ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছে
সাভারে বিক্ষুব্ধদের প্রতিহত করার ঘোষণা

- সময় ০৫:০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 57
ঢাকার সাভারে দুই আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালানোর সময় স্থানীয়দের ধাওয়ার মুখে পালিয়েছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, পরবর্তীতে তারা আবারো এমন কিছু করতে আসলে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ২৫-৩০ জন বিক্ষুব্ধ লোকজন লাঠিসোঁটা হাতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিবের বাসভবনের সামনে জড়ো হন। তারা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে হেমায়েতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তেতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর আপন দুই ভাই।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তারা আত্মগোপনে আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ২৫-৩০ জন বিক্ষুব্ধ লোকজন লাঠিসোঁটা হাতে মঞ্জুরুল আলম রাজিবের বাসভবনের সামনে জড়ো হন। তারা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন।
এ সময় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা এবং হ্যান্ডমাইকে স্থানীয়দেরও ভাঙচুরে অংশ নিতে আহ্বান জানান।
এর কয়েক মিনিটের মধ্যে শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান এবং বিক্ষুব্ধদের ধাওয়া দেন। স্থানীয়দের তোপের মুখে তারা পালিয়ে যান।
বিক্ষুব্ধ জনতাদের একজন বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল সাভারে আওয়ামী লীগের কোনো দোসর থাকবে না, কোনো আস্তানা থাকবে না। সেই লক্ষ্যে ৭০-৮০ জন ছাত্র-জনতা রাজিবের বাড়ির সামনে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল।
এ সময় রাজিব-সমরের দোসররা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা জানতাম না তারা সেখানে অবস্থান করছে। হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তারা দুই ভাই তো বাড়িতে নেই, তাহলে ভাঙচুর কেন? আগুন দিলে আশপাশের বাড়িঘরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা বুঝিয়ে বলার পরও তারা না শুনলে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিই।’
‘আবারও কেউ এ ধরনের কাজ করতে এলে এলাকাবাসী তাদের শক্তহাতে প্রতিহত করবে,’ বলেন তিনি।
অন্য এক বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখানে আগুন দিলে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। তাই তাদের সরিয়ে দিয়েছি।’