সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুলের স্ট্যাটাস নিয়ে তোলপাড়!
- সময় ০১:৪৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
- / 131
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কর্মীবান্ধব নেতা সিদ্দিকী নাজমুল আলমের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। রীতিমতো স্ট্যাটাসটি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতিবাচক চিন্তা থেকে আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর পর মুখ খুলেছেন সিদ্দিকী নাজমুল। অনেকে ইতিবাচক হিসাবে নিলেও কয়েকজন বলেছেন, এটা সিদ্দিকী নাজমুলের নতুন ধান্দার অংশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতা হারানোর পর আওয়ামী লীগের নেতাদের সবার আগে আত্মশুদ্ধি ও আত্মসমালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
পোস্টে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহবানও জানিয়েছেন নাজমুল। পাশাপাশি বিবেকের আদালতে নিজেদেরকে শাস্তি দেওযার কথা বলেছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা বলেন, ‘আত্মশুদ্ধি, আত্মসমালোচনা করা দরকার সবার আগে। ব্যক্তিগতভাবে আমি করছি প্রায় ১০ বছর ধরে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হলে বিবেকের আদালতে নিজেদেরকে শাস্তি দিয়ে তৃণমূলের কাছে আমরা যারা জাতীয় রাজনীতি করি প্রায় সবাইকে ক্ষমা চাইতে হবে। আদর্শ আর ক্ষমতা এক জিনিস না।
এই পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়। দেখা যায় বৃহস্পতিবার সকালে এই পোস্টে ২৩ হাজার লাইক, ছয় হাজার কমেন্ট ও তিনশ’ শেয়ার হয়েছে। এতে হাজারো মানুষ সিদ্দিকী নাজমুল আলমের সমালোচনা করেন। আবার অনেকে বলেছেন, সময়সুযোগী একটি সেরা পোস্ট। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
মোকতাদির হাসান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, টাকার বিনিময়ে কমিটি দিয়ে ছাত্রলীগকে ধ্বংস করেছেন রব্বানি, সাদ্দাম ও আপনার মতো লোকেরা। এখন ফেসবুকে বড় বড় কথা বলছেন। আগে নিজে সংশোধন হোন।
ইউসুফ আলী নামে একজন লিখেছেন, কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করতে মনুষ্যত্ববোধ থাকা লাগে। যা পতিত ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর মধ্যে নেই।
মো. কাউসার নামে একজন লিখেছেন, ক্ষমতায় থাকলে নীতিবাক্য সবাই ভুলে যায়। এটাই আফসোস। এই বুঝটা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় থাকলে কী হতো ভাই। তখন এই ধারণা থাকলে এভাবে ক্ষমতা হারাতে হতো না। আসলে সবই আপনাদের সাজানো নাটক।
ফয়সাল আবেদীন নামে একজন লিখেছেন, নতুনভাবে মাঠে আসার ধান্দা। যে দলে নেত্রী তৃণমুলকে বিপদে ফেলে চলে যায়, তার দলের রাজনীতি করা অশিক্ষিত পরিচয়।
আবার কেউ কেউ বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিনা অপরাধে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। এই দলকে নিষিদ্ধ করা উচিত। তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর ছাত্রলীগের আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক জিএস গোলাম বাব্বানী বাংলা অ্যাফেয়ার্সে মতামত বিভাগের জন্য ‘ আ’লীগের দায়িত্বশীলদের বৃহৎ অংশ আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন ’ এই শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশ করেন। সেখানেও তিনি একই সুরে কথা বলেছিলেন।