সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর পুরুষশূন্য গোটা এলাকা | Bangla Affairs
০৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর পুরুষশূন্য গোটা এলাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, শরীয়তপুর
  • সময় ০৩:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 3

পুরুষশূণ্য এলাকা

শরীয়তপুরের জাজিরায় বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাতজনকে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে গোটা এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

রোববার বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নড়িয়া সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও একই উপজেলার আওয়ামী লীগের সদস্য জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

শনিবার সকালে দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সমর্থকরা ফের সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুরসহ পাঁচ শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একপর্যায়ে মুলাই বেপারী কান্দি, সলিমুল্লাহ মাদবর কান্দি ও আহসান উল্লাহ মুন্সি কান্দি রনক্ষেত্রে পরিণত হয়। ককটেলের শব্দে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ও যৌথবাহিনী খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় রোববার জাজিরা থানার পুলিশের এসআই সঞ্চয় কুমার বাদী হয়ে ৮৮ জনকে আসামি করে মামলা করে। এতে অজ্ঞাত ৮০০ থেকে এক হাজার জনকে আসামি করা হয়।

সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শনিবার রাতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীকে গ্রেফতার করে। আর জাজিরা বিলাসপুর এলাকা থেকে সাদ্দাম হোসেন (৩৫), শাহ আলম (৪২), শাহজাহান (৪৪), মতিউর রহমান (৪৭), শেখ আব্দুল মালেক (৫৫) ও সাহাবুদ্দিন শেখকে (২৩) গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযানের সময় বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা বলছে, এলাকা শান্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আহসান উল্লাহ মুন্সি কান্দির এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌসি আকতার বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা সাংবাদিকদের তথ্য দেওয়ার কারণে জলিল মাদবর সমর্থকরা বাড়িতে এসে শতাধিক বোমা ফাটিয়ে হুমকি দিয়ে গেছে। আমরা এখন আতঙ্কিত। পুলিশ আসলে জলিল সমর্থকরা গা ঢাকা দেয়। পুলিশ চলে গেলে আবার এসে হুমকি দেয়। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জলিল মাদবরকে ফোন করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

জাজিরা থানার ওসি দুলাল আকন্দ বলেন, ‘ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। রোববার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।’

নড়িয়া সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের একজন এসআই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এরই মধ্যে সাতজনকে গেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’

শেয়ার করুন

সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর পুরুষশূন্য গোটা এলাকা

সময় ০৩:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

শরীয়তপুরের জাজিরায় বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাতজনকে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে গোটা এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

রোববার বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নড়িয়া সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও একই উপজেলার আওয়ামী লীগের সদস্য জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

শনিবার সকালে দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সমর্থকরা ফের সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুরসহ পাঁচ শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একপর্যায়ে মুলাই বেপারী কান্দি, সলিমুল্লাহ মাদবর কান্দি ও আহসান উল্লাহ মুন্সি কান্দি রনক্ষেত্রে পরিণত হয়। ককটেলের শব্দে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ও যৌথবাহিনী খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় রোববার জাজিরা থানার পুলিশের এসআই সঞ্চয় কুমার বাদী হয়ে ৮৮ জনকে আসামি করে মামলা করে। এতে অজ্ঞাত ৮০০ থেকে এক হাজার জনকে আসামি করা হয়।

সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শনিবার রাতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীকে গ্রেফতার করে। আর জাজিরা বিলাসপুর এলাকা থেকে সাদ্দাম হোসেন (৩৫), শাহ আলম (৪২), শাহজাহান (৪৪), মতিউর রহমান (৪৭), শেখ আব্দুল মালেক (৫৫) ও সাহাবুদ্দিন শেখকে (২৩) গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযানের সময় বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা বলছে, এলাকা শান্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আহসান উল্লাহ মুন্সি কান্দির এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌসি আকতার বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা সাংবাদিকদের তথ্য দেওয়ার কারণে জলিল মাদবর সমর্থকরা বাড়িতে এসে শতাধিক বোমা ফাটিয়ে হুমকি দিয়ে গেছে। আমরা এখন আতঙ্কিত। পুলিশ আসলে জলিল সমর্থকরা গা ঢাকা দেয়। পুলিশ চলে গেলে আবার এসে হুমকি দেয়। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জলিল মাদবরকে ফোন করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

জাজিরা থানার ওসি দুলাল আকন্দ বলেন, ‘ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। রোববার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।’

নড়িয়া সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের একজন এসআই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এরই মধ্যে সাতজনকে গেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’