ঢাকা ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস

পর্তুগালের লিসবন থেকে হাফিজ আল আসাদ
  • সময় ১২:১৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / 295

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বহির্বিশ্বের দূতাবাস গুলোতে রাষ্ট্রদূত এবং বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগ পেয়ে দেশে দেশে যারা দলীয় এজেন্ট বাস্তবায়ন সহ অবৈধ সরকারের অন্যায় আদেশ পালন করে আসছিলেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পরই সেইসব দেশের রাষ্টদূতসহ কর্মকর্তাদের রদবদল সহ নিয়োগ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সেবা এবং নানান অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদকে অপসারণ করে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসাবে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ড. এম মাহফুজুল হককে ।

আওয়ামিলীগ সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট দ্বিতীয় সচিব হিসাবে নিয়োগ পাওয়া আলমগীর আহমেদ দলীয় এজেন্ট এবং দূতাবাসকে একপ্রকার দলীয় কার্যালয় বানিয়ে আওয়ামীলীগের দলীয় এজেন্ট বাস্তবায়ন করা সহ নানান কর্মকাণ্ড করে সরকারের একনিষ্ঠ হিতাকাঙ্ক্ষী হিসাবে প্রথম সচিবে পদন্নোতি পান।

এবং তার পদন্নোতি পরপরই দূতাবাসের চিত্র বদলে যায়।গড়ে উঠে ভেতরে বাহিরে অবৈধ সিন্ডিকেট। আলমগীর হোসাইন এবং ২০২১ সালে অফিস সহকারী হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়োগ পাওয়া মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে ভিতরে গড়ে উঠে দূতাবাসের সিন্ডিকেট।

এবং দূতাবাসের বাহিরে পর্তুগাল আওয়ামিলীগ সভাপতি জহিরুল আলম জসিম, জাকির হোসেন সহ কতিপয় গ্যাংয়ের হাতে চলে যায় আরেকটি সিন্ডিকেট। যারা বড় অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সত্যায়ন দূতাবাস সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সহজেই করে দিতেন।

২০২১ সালে অফিস সহকারী হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিয়োগ পাওয়া মনিরুজ্জামান মনির বর্তমানে হয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন।

অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায় গত তিন বছরে প্রবাসীদের কাছ থেকে অবৈধ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন মনিরুজ্জামান মনির। টাকা ছাড়া কোন কথাই বলেন না। দূতাবাসে সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা এটা তার নিত্যদিনের অভ্যাস। হারানো পাসপোর্ট বা রিনিও পাসপোর্ট করতে গেলে তাদের সিন্ডিকেট হয়ে না গেলে অনেক অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। সিন্ডিকেটের বড় আয় হলো বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স এক্সচেঞ্জ।

অভিযোগ রয়েছে জন প্রাতি ১০০০ ইউরো থেকে ১৫০০ ইউরো টাকা দিলেই বাংলাদেশী পাসপোর্ট কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই সিন্ডিকেটের কাছ থেকে পাওয়া যায়।যে খানে পর্তুগালের এক জন মানুষের বেসিক বেতন ৮২০ ইউরো।নিয়ম অনুযায়ী যার পাসপোর্ট সে নিজে এম্বাসিতে এসেই রিসিভ করতে হবে। কিন্তু মনির সিন্ডিকেটের হাতে টাকা দিলেই নিমেষেই সেই সব নিয়ম বদলে যায়।

পর্তুগালে প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসীর বসবাস। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে তাদের যেতে হয় দূতাবাসে।আর এসব সিন্ডিকেটের কারণে ই দূতাবাসে সেবা নিতে আসা সাধারণ প্রবাসীরা ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন।সকলের আশা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রবাসীদের সমস্যা গুলো অগ্রাধিকার দিয়ে দেখবে। এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে

অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে যোগাযোগ হলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন কিছু মানুষ উদ্দেশ্য পরিণতভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলেছে ।

শেয়ার করুন

সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস

সময় ১২:১৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বহির্বিশ্বের দূতাবাস গুলোতে রাষ্ট্রদূত এবং বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগ পেয়ে দেশে দেশে যারা দলীয় এজেন্ট বাস্তবায়ন সহ অবৈধ সরকারের অন্যায় আদেশ পালন করে আসছিলেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পরই সেইসব দেশের রাষ্টদূতসহ কর্মকর্তাদের রদবদল সহ নিয়োগ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সেবা এবং নানান অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদকে অপসারণ করে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসাবে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ড. এম মাহফুজুল হককে ।

আওয়ামিলীগ সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট দ্বিতীয় সচিব হিসাবে নিয়োগ পাওয়া আলমগীর আহমেদ দলীয় এজেন্ট এবং দূতাবাসকে একপ্রকার দলীয় কার্যালয় বানিয়ে আওয়ামীলীগের দলীয় এজেন্ট বাস্তবায়ন করা সহ নানান কর্মকাণ্ড করে সরকারের একনিষ্ঠ হিতাকাঙ্ক্ষী হিসাবে প্রথম সচিবে পদন্নোতি পান।

এবং তার পদন্নোতি পরপরই দূতাবাসের চিত্র বদলে যায়।গড়ে উঠে ভেতরে বাহিরে অবৈধ সিন্ডিকেট। আলমগীর হোসাইন এবং ২০২১ সালে অফিস সহকারী হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়োগ পাওয়া মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে ভিতরে গড়ে উঠে দূতাবাসের সিন্ডিকেট।

এবং দূতাবাসের বাহিরে পর্তুগাল আওয়ামিলীগ সভাপতি জহিরুল আলম জসিম, জাকির হোসেন সহ কতিপয় গ্যাংয়ের হাতে চলে যায় আরেকটি সিন্ডিকেট। যারা বড় অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সত্যায়ন দূতাবাস সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সহজেই করে দিতেন।

২০২১ সালে অফিস সহকারী হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিয়োগ পাওয়া মনিরুজ্জামান মনির বর্তমানে হয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন।

অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায় গত তিন বছরে প্রবাসীদের কাছ থেকে অবৈধ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন মনিরুজ্জামান মনির। টাকা ছাড়া কোন কথাই বলেন না। দূতাবাসে সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা এটা তার নিত্যদিনের অভ্যাস। হারানো পাসপোর্ট বা রিনিও পাসপোর্ট করতে গেলে তাদের সিন্ডিকেট হয়ে না গেলে অনেক অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। সিন্ডিকেটের বড় আয় হলো বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স এক্সচেঞ্জ।

অভিযোগ রয়েছে জন প্রাতি ১০০০ ইউরো থেকে ১৫০০ ইউরো টাকা দিলেই বাংলাদেশী পাসপোর্ট কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই সিন্ডিকেটের কাছ থেকে পাওয়া যায়।যে খানে পর্তুগালের এক জন মানুষের বেসিক বেতন ৮২০ ইউরো।নিয়ম অনুযায়ী যার পাসপোর্ট সে নিজে এম্বাসিতে এসেই রিসিভ করতে হবে। কিন্তু মনির সিন্ডিকেটের হাতে টাকা দিলেই নিমেষেই সেই সব নিয়ম বদলে যায়।

পর্তুগালে প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসীর বসবাস। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে তাদের যেতে হয় দূতাবাসে।আর এসব সিন্ডিকেটের কারণে ই দূতাবাসে সেবা নিতে আসা সাধারণ প্রবাসীরা ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন।সকলের আশা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রবাসীদের সমস্যা গুলো অগ্রাধিকার দিয়ে দেখবে। এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে

অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে যোগাযোগ হলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন কিছু মানুষ উদ্দেশ্য পরিণতভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলেছে ।