রাকচালককে আটক করা হয়েছে।’

এ ঘটনার পর ঢাকা মেট্রো-ঢ ১২-১৮৫৪ নম্বরের ট্রাক এবং এর চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ছাত্র-জনতা। চালক তাদের চাপা দেওয়ার চেষ্টার কথা অস্বীকার করেছেন।

ভারতীয় গোয়েন্দার দিকে সন্দেহ মাসউদের
ভারতীয় গোয়েন্দার দিকে সন্দেহ মাসউদের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা গণমাধ্যমকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কক্সবাজার থেকে ফিরছিলেন। একটি গাড়িতে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম ছিলেন। আরেকটি গাড়িতে ছিলেন চট্টগ্রামের সমন্বয়কেরা। যে গাড়িতে চট্টগ্রামের লোকজন ছিলেন, সেই গাড়িটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। ট্রাক চালককে ধরা হয়েছে। তিনি চাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি।

এদিকে এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ লিখেছেন, ‘নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে চালক ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজারে মালামাল খালাস করে আসার কথা বললেও মালামাল খালাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অতীতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ কর্তৃক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যক্তিকে হত্যা করার নজির রয়েছে।’

শেয়ার করুন

হাসনাত-সারজিস অক্ষত, সন্দেহের তীর ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা

সময় ১০:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িতে ছিলেন না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি বহর নিয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন ছাত্রনেতারা। হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম অক্ষত থাকলেও এ ঘটনার পিছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে তীর ছুঁড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ।

চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাসনাত ও সারজিস ওই গাড়িতে ছিলেন না। তারা নিরাপদে আছেন। তাদের বহরের একটি গাড়িকে কক্সবাজারগামী ট্রাক চাপা দেয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে গাড়ির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রাকচালককে আটক করা হয়েছে।’

এ ঘটনার পর ঢাকা মেট্রো-ঢ ১২-১৮৫৪ নম্বরের ট্রাক এবং এর চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ছাত্র-জনতা। চালক তাদের চাপা দেওয়ার চেষ্টার কথা অস্বীকার করেছেন।

ভারতীয় গোয়েন্দার দিকে সন্দেহ মাসউদের
ভারতীয় গোয়েন্দার দিকে সন্দেহ মাসউদের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা গণমাধ্যমকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কক্সবাজার থেকে ফিরছিলেন। একটি গাড়িতে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম ছিলেন। আরেকটি গাড়িতে ছিলেন চট্টগ্রামের সমন্বয়কেরা। যে গাড়িতে চট্টগ্রামের লোকজন ছিলেন, সেই গাড়িটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। ট্রাক চালককে ধরা হয়েছে। তিনি চাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি।

এদিকে এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ লিখেছেন, ‘নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে চালক ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজারে মালামাল খালাস করে আসার কথা বললেও মালামাল খালাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অতীতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ কর্তৃক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যক্তিকে হত্যা করার নজির রয়েছে।’