ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে সমুদ্রে আটকা ৭১ যাত্রী

সিনিয়র প্রতিবেদক, কক্সবাজার
  • সময় ১১:২৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 61

সমুদ্রে আটকা ৭১ যাত্রী

সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ফেরার পথে টেকনাফের বাহারছড়া উপকূলে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি গ্রীণ লাইনের ‘ইঞ্জিন বিকল’ হয়ে আটকা পড়েছে। জাহাজটিতে নারী ও শিশুসহ ৭১ জন যাত্রী রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া উপকূলবর্তী সাগরে জাহাজটি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডসহ স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় আটকা পড়া পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন৷

সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে এমভি গ্রিনলাইন জাহাজ মাঝপথে বিকল হয়। জাহাজটি পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে কূলে এসে থামে। পর্যটকদের যেন অসুবিধা না হয়, সেজন্য জাহাজ কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।

এবিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম জানান, সকালে শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট থেকে এমভি গ্রিণ লাইন নামের পর্যটকবাহী জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। দুপুরের আগে জাহাজটি সেখানে পৌঁছায়। পরে বিকাল ৪টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটি ঘাট থেকে জাহাজটি ৭১ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। পথে কচ্ছপিয়া উপকূলবর্তী সাগরে পৌঁছালে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তখন জাহাজটি সেখানে আটকা পড়ে। জাহাজে থাকা সকল যাত্রী নিরাপদে আছেন, তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ, নৌবাহিনী, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উপস্থিত আছেন। জাহাজটি যেহেতু একেবারে উপকূলে ভিড়েছে, জোয়ারের পানি কমে গেলে তাদের উদ্ধার করা হবে।

আটকাপড়া পর্যটকদের নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যটকরা নিরাপদে আছেন। যে কোনো ধরনের ঝুঁকি এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারের পর তাদের কক্সবাজার শহরে পৌঁছাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে সমুদ্রে আটকা ৭১ যাত্রী

সময় ১১:২৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ফেরার পথে টেকনাফের বাহারছড়া উপকূলে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি গ্রীণ লাইনের ‘ইঞ্জিন বিকল’ হয়ে আটকা পড়েছে। জাহাজটিতে নারী ও শিশুসহ ৭১ জন যাত্রী রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া উপকূলবর্তী সাগরে জাহাজটি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডসহ স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় আটকা পড়া পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন৷

সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে এমভি গ্রিনলাইন জাহাজ মাঝপথে বিকল হয়। জাহাজটি পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে কূলে এসে থামে। পর্যটকদের যেন অসুবিধা না হয়, সেজন্য জাহাজ কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।

এবিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম জানান, সকালে শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট থেকে এমভি গ্রিণ লাইন নামের পর্যটকবাহী জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। দুপুরের আগে জাহাজটি সেখানে পৌঁছায়। পরে বিকাল ৪টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটি ঘাট থেকে জাহাজটি ৭১ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। পথে কচ্ছপিয়া উপকূলবর্তী সাগরে পৌঁছালে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তখন জাহাজটি সেখানে আটকা পড়ে। জাহাজে থাকা সকল যাত্রী নিরাপদে আছেন, তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ, নৌবাহিনী, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উপস্থিত আছেন। জাহাজটি যেহেতু একেবারে উপকূলে ভিড়েছে, জোয়ারের পানি কমে গেলে তাদের উদ্ধার করা হবে।

আটকাপড়া পর্যটকদের নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যটকরা নিরাপদে আছেন। যে কোনো ধরনের ঝুঁকি এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারের পর তাদের কক্সবাজার শহরে পৌঁছাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।