ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হটকারি পদক্ষেপের বিপক্ষে উপদেষ্টা মাহফুজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১১:০৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 32

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না তা অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তারপরও কোনো হঠকারি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি। ফলে তিনি হটকারি সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে মাহফুজ আরও বলেন, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে সব রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক হতে হবে বাস্তবসম্মত।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর দিল্লিকে চিঠি দেয় ঢাকা। তার কোনো জবাব দেয়নি ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপেক্ষার সময় পেরুলে দেওয়া হবে তাগাদাপত্র।

এমন আলোচনার মধ্যেই ২৭ ডিসেম্বর ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংলাপ শেষে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও বললেন, বিষয়টি বুঝতে পেরেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এ নিয়ে কোনো হটকারি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ওনারা নিয়েছেন যে ওনাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত দেবেন না, আমরা শুনতে পারছি। কিন্তু রাষ্ট্রের জায়গা থেকে আমাদের যেটা দরকার, আমি যেটা বলেছি ফ্র্যাগমেনটিজম দরকার। কোনো রকম হঠকারীতা আমরা করতে পারিনা। আমাদের রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আমাদের অখণ্ডতা এটা আমাদের ন্যাশনাল ইনটিগ্রিটি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সোভেরেন্টি। এই জিনিসগুলো আমাদের জন্য প্রাইম।’

পরে মাহফুজ আলম জানান, আওয়ামী লীগ পররাষ্ট্রনীতিতে দেশের চেয়ে দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। সেই অবস্থার পরিবর্তন চায় অন্তর্বর্তী সরকার।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘গত সরকার হঠকারিতার চেয়ে বেশি যেটা করেছে সেটা হচ্ছে এক ধরনের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি তারা নিয়েছে। আর আমাদের সরকারের জায়গা থেকে আমরা যেটা চেষ্টা করছি ফ্রাগমেন্টিজমের জন্য যদি আমাদের হঠকারীতা বা কোনো ভুল থাকে, সেটা আমরা শোধরানোর চেষ্টা করি। এটা হচ্ছে মোটামুটি আমাদের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি। আমরা যদি দেখি যে আমাদের কোনো কাজের কারণে আমরা মনে করি যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জায়গা থেকে এটা গুরুতর হয়ে উঠছে সে ক্ষেত্রে রেইস্টেইন অবলম্বন করি। আমরা চেষ্টা করি যে বাংলাদেশের স্বার্থটাকে সবার আগে রাখার জন্য।’

জানতে চাওয়া হয়, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে দেরির কারণ? উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র সচিব জানান, এ নিয়ে সংলাপে কোনো আলোচনা হয়নি।

শেয়ার করুন

হটকারি পদক্ষেপের বিপক্ষে উপদেষ্টা মাহফুজ

সময় ১১:০৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না তা অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তারপরও কোনো হঠকারি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি। ফলে তিনি হটকারি সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে মাহফুজ আরও বলেন, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে সব রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক হতে হবে বাস্তবসম্মত।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর দিল্লিকে চিঠি দেয় ঢাকা। তার কোনো জবাব দেয়নি ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপেক্ষার সময় পেরুলে দেওয়া হবে তাগাদাপত্র।

এমন আলোচনার মধ্যেই ২৭ ডিসেম্বর ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংলাপ শেষে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও বললেন, বিষয়টি বুঝতে পেরেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এ নিয়ে কোনো হটকারি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ওনারা নিয়েছেন যে ওনাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত দেবেন না, আমরা শুনতে পারছি। কিন্তু রাষ্ট্রের জায়গা থেকে আমাদের যেটা দরকার, আমি যেটা বলেছি ফ্র্যাগমেনটিজম দরকার। কোনো রকম হঠকারীতা আমরা করতে পারিনা। আমাদের রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আমাদের অখণ্ডতা এটা আমাদের ন্যাশনাল ইনটিগ্রিটি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সোভেরেন্টি। এই জিনিসগুলো আমাদের জন্য প্রাইম।’

পরে মাহফুজ আলম জানান, আওয়ামী লীগ পররাষ্ট্রনীতিতে দেশের চেয়ে দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। সেই অবস্থার পরিবর্তন চায় অন্তর্বর্তী সরকার।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘গত সরকার হঠকারিতার চেয়ে বেশি যেটা করেছে সেটা হচ্ছে এক ধরনের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি তারা নিয়েছে। আর আমাদের সরকারের জায়গা থেকে আমরা যেটা চেষ্টা করছি ফ্রাগমেন্টিজমের জন্য যদি আমাদের হঠকারীতা বা কোনো ভুল থাকে, সেটা আমরা শোধরানোর চেষ্টা করি। এটা হচ্ছে মোটামুটি আমাদের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি। আমরা যদি দেখি যে আমাদের কোনো কাজের কারণে আমরা মনে করি যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জায়গা থেকে এটা গুরুতর হয়ে উঠছে সে ক্ষেত্রে রেইস্টেইন অবলম্বন করি। আমরা চেষ্টা করি যে বাংলাদেশের স্বার্থটাকে সবার আগে রাখার জন্য।’

জানতে চাওয়া হয়, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে দেরির কারণ? উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র সচিব জানান, এ নিয়ে সংলাপে কোনো আলোচনা হয়নি।