ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামরিক আদালতে ৬০ বেসামরিকের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১০:২৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 22

পাকিস্তান

পাকিস্তানে ৬০ জন বেসামরিক নাগরিককে সর্বনিম্ন ২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক আদালত। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সামরিক আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে ৬০ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সামরিক বা অন্য কোনো আদালতে আপিল করতে পারবেন না।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তান, দেশের সরকার ও সেনাবাহিনী সবসময় ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি দৃঢ় রেখেছে। আর এই মর্মে ঘোষণা করা হচ্ছে, আদালতের রায় কার্যকর করা হবে এবং কোনো রিট আবেদন করা যাবে না।’

পাকিস্তানের আদালত
পাকিস্তানের আদালত

এর আগে গত বুধবার একই অভিযোগে ২৫ জন বেসামরিককে কারাদণ্ড দিয়েছে সামরিক আদালত। তাঁরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খানের সমর্থক বলে জানা গেছে। ওই ব্যক্তিরা ২০২৩ সালের মে মাসে বিক্ষোভের সময় সেনাবাহিনীর স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিলেন। এমনকি এক জেনারেলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিলেন।

গত বছরের ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা হয়। ইমরানের সমর্থকেরা দেশটির সেনা ক্যাম্পেও হামলা চালিয়েছিল। ওই সহিংস ঘটনার জেরে ইমরান ও তাঁর দল পিটিআইয়ের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় হাজার হাজার নেতাকর্মীকে।

২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমরান খান। এরপর থেকেই একের পর এক সংকটে পড়ছেন ৭১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ। গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। ক্ষমতায় থাকার সময় সরকারি কোষাগার থেকে না জানিয়ে উপহার বিক্রি, সহিংসতায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্টের অপরাধসহ একাধিক মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।

শেয়ার করুন

সামরিক আদালতে ৬০ বেসামরিকের কারাদণ্ড

সময় ১০:২৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানে ৬০ জন বেসামরিক নাগরিককে সর্বনিম্ন ২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক আদালত। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সামরিক আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে ৬০ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সামরিক বা অন্য কোনো আদালতে আপিল করতে পারবেন না।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তান, দেশের সরকার ও সেনাবাহিনী সবসময় ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি দৃঢ় রেখেছে। আর এই মর্মে ঘোষণা করা হচ্ছে, আদালতের রায় কার্যকর করা হবে এবং কোনো রিট আবেদন করা যাবে না।’

পাকিস্তানের আদালত
পাকিস্তানের আদালত

এর আগে গত বুধবার একই অভিযোগে ২৫ জন বেসামরিককে কারাদণ্ড দিয়েছে সামরিক আদালত। তাঁরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খানের সমর্থক বলে জানা গেছে। ওই ব্যক্তিরা ২০২৩ সালের মে মাসে বিক্ষোভের সময় সেনাবাহিনীর স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিলেন। এমনকি এক জেনারেলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিলেন।

গত বছরের ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা হয়। ইমরানের সমর্থকেরা দেশটির সেনা ক্যাম্পেও হামলা চালিয়েছিল। ওই সহিংস ঘটনার জেরে ইমরান ও তাঁর দল পিটিআইয়ের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় হাজার হাজার নেতাকর্মীকে।

২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমরান খান। এরপর থেকেই একের পর এক সংকটে পড়ছেন ৭১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ। গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। ক্ষমতায় থাকার সময় সরকারি কোষাগার থেকে না জানিয়ে উপহার বিক্রি, সহিংসতায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্টের অপরাধসহ একাধিক মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।