১২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্টারলিংকের সেবা বাণিজ্যিকভাবে চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৩:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 16

ইউনূস-স্টারলিংক

দেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষামূলক সম্প্রচারে স্টারলিংক তার বিদেশি স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে ব্যবহার করলেও বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সেবাদানকালে, এনজিএসও নীতিমালা মেনে কোম্পানিটি স্থানীয় ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে বা আইআইজি ব্যবহার করবে।

এর আগে গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ৯ এপ্রিল থেকে বিনিয়োগ সম্মেলনে স্টারলিংকের ইন্টারনেট পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে।

আগামী ৭ এপ্রিল ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন। এ সম্মেলনে স্টারলিংকের ইন্টারনেটের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিডা। এ ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তা দেবে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)।

এদিকে, গত ৯ মার্চ প্রেসক্লাবে ‘প্রান্তিক পর্যায়ে দ্রুতগতির মানসম্পন্ন সহজলভ্য ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছিলেন, যেকোনো মূল্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে কোনো সরকার যাতে আর ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে, সে ব্যবস্থা বা পলিসি তৈরি করা হবে।

আর গত ৮ মার্চ তৈয়্যব বলেন, ‘বর্তমানে স্টারলিংকের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। এ সফরে বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সহযোগিতার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।’

প্রকল্পের স্থান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্টারলিংক বাংলাদেশের শহরে কিংবা প্রান্তিক অঞ্চলে, উত্তর অঞ্চল কিংবা উপকূলে লোডশেডিং কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলামুক্ত রিলায়েবল এবং হাইস্পিড ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা দেবে। এটি নিরবচ্ছিন্ন সেবা এবং উচ্চমান কোয়ালিটি সার্ভিসের নিশ্চয়তা দিবে। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত এবং প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে এখনো লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে। তাই স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড এবং ডিজিটাল ইকোনমিক ইনিশিয়েটিভগুলোকে বেগবান করবে। আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটা বোধগম্য মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রাখব।’

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

স্টারলিংকের সেবা বাণিজ্যিকভাবে চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সময় ০৩:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

দেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষামূলক সম্প্রচারে স্টারলিংক তার বিদেশি স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে ব্যবহার করলেও বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সেবাদানকালে, এনজিএসও নীতিমালা মেনে কোম্পানিটি স্থানীয় ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে বা আইআইজি ব্যবহার করবে।

এর আগে গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ৯ এপ্রিল থেকে বিনিয়োগ সম্মেলনে স্টারলিংকের ইন্টারনেট পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে।

আগামী ৭ এপ্রিল ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন। এ সম্মেলনে স্টারলিংকের ইন্টারনেটের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিডা। এ ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তা দেবে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)।

এদিকে, গত ৯ মার্চ প্রেসক্লাবে ‘প্রান্তিক পর্যায়ে দ্রুতগতির মানসম্পন্ন সহজলভ্য ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছিলেন, যেকোনো মূল্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে কোনো সরকার যাতে আর ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে, সে ব্যবস্থা বা পলিসি তৈরি করা হবে।

আর গত ৮ মার্চ তৈয়্যব বলেন, ‘বর্তমানে স্টারলিংকের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। এ সফরে বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সহযোগিতার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।’

প্রকল্পের স্থান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্টারলিংক বাংলাদেশের শহরে কিংবা প্রান্তিক অঞ্চলে, উত্তর অঞ্চল কিংবা উপকূলে লোডশেডিং কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলামুক্ত রিলায়েবল এবং হাইস্পিড ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা দেবে। এটি নিরবচ্ছিন্ন সেবা এবং উচ্চমান কোয়ালিটি সার্ভিসের নিশ্চয়তা দিবে। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত এবং প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে এখনো লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে। তাই স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড এবং ডিজিটাল ইকোনমিক ইনিশিয়েটিভগুলোকে বেগবান করবে। আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটা বোধগম্য মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রাখব।’

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।