সমন্বয়ক পরিচয়ে বাড়িতে তল্লাশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনী

সময় ০৩:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
/ 24

সমন্বয়ক আটক

ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামে সমন্বয়ক পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালানোর অভিযোগে পাঁচ যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন: ফেনী পৌরসভার বারাহীপুর ভূঁইয়া বাড়ির এনামুল হক বাবু, শান্তিধারা এলাকার আবদুল্লাহ আল ওহি, ডাক্তারপাড়া এলাকার জিহাদ হাসান প্রান্ত, সদর উপজেলার ফাজিলপুর এলাকার শাহরিয়ার ইসলাম আলভি এবং চাড়িপুর এলাকার শাহাদাত হোসেন।

স্থানীয়দের মতে, দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মমিন ভূঞা ঢাকায় ব্যবসা করেন। একসময় তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন, তবে বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক পদে নেই বা কোনো মামলার আসামিও নন। সম্প্রতি তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন এবং পরে আবার ঢাকায় ফিরে যান।

সোমবার রাতে পাঁচ যুবক ‘ছাত্র সমন্বয়ক’ পরিচয়ে মমিনের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি শুরু করে। এতে বাড়ির নারী ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সন্দেহ হলে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে তাদের আটক করে এবং পুলিশে খবর দেন।

দক্ষিণ চাঁদপুর সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আলী মনছুর সুমন জানান, ‘মমিন ভূঞা আমাদের সমাজ কমিটির সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। কিন্তু কিছু লোক সমন্বয়ক পরিচয়ে এসে চাঁদাবাজির চেষ্টা করেছে। পরিবারের লোকজন দরজা খুলতে না চাইলে তারা সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক ঢোকার চেষ্টা করে।’

ইউনিয়ন জামায়াতের আমির কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মমিন আওয়ামী লীগের সমর্থক হলেও কোনো পদে ছিলেন না। ভালো মানুষ হিসেবেই পরিচিত। অথচ রাতে কিছু ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালায়। যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। সাধারণ নাগরিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করার সুযোগ নেই।’

বোগদাদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে থানায় নিয়ে আসে। তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হয়। পরবর্তীতে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

স্থানীয়রা মনে করছেন, এটি পরিকল্পিত চাঁদাবাজির চেষ্টা ছিল। গ্রামবাসীর সতর্কতায় বড় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।