০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তদন্ত কমিটি গঠন

সাজেকে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
  • সময় ০২:০৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 16

সাজেকে আগুন

রাঙামাটির সাজেক পর্যটন এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট ও স্থানীয়দের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, এ অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুনে ৩৫টি বসতঘর পুড়ে যাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছেন লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রায় ২০০ মানুষ।

সোমবার রাতে লাগা এই অগ্নিকাণ্ডে সাজেকের রুইলুই পাড়ার লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। আগুনে লুসাই জনগোষ্ঠীর ১৬টি ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ১৯টি বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। সামান্য কিছু মালামাল উদ্ধার করা গেলেও অধিকাংশ ঘরই ছাই হয়ে গেছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তায় সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সাজেক ইউপি সদস্য অনিত্য ত্রিপুরা বলেন, “সরকারের প্রতি আহ্বান, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত সহায়তা দেওয়া হোক।”

সাজেকের বেশিরভাগ রিসোর্ট কাঠের তৈরি হওয়ায় বাতাসের তীব্রতায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

সাজেকে পুড়ে গেছে ৩০ টি রিসোর্ট
সাজেকে পুড়ে গেছে ৩০ টি রিসোর্ট

খাগড়াছড়ির ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি জানান, “প্রত্যেকটি দোকান, রিসোর্ট ও বসতবাড়িতে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম থাকার কথা, কিন্তু এখানে তেমন কিছু ছিল না। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়।”

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। ঘটনার তদন্তে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাজেকের রিসোর্ট মালিকরা জরুরি খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। তবে স্থানীয়দের টিকে থাকতে দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।র

শেয়ার করুন

তদন্ত কমিটি গঠন

সাজেকে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি

সময় ০২:০৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাঙামাটির সাজেক পর্যটন এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট ও স্থানীয়দের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, এ অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুনে ৩৫টি বসতঘর পুড়ে যাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছেন লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রায় ২০০ মানুষ।

সোমবার রাতে লাগা এই অগ্নিকাণ্ডে সাজেকের রুইলুই পাড়ার লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। আগুনে লুসাই জনগোষ্ঠীর ১৬টি ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ১৯টি বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। সামান্য কিছু মালামাল উদ্ধার করা গেলেও অধিকাংশ ঘরই ছাই হয়ে গেছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তায় সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সাজেক ইউপি সদস্য অনিত্য ত্রিপুরা বলেন, “সরকারের প্রতি আহ্বান, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত সহায়তা দেওয়া হোক।”

সাজেকের বেশিরভাগ রিসোর্ট কাঠের তৈরি হওয়ায় বাতাসের তীব্রতায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

সাজেকে পুড়ে গেছে ৩০ টি রিসোর্ট
সাজেকে পুড়ে গেছে ৩০ টি রিসোর্ট

খাগড়াছড়ির ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি জানান, “প্রত্যেকটি দোকান, রিসোর্ট ও বসতবাড়িতে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম থাকার কথা, কিন্তু এখানে তেমন কিছু ছিল না। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়।”

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। ঘটনার তদন্তে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাজেকের রিসোর্ট মালিকরা জরুরি খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। তবে স্থানীয়দের টিকে থাকতে দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।র