সেন্টমার্টিন নিয়ে যা বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা | Bangla Affairs
০২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেন্টমার্টিন নিয়ে যা বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৪:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / 277

‘ওয়ান হেলথ ডে ২০২৪’ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা

সরকার সেন্টমার্টিন এবং পর্যটন শিল্পকে একসঙ্গে রক্ষা করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানিয়েছেন,  এ জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোনো অবকাশ নেই।

বিশ্ব ‘ওয়ান হেলথ ডে ২০২৪’ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ওয়ান হেলথ প্রতিযোগিতা ২০২৩ ও ২০২৪-এর বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

‘ওয়ান হেলথ ডে’র অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেন্টমার্টিন নিয়ে অযথা পানি ঘোলা করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে নভেম্বরে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরতে হবে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দৈনিক সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন করতে পারবেন।’

সেন্টমার্টিন
ওয়ান হেলথ ডে ২০২৪’ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিরা

তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে এক স্বাস্থ্য মডেল কার্যকর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এই লক্ষ্য অর্জনে সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারিদা আখতার বলেন, ওয়ান হেলথ- এর মধ্যে শুধু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থাকলেই হবে না। কৃষি, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য বিভাগকে এর আওতাভুক্ত করতে হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, কৃষিতে পেস্টিসাইড, হার্বিসাইড ব্যবহারের ফলে দেশের উৎপাদিত কৃষিপণ্য মানুষ ও প্রাণী স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন বাড়িয়েছি, কিন্তু নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে যথেষ্ট পরিমাণ গুরুত্বারোপ করি নাই। ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে মানুষ, প্রাণী ও কৃষি উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা হলে মানব স্বাস্থ্য রক্ষা হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. মো. আবু জাফর,

বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ডা. রাজেশ নারওয়াল, বাংলাদেশে এফএও’র প্রতিনিধি ঝিয়াওকুন শি, বাংলাদেশে ইউএসএইডের মিশন পরিচালক রিড জে আইশলিম্যান,

ওয়ান হেলথ বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ এবং ওয়ান হেলথ সেক্রেটারিয়েট সমন্বয় কমিটির চেয়ার প্রফেসর ডা. তাহমিনা শিরিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

শেয়ার করুন

সেন্টমার্টিন নিয়ে যা বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা

সময় ০৪:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

সরকার সেন্টমার্টিন এবং পর্যটন শিল্পকে একসঙ্গে রক্ষা করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানিয়েছেন,  এ জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোনো অবকাশ নেই।

বিশ্ব ‘ওয়ান হেলথ ডে ২০২৪’ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ওয়ান হেলথ প্রতিযোগিতা ২০২৩ ও ২০২৪-এর বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

‘ওয়ান হেলথ ডে’র অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেন্টমার্টিন নিয়ে অযথা পানি ঘোলা করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে নভেম্বরে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরতে হবে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দৈনিক সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন করতে পারবেন।’

সেন্টমার্টিন
ওয়ান হেলথ ডে ২০২৪’ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিরা

তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে এক স্বাস্থ্য মডেল কার্যকর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এই লক্ষ্য অর্জনে সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারিদা আখতার বলেন, ওয়ান হেলথ- এর মধ্যে শুধু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থাকলেই হবে না। কৃষি, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য বিভাগকে এর আওতাভুক্ত করতে হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, কৃষিতে পেস্টিসাইড, হার্বিসাইড ব্যবহারের ফলে দেশের উৎপাদিত কৃষিপণ্য মানুষ ও প্রাণী স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন বাড়িয়েছি, কিন্তু নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে যথেষ্ট পরিমাণ গুরুত্বারোপ করি নাই। ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে মানুষ, প্রাণী ও কৃষি উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা হলে মানব স্বাস্থ্য রক্ষা হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. মো. আবু জাফর,

বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ডা. রাজেশ নারওয়াল, বাংলাদেশে এফএও’র প্রতিনিধি ঝিয়াওকুন শি, বাংলাদেশে ইউএসএইডের মিশন পরিচালক রিড জে আইশলিম্যান,

ওয়ান হেলথ বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ এবং ওয়ান হেলথ সেক্রেটারিয়েট সমন্বয় কমিটির চেয়ার প্রফেসর ডা. তাহমিনা শিরিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।