স্কুল ছাত্রকে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অনশন | Bangla Affairs
০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুল ছাত্রকে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধামরাই
  • সময় ১১:১০:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 52

স্কুলছাত্রেকে বিয়ের দাবিতে কলেজছাত্রীর অনশন

ঢাকার ধামরাইয়ে এক কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে প্রেমিক স্কুলছাত্রের বাড়িতে অনশন করছেন। উপজেলার আমতা ইউনিয়নের মুনসিচর গ্রামের মোহাম্মদ সোহেল রানা ওরফে রাজা মিয়ার বাড়িতে শনিবার সকাল ৯টা থেকে অনশন শুরু করেছেন ওই ছাত্রী। তার দাবি, রাজা মিয়ার ছেলে স্কুলছাত্র আরিফ হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

কলেজ ছাত্রীর নাম উর্মী আক্তার। তিনি মানিকগঞ্জ মধ্য জয়রা মহল্লার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফজর আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় রেসিডেনসিয়াল কলেজের ছাত্রী।

উর্মীর অভিযোগ, প্রেমিকের বাড়ির সামনে গেলেই আরিফ পালিয়ে যান। তিনি জানান, দেড় মাস আগে তার ভাই ওসমানের বিয়ের সময় আরিফের সঙ্গে পরিচয় হয়, যা দ্রুত প্রেমে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকেই আরিফ তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন, যা তাকে অনশনে বসতে বাধ্য করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমি অনশনে বসার পর আরিফের পরিবারের সদস্যরা আমাকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।’

এদিকে অনশনের খবর ছড়িয়ে পড়লে আরিফের বাড়িতে স্থানীয়দের ভিড় জমে। এ বিষয়ে আরিফের বাবা, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. সোহেল রানা জানান, ‘ছেলের চেয়ে মেয়ের বয়স অনেক বেশি। এ অসম সম্পর্ক ও বিয়ে আমি মেনে নেব না।’

এ বিষয়ে কাউলিপাড়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নুর আলম বলেন, ‘এ নিয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন

স্কুল ছাত্রকে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

সময় ১১:১০:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঢাকার ধামরাইয়ে এক কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে প্রেমিক স্কুলছাত্রের বাড়িতে অনশন করছেন। উপজেলার আমতা ইউনিয়নের মুনসিচর গ্রামের মোহাম্মদ সোহেল রানা ওরফে রাজা মিয়ার বাড়িতে শনিবার সকাল ৯টা থেকে অনশন শুরু করেছেন ওই ছাত্রী। তার দাবি, রাজা মিয়ার ছেলে স্কুলছাত্র আরিফ হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

কলেজ ছাত্রীর নাম উর্মী আক্তার। তিনি মানিকগঞ্জ মধ্য জয়রা মহল্লার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফজর আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় রেসিডেনসিয়াল কলেজের ছাত্রী।

উর্মীর অভিযোগ, প্রেমিকের বাড়ির সামনে গেলেই আরিফ পালিয়ে যান। তিনি জানান, দেড় মাস আগে তার ভাই ওসমানের বিয়ের সময় আরিফের সঙ্গে পরিচয় হয়, যা দ্রুত প্রেমে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকেই আরিফ তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন, যা তাকে অনশনে বসতে বাধ্য করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমি অনশনে বসার পর আরিফের পরিবারের সদস্যরা আমাকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।’

এদিকে অনশনের খবর ছড়িয়ে পড়লে আরিফের বাড়িতে স্থানীয়দের ভিড় জমে। এ বিষয়ে আরিফের বাবা, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. সোহেল রানা জানান, ‘ছেলের চেয়ে মেয়ের বয়স অনেক বেশি। এ অসম সম্পর্ক ও বিয়ে আমি মেনে নেব না।’

এ বিষয়ে কাউলিপাড়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নুর আলম বলেন, ‘এ নিয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’